আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মা আম্মা আম্মু

অল থিংগস আর ভেরিএবল অর এপারেন্টলি ভেরিএবল ,দেয়ার আর নো কন্সট্যন্ট থিংগস,

সামুতে অনেকেই অনেক কিছু লিখে । একেক জনের লেখার বিষয়বস্তু একেক রকম হয়। কেউ লিখে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে ,কেউ লিখে মজা করার জন্য, কেউবা আবার কোন দৈনিক পত্রিকার অনলাইন লেখা থেকে কোন ঘটনা চোথা মারে, কেঊবা লিখে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কিন্তু মাকে নিয়ে লেখা অনেক কম পাওয়া যায়। আজ আমার আম্মাজানের জন্মদিন। ভাবলাম মাকে নিয়ে কিছু লিখব।

কিন্তু যখন লিখতে বসলাম মাথায় এত কথা আসে যে কিছুই লিখতে পারি না । আজ মাকে ছেড়ে আমি অনেক অনেক দূর (যদিও আজকাল তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দূর কোন দূর নয়) আজ থেকে ৫ বছর পূর্বে যখন স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে মা তোমাকে ছেড়ে আসি এই সর্বদা ব্যস্ত শহর, মা তোমার অনেক উপদেশ ছিল সাথে, জানি না যান্ত্রিক শহরে তোমার কতটুক উপদেশ পালন করতে পেরেছি। কিন্তু সর্বদা চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যৎ এও উপদেশ মেনে চলতে চেষ্টা করব। মা জানি তোমার ছেলেকে যখন পাঠিয়ে দিয়েছ, এই ব্যস্ত শহরে তখনি হারিয়েছ এই ছেলেকে কাছে থেকে পাওয়া, কাছে থেকে দেখা।

আমি হয়ত জীবিকার তাগিদে আর ফিরে যেতে পারব না ওই সবুজ ঘেরা বৃক্ষরাজি পূর্ণ তোমার ওই বাড়ীতে ফলে মা তোমাকে আমার অনেক দূর থেকেই ভালবেসে যেতে হবে। জানি না মা তোমাকে আমি কতটুকু ভালবাসি। এও জানি না ভবিষ্যৎ এ কতটুকু ভালবাসতে পারব। সুধু জানি যে মা আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি.। আজ তোমার এই জন্মদিন না থাকলে হয়তো আমার এই পৃথিবীতে আসা হত না ।

আর এই পৃথিবীর অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা হত না কিংবা এই পৃথিবীর মানুষদের এত ব্যস্ততা দেখতে পারতাম না। অনূভব করতে পারতাম না মানুষের ভালবাসা কিংবা মানুষের নিষ্ঠুরতা। দেখতে পারতাম না এই ব্যস্ত শহরে রাস্তায় পরে থাকা অসহায় মায়ের কোলে ক্ষূধার্ত শিশুর কান্না, একই সাথে দেখতে পারতাম না মস্ত বড় স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে সন্তান এর পাশে মা। সবশেষে শুভ জন্মদিন আম্মাজান ইতি তোমার দীর্ঘায়ু কামনায় তোমারই অবু্ঝ ছেলে আবেগ পূর্ণ লেখাটি ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। (বানান ভুল হলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।