আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নব গ্রহঃ বৈজ্ঞানিক অনু কল্পকাহীনি

ভালো মন ছাড়া মানুষ আর স্বাদহীন ইলিশ মাছ একই কথা

রকেটের দরজাটা খুলতে না খুলতেই হুড়মুড়িয়ে বেড়িয়ে এল সালেহ। চারপাশে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেল সে। দেখতে অনেকটাই আদিম পৃথিবীর মত। নতুন এই গ্রহেই ঘর বাধবে সালেহ আর স্পর্শ। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীকে চির বিদায় জানিয়ে এসেছে ওরা।

নতুন গ্রহে ঘর বাধার স্বপ্ন গুলো উকি দিতে লাগলো সালেহ এর চোখে। হঠাত্‍ স্পর্শের কথা মনে পড়তেই পিছনে ফিরে তাকাল সে। ঐতো স্পর্শ বেরিয়ে আসছে। কি অপূর্বই না লাগছে ওকে। সালেহ ওকে দেখে একটা মুচকি হাসি হাসল।

এখনই স্পর্শ এই নতুন গ্রহে পা রাখতে যাচ্ছে। রকেট থেকে বেরুতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে স্পর্শ টলে পড়ে গেল। কি ঘটলো কিছুই বুঝলো না সালেহ। দ্রুত স্পর্শের পাশে এসে বসল সে। স্পর্শের ঠিক মাথার মাঝখানে একটা গোল গর্ত হয়ে রয়েছে।

ঠিক যেমনটা লেজার বীম গানের আঘাতে হয়। সালেহ কিছুতেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না কি হয়েছে। এই গ্রহে কে আছে যে এই কাজ করবে। স্পর্শকে ছাড়া সালেহ কখনোই বাঁচতে পারবে না। হঠাত্‍ করে সালেহ বুঝতে পারলো তাকে কি করতে হবে।

সে দ্রুত রকেটের ভিতরে গিয়ে টাইম মেশিনে বসল। সময়টাকে ঠিক ১০ মিনিট পিছিয়ে নিয়ে গেল সে। আকাশের দিকে তাকাল সে। ঐতো রকেট টা আসছে। হঠাত্‍ আরেকটা কথা মনে পড়ে গেল তার।

আরে এই সময়েও তো আরেকটা সালেহ আছে। ওকে সরিয়ে দিতে হবে। তাহলেই স্পর্শকে ফিরে পাবে ও। দ্রুত একটা গাছের পিছে গিয়ে লুকোল সে। ঐতো ২য় সালেহ বেরিয়ে আসছে।

লেজার বীম গানটা বের করলো ১ম সালেহ। ২য় সালেহ এর দিকে তাক করে নিশানা ঠিক করে ট্রিগার চাপলো সে। একি, ২য় সালেহ পিছে ঘুরে গেল, লেজার বীমটা তখন বেরিয়ে আসতে থাকা স্পর্শের মাথায় গিয়ে লাগলো। টলে পড়ে গেল স্পর্শ। ২য় সালেহ দৌড়ে গেল।

কিছুখন পড়েই রকেটের ভিতরে ছুটে গেল সে। ১ম সালেহ হতভম্ব হয়ে গেল। গোলমালটা বুঝে গেল সে। ওকে থামাতে হবে এখনই। ছুটে রকেটের ভিতরে গেল সে।

কিন্তু না, দেরী হয়ে গেছে। ২য় সালেহ টাইম মেশিনে করে সময়ের পিছনে চলে গেছে ততখনে। মাথাটা ধপধপ করা শুরু করলো সালেহ এর। সময়ের চক্রে বাধা পড়ে গেছে সে। এখন অনন্ত সময় ধরে একই ঘটনা ঘটে যাবে।

যেন চলমান নাটকের শেষ অংশের অফুরন্ত পুঃন মন্চায়ন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।