আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'বিদ্যুৎই থাকে না আবার দাম বাড়ানো'

সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়......

আপনি এন সাথে একমত?........... 'বিদ্যুৎ দেওয়ার ক্ষমতা নেই, দাম বাড়ানোর বেলায় ষোল আনা'_ এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন মাদারটেকের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ। বললেন, 'রাজধানীর অনগ্রসর এলাকা হওয়ায় আমাদের দিকে কারো নজর নেই। এখানে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝেমধ্যে আসে। এর ওপর দাম বাড়ানোর খবর!' নূর মোহাম্মদের মতো আরো অনেকেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর খবরে বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শীতের দিনগুলো এক রকম নির্বিঘ্নে কাটলেও গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন বলে তাদের মন্তব্য।

মিরপুরের শেওড়াপাড়ার সরকারি কর্মকর্তা আবুল হোসেন হতাশ কণ্ঠে বলেন, 'বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই, পানির হাহাকার_এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টি সুসংবাদ হওয়ার কোনো কারণ নেই। ক্রমেই আমরা যেন সিস্টেমের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ছি। আমাদের ভোগান্তি দূর করার চেয়ে সরকারের সব চেষ্টা দাতাদের তুষ্ট করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ' বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লোডশেডিংয়ের সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। আর রাত গভীর হলে তা অনেক সময় অসহ্য হয়ে ওঠে।

বিদ্যুতের অভাবে ওয়াসার পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও সংকটের মুখে পড়ছে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। রামপুরা এলাকার একটি বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে পানি সংকট তৈরি হয়েছে। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি পানি তোলার মোটর নষ্ট হয়ে গেছে এ কারণে। ওয়াসাও ঠিকমতো পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যুতের অভাবে সবচেয়ে বেশি ধুঁকছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানাগুলো।

বড় কারখানাগুলো বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের মাধ্যমে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিলেও যাদের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা নেই, তারা সবচেয়ে বেশি দুরবস্থার শিকার। ছোট তৈরি পোশাক কারখানায়ও বিদ্যুতের অভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে। শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, অন্যান্য নগরী ও জেলা শহরেও লোডশেডিংয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। আর গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎ না থাকাকে নিয়তি হিসেবেই ধরে নিয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাটের আজিজুল ইসলাম বলেন, 'বিদ্যুতের অভাবে তাঁর ফার্মেসিতে সংরক্ষণ করে রাখা অনেক দামি ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে।

' তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা দাবি করছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। পিডিবির সদস্য (বিতরণ) জামাল উল্লাহ বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতিকে অসহনীয় মানতে নারাজ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় এখন যে হারে লোডশেডিং করা হচ্ছে, তা খুব বেশি নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেচ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ঘাটতি মোকাবিলায় সপ্তাহজুড়ে গড়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হচ্ছে। পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম (উৎপাদন) কালের কণ্ঠকে বলেন, গত সোমবার (৪০৭০ মেগাওয়াট) ও মঙ্গলবার (৪০৫৫ মেগাওয়াট) চার হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ায় চাহিদার সঙ্গে অনেকটা তাল মেলানো সম্ভব হয়েছে।

তিনি জানান, দিনের বেলা নগরীতে কিছু মাত্রায় এবং সন্ধ্যায় গ্রামাঞ্চলে বেশি পরিমাণে লোডশেডিং করা হচ্ছে। অপরদিকে সেচকাজে বিদ্যুৎ বিতরণে প্রাধান্য দেওয়ায় রাত ১১টার পর নগরীতে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পিডিবির কর্মকর্তারা বলেন, গ্যাসের সংকটকে কেন্দ্র করে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ পাওয়া গেলে লোডশেডিং মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে না বলে তাদের আশাবাদ। তা না হলে পরিস্থিতি ভিন্ন রকম হতে পারে।

'বিদ্যুৎ দেওয়ার ক্ষমতা নেই, দাম বাড়ানোর বেলায় ষোল আনা'_ এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন মাদারটেকের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ। বললেন, 'রাজধানীর অনগ্রসর এলাকা হওয়ায় আমাদের দিকে কারো নজর নেই। এখানে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝেমধ্যে আসে। এর ওপর দাম বাড়ানোর খবর!' নূর মোহাম্মদের মতো আরো অনেকেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর খবরে বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শীতের দিনগুলো এক রকম নির্বিঘ্নে কাটলেও গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন বলে তাদের মন্তব্য।

মিরপুরের শেওড়াপাড়ার সরকারি কর্মকর্তা আবুল হোসেন হতাশ কণ্ঠে বলেন, 'বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই, পানির হাহাকার_এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টি সুসংবাদ হওয়ার কোনো কারণ নেই। ক্রমেই আমরা যেন সিস্টেমের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ছি। আমাদের ভোগান্তি দূর করার চেয়ে সরকারের সব চেষ্টা দাতাদের তুষ্ট করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ' বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লোডশেডিংয়ের সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। আর রাত গভীর হলে তা অনেক সময় অসহ্য হয়ে ওঠে।

বিদ্যুতের অভাবে ওয়াসার পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও সংকটের মুখে পড়ছে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। রামপুরা এলাকার একটি বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে পানি সংকট তৈরি হয়েছে। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি পানি তোলার মোটর নষ্ট হয়ে গেছে এ কারণে। ওয়াসাও ঠিকমতো পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যুতের অভাবে সবচেয়ে বেশি ধুঁকছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানাগুলো।

বড় কারখানাগুলো বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের মাধ্যমে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিলেও যাদের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা নেই, তারা সবচেয়ে বেশি দুরবস্থার শিকার। ছোট তৈরি পোশাক কারখানায়ও বিদ্যুতের অভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে। শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, অন্যান্য নগরী ও জেলা শহরেও লোডশেডিংয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। আর গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎ না থাকাকে নিয়তি হিসেবেই ধরে নিয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাটের আজিজুল ইসলাম বলেন, 'বিদ্যুতের অভাবে তাঁর ফার্মেসিতে সংরক্ষণ করে রাখা অনেক দামি ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে।

' তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা দাবি করছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। পিডিবির সদস্য (বিতরণ) জামাল উল্লাহ বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতিকে অসহনীয় মানতে নারাজ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় এখন যে হারে লোডশেডিং করা হচ্ছে, তা খুব বেশি নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেচ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ঘাটতি মোকাবিলায় সপ্তাহজুড়ে গড়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হচ্ছে। পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম (উৎপাদন) কালের কণ্ঠকে বলেন, গত সোমবার (৪০৭০ মেগাওয়াট) ও মঙ্গলবার (৪০৫৫ মেগাওয়াট) চার হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ায় চাহিদার সঙ্গে অনেকটা তাল মেলানো সম্ভব হয়েছে।

তিনি জানান, দিনের বেলা নগরীতে কিছু মাত্রায় এবং সন্ধ্যায় গ্রামাঞ্চলে বেশি পরিমাণে লোডশেডিং করা হচ্ছে। অপরদিকে সেচকাজে বিদ্যুৎ বিতরণে প্রাধান্য দেওয়ায় রাত ১১টার পর নগরীতে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পিডিবির কর্মকর্তারা বলেন, গ্যাসের সংকটকে কেন্দ্র করে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ পাওয়া গেলে লোডশেডিং মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে না বলে তাদের আশাবাদ। তা না হলে পরিস্থিতি ভিন্ন রকম হতে পারে।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.