আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন সেখানে মিউনিসিপ্যালটির বাজার



ঘটনটা ১৯৮২ সালের কোন একসময় ঘটাইয়াছি আমরা কজন। ময়মনসিংহ শহরে জুবলীঘাট থেকে নদীর পাড় ঘেষে কাচারীর দিকে যাইতে সোনালীব্যাংক এর অফিসের উল্টাদিকে এক কালীমন্দির তার পার্শেই মিউনিসিপ্যালটির খালি জায়গা। শহরের সমস্থ ময়লা ফালাইয়া ভরাট করেছে। ভরাট করার পর সেখানে কিছুদিন পর একটা গরিব পরিবার বস্তির মত ঘর উঠাইয়া বসবাস করতেছিল। এরও কয়দিন পর প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে বাউল গানের আড্ডা বসাইলো কয়েকজনে।

আমরা বন্ধুরা রাইতের বেলায় বাউল গান শুনতেগিয়াছি । আমার বাউন্ডুলে বন্ধুদের রাতের বেলায় আড্ডা ছিল প্রতিদিনের তবে বৃহস্পতিবারে বাউল গানের আসরের আড্ডায় থাকতাম। কোন এক অজানা নেশায়। রাতে যেখান টায় বাউল গান হইতো সেখানে লাল সামিয়ানা টাংগানো থাকতো সব সময়। কি এক কাজে আমি চলে যাই কিছু দিনের জন্য বোনের বাসা চট্টগ্রাম।

সেখানে একমাস ছিলাম, যেদিন ফিরলাম সেদিন রাতেই বের হলাম বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা পুষিয়ে নেয়ার জন্য। বাউল গানের জায়গায় গিয়া দেখি একটা নতুন ''কবর'' অল্প পাকা করা। আমার মাথা কাজকরছে না কি করবো? বন্ধুদের জিগাইলাম তারাও বলতে পারছেনা সঠিক ঘটনা। কার কবর? কে মরলো? আমি তখনই সেই গরিব লোকটাকে ডাকলাম সেও আমাদের ডাকে সাড়াদিয়ে আসলো তাকে জিগাইবার পর সে কিছুই বলতে চাইলো না। যাই হোক সেদিনের রাতের আড্ডা শেষে বাসায় ফিরে আমার আপন ছোট মামা বীর মুক্তিযোদ্দা কাজী সাইদুজ্জামান(পিনু) তাকে বল্লাম।

মামা শুনে বলছে আমিও জানি ঘটনা। মামা আমাকে বল্লো এই নিয়া আমরাও চিন্তায় আছি। আমি মামা কে বল্লাম চিন্তার কিছু নাই সিধা উঠাইয়া দেওয়া। মামা আমাকে বল্লো তোরা আগেই কিছু করিছ না। আমরা বিষয়টা নিয়া পাড়ার মুরব্বীরা কথা বলতেছি।

পরদিন বিকালে বন্ধুরা মিলে আবার গেলাম সেখানে কাউকেই পেলাম না তবে গরীব লোকটাকে বলে আসলাম যারা কবর বানাইয়াছে তাদের কাউকে দেখলে আমাদের খবর দিতে। মামাকে আমি জিগাইলাম এইভাবে থাকলে এইটা সত্যি মাজার হয়ে যাবে। মামা আমাকে বল্লো যাই করি চেয়ারম্যান সাহেব কে জানাইয়া করতে হবে। আমাদের চেয়ারম্যান বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্দা প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান। তার কাছে পরদিন আমরা সকলে গেলাম তার কলেজে চেয়ারম্যান সাহেব এর কাছে।

সেও আমাদের সাথে কথা বল্লো আর মামাকে বল্লো পিনু যা করার কর আমি তোদের সাথে আছি। সে ভাবে আমার ও এলাকার লোকজন মিলে সেখানে গিয়া মাজার কে ভাংলাম এবং দেখলাম কবর খুদাই হয় নাই। মাটির উপরে কবরের মত সিমেন্ট দিয়া বানাইয়াছে। আমরা একটু ভয়ে ছিলাম কারন যদি সত্যি কবর থাকে !!!! কিন্তু কবর না থাকায় খুশি হলাম। এখন সেখানে মিউনিসিপ্যালটির বাজার তার উল্টা দিকে মিউনিসিপ্যালটি সুপার মার্কট মাজার পুজাকে না বলুন.


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।