আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক্স-রেতে সব ধরা পড়ে না।



হাড়ে চিড় ধরা কিংবা শরীরের ভেতরের অন্য কোনো ক্ষত চিহ্নিত করতে বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি হচ্ছে এক্স-রে। এর মাধ্যমে সমস্যাটা চিহ্নিত করে সেভাবে তার চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমান চিকিত্সা পদ্ধতিতে এক্স-রের গুরুত্ব তাই অপরিসীম। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এর একটা গলদ ধরা পড়েছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এক্স-রের পরও হাড়ে যে পরিমাণ চিড় ধরেছে, তার এক-তৃতীয়াংশ গোপন থেকে যায়।

বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির চিকিত্সকরা এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যথার্থ মানসম্পন্ন একটি এক্স-রে মেশিনের পক্ষেও পুরোপুরি সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব নয়। তারা ৯২ রোগীর এক্স-রে ফলাফলকে এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখার পর এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত হন। তারা দেখেছেন, এক্স-রে করার পরও আরও ৩৫টি চিড় বা ক্ষত স্ক্যানারে ধরা পড়েছে। এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান জার্নাল অব রন্টজনোলজি নামের একটি চিকিত্সা সাময়িকীতে। গবেষক দলের প্রধান ড. চার্লস স্প্রিটজার বলেন, ‘কোমর বা পায়ের হাড়ের চিড় ধরা নির্ণয়ের কাজটা বেশিরভাগ সময় এক্স-রের সাহায্যেই করা হয়।

তাই দেখা যায়, এক্স-রে রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিত্সা করার পরও অনেক সময় রোগী জটিলতা থেকে মুক্তি পান না। রোগীদের অভিযোগের পর দেখা গেছে, এক্স-রে যেখানে ১৩টি চিড় বা ক্ষত ধরতে পেরেছে, সেখানে এমআরআই স্ক্যান ধরেছে ২৩টি। আরও ১৫ রোগীর ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, এমআরআই স্ক্যান এক্স-রে মেশিনে শনাক্ত করা ক্ষতের চেয়ে আরও ১২টি বেশি শনাক্ত করেছে। আবার ১১ রোগীর ক্ষেত্রে এমআরআই কোনো ক্ষত বা ভাঙা দেখতে পায়নি। তাদের ক্ষেত্রে এক্স-রের ফলাফল হলো, দুই বা তিনটি চিড় বা ভাঙা থাকতে পারে।

গবেষকরা বলেছেন, এক্স-রের ফলাফলে সন্দেহ থাকলে চিকিত্সকদের বরং এমআরআই স্ক্যানার ব্যবহার করাই ভালো। বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি জরুরি। কারণ কোমর বা ওই ধরনের কোনো ক্ষতে তাদের জন্য মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত থাকে। ড. স্প্রিটজার বলেন, ‘কোমর বা পায়ের ক্ষতে সঠিক ডায়াগনসিস খুবই জরুরি বিষয়। তাহলে তাদের চিকিত্সার ব্যাপারে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।

তাছাড়া ক্ষত বা চিড় ধরেনি, এমন রোগী চিহ্নিত করার জন্যও এমআরআই স্ক্যান দরকার। ’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।