আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, পানি-বিদুৎ-গ্যাস কিছুই নাই...........

সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়......

গ্যাস-বিদুৎ-পানির তীব্র সংকটে নাভিশ্বাস তুলছে ঢাকাবাসী। ভোগান্তির যেন অন্ত নেই। রান্না-বান্না, খাওয়া দাওয়া থেকে শুর“ করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌছেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সংকট সহ্য¶মতার বাইরে চলে গেছে। অসহনীয় এই দুর্ভোগ নিরসনের জন্য বারবার যথাযথ কর্তৃপ¶ের কাছে দাবি উত্থাপন করা হলেও তারা এর কোনো প্রতিকার করছে না।

নগরবাসীর অভিযোগ, দিনের অধিকাংশ সময়েই বিদ্যুৎ থাকে না। এই কারণে শহরে চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। অনেকের বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র, মোবাইল ফোনসেট চুরি হয়ে যাচ্ছে। পথে ঘাটে ছিনতাই হচ্ছে অহরহ। গ্যাস সংকট এখন দৈনন্দিন ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

কলে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি আসায় দিন দিন চর্মরোগ বাড়ছে। শি¶ার্থীদের লেখা-পড়া গুর“ত্বপূর্ণ সময়টিতেই বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে বিপাকে পড়েছে এইচএসসি পরী¶ার্থীরা। এ ব্যাপারে লালবাগের বাসিন্দা মুজিবুর রহমান জানান, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত গ্যাস তো থাকেই না। কোনো কোনো দিন আসেই না।

অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। তাই কতটুকু থাকে এই হিসাবটা সহজেই দেওয়া যাবে। তিনি বলেন, আমাদের ভোগান্তির চরম পর্যায় পৌছে গেছে। আমরা এলাকাবাসীর সঙ্গে একাধিকবার বসেছি। খুব শিগগিরই এই সমস্যা সমাধান না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাসিনা রহমান বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে পানির সমস্যাও তীব্র হচ্ছে। পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ এখন হরহামেশাই ঘটছে। পানি খাওয়া তো দুরের কথা গোসল করাই কষ্টকর। মনে হয় যেন ড্রেনের পানি। পোস্তগোলার হাসনাবাদের গৃহবধু সায়েমা হোসেন পিঙ্কি জানান, বিদ্যুৎ লাইনের ট্রান্সমিটার চুরি হয়ে গেছে।

ফলে ৪/৫দিন ধরে বিদ্যুত নেই। একই সঙ্গে পানির সমস্যাতো আছেই। গ্যাস তো সকালে আসে দুপুরের আগেই চলে যায়। মোহাম্মাদপুরের আদাবরের বাসিন্দা কামর“ল হোসেন বললেন, বিদুৎ পানি ও গ্যাস সমস্যা এত বেশি হচ্ছে যে, সরকারের উচিত এর দিকে নজর দেওয়া, নইলে নগরবাসি যে কোনো সময় রাস্তায় নামতে পারে। খিল¶েত দ¶িণ নামাপাড়ার বাসিন্দা ফয়সাল আহম্মেদ জানান, আমাদের এখানে পানি দিনে একটু সময় পাওয়া যায়।

আর তখন যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে তো সেদিন পানিই পাওয়া যায় না। মহাখালীর গৃহবধু সোনিয়া আক্তার জানান, বিদ্যুৎ দিনের মধ্যে যে কত বার যায় তার কোনো হিসেবই নেই। চরম ভোগান্তির মধ্যে দিনাতিপাত করছি। সামনে পরী¶া, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। নিকুঞ্জের গৃহিনী শিলা জানান, আমাদের এখানে গ্যাসের সমস্যা নিত্যদিনের. দিনে দুই ঘন্টারও কম গ্যাস থাকে।

তাই সকালের নাস্তা কখনও দুপুরেও করতে হয়। আবার কখনও দুপুরের বাসী খাবার রাতেও খেতে হয়। ফার্মগেটের মনিপুরী পাড়ার বাসিন্দা সুমন বলেন, পানির সংকটের কারণে গোসল করতে পারি না। তিনি আরো বলেন, গরম তো পুরোপুরি শুর“ই হয়নি। এখনই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে পুরো গরমের সময় কী হবে তা ভেবেই পাই না।

নাখালপাড়ায় পানি নেই তিন দিন। সেখানকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, খাবার পানি কিনে খাই। কিন্তু গোসল করার তো কোনো উপায় নেই। তিন দিন হলো গোসল করি না। শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা লাইজু আক্তার বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি গ্যাস নেই।

বাথর“মে দেখি পানি নেই। আর দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকেই না। শুধু নেই আর নেই। মিরপুরের ব্যবসায়ী সাবু জানান, সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। সকালে পানি পেতেও একই সমস্যা।

বিদ্যুৎ তো ঘন্টায় ঘন্টায় যাচ্ছে আর আসছে। আমরা এ থেকে পরিত্রান চাই। নইলে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।