আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফের ১৮ লাখ রুপির মালা মায়াবতীর গলায়


মোহাম্মদ আবুল হোসেন: উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী আবারও রুপি দিয়ে বানানো মালা পরলেন। বুধবার এক অনুষ্ঠানে তাকে ওই মালাটি পরানো হয়। সোমবার তাকে শুধুমাত্র এক হাজার রুপির নোট দিয়ে বানানো বিশাল একটি মালা পরানো হয় তার বহুজন সমাজ পার্টির ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে। তাতে যে রুপি ব্যবহার করা হয়েছে তার মোট পরিমাণ ২১ লাখ রুপি থেকে ১৫ কোটি রুপি। তা নিয়ে ভারতজুড়ে সমালোচনা প্রবল।

তারই মধ্যে তিনি বুধবার আবার একই রকম আরেকটি মালা পরলেন। বুধবারের মালায় যে রুপি ব্যবহার করা হয়েছে তার পরিমাণ ১৮ লাখ রুপি বলে জানিয়েছেন তার দলেরই নেতা। কিন্তু এত অর্থ তারা কোথায় পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এজন্য ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ তদন্ত করে দেখতে চেয়েছে। এ ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস, বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টি।

কিন্তু তাতে মায়াবতী বা তার দলের নেতাদের যেন কিছুই এসে যায় না। মায়াবর্তীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকী বুধবারের সমাবেশের পর বলেছেন- মায়াবতী যেখানেই যাবেন সেখানেই তাকে রুপি দিয়ে বানানো মালা উপহার দেয়া হবে। তাতে কোন ফুল থাকবে না। সোমবার মায়াবতীকে যে মালাটি উপহার দেয়া হয়েছে তাতে মোট ২১ লাখ রুপি ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। নাসিমুদ্দিন আরও বলেন, আমরা দলের প্রধান মায়াবতীকে ১৮ লাখ রুপি দিয়ে বানানো একটি মালা উপহার দিয়েছি।

নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকী বহুজন সমাজ পার্টির সাধারণ সম্পাদকও। তিনি ঘোষণা দেন, তিনি এখন থেকে যে সব সমাবেশে যোগ দেবেন সেখানেই তাকে রুপি দিয়ে বানানো মালা উপহার দেব আমরা। এ নিয়ে দলের ভিতরে বাইরে সমালোচনা হলেও তাতে পাত্তা দিচ্ছেন না মায়াবতী। ওদিকে বুধবারই আনন্দবাজার পত্রিকা ‘ঈর্ষা উস্কে দেওয়াই কৌশল, মায়া ব্যস্ত মৌমাছির তদন্তে’ শীর্ষক এক রিপোর্টে জানিয়েছে, বহুজন সমাজ পার্টির ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে উত্তর প্রদেশের তামাম বিরোধী দল সরব। মুলায়ম সিংহ ‘টাকার মালার’ তদন্ত দাবি করেছেন।

টাকার উৎস খুঁজতে আয়কর দপ্তর নেমেছে তদন্তে। সংসদ অচল হয়েছে। কিন্তু বিএসপি নেতৃত্বের হেলদোল নেই। উল্টো সোমবার অনুষ্ঠানের মঞ্চের কাছে ‘মৌচাক’ নিয়ে রাজ্য পুলিশের এক ডিআইজিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। কেন তার বক্তৃতার সময়ে মৌমাছিরা কাছাকাছি উড়ছিল, তারই তদন্ত হবে।

সব দেখেশুনে, রাজনৈতিক মহলে এই চর্চাও হয়েছে, ‘দৌলত কি বেটি’ হয়ে ওঠা কি ‘দলিত কি বেটি’র রাজনৈতিক কৌশল!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।