আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উপজাতি-অউপজাতি বিভেদ

জসীমউদ্দীন,বালুখালী,রাঙ্গামাটি।

এই সব আর ভাল লাগে না। পাহাড়ের মানুষগুলো সুখে নেই,এটাই সবচে বড় সত্য। একদিকে উপজাতি অন্যদিকে অউপজাতি বাঙ্গালী। বাঙ্গালীদের যে স্বপ্ন দেখিয়ে এই পাহাড়ে আনা হয়েছিল তা পূরণ হয়নি।

তাদের সুনির্দিস্ট কোন ঠিকানা দিতে পারেনি সরকার। সরকার বিবেচনা করেনি আদৌ এই পাহাড় তাদের বসবাসের উপযোগী কিনা। তাদের রেশনকার্ডের মাধ্যমে অলস করা হয়েছে এ কথা যেমন সত্য,তেমন সত্য তাদের সন্তানদের শিক্ষা,চিকিৎসা,স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে মারাত্বকভাবে বঞ্চিত। অন্যদিকে উপজাতিদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধার নিশ্চয়তা দিচ্ছে সরকার। বেসরকারী সংস্থা ইউএনডিপি,এডিবিসহ স্থানীয় এনজিওসংস্থাসমূহ উপজাতিদের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে।

অপরদিকে বাঙ্গালীদের জন্য কিছুইনা। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সাথে পড়াশোনা করেও অউপজাতী হওয়ার কারনে বঞ্চিত হচ্ছে চাকরী থেকে। ফলে একটা ক্ষোভ জন্ম নিচ্ছে এসব বাঙ্গালীদের। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার যারা তারাও ভূমিহীন এবং তাদের আচরন অনেকটা হিংস্র। টিকে থাকার জন্য তারা যে কোন বর্বরতা করতে প্রস্তুত।

এবং তা হয়েছেও অতীতে। শান্তিবাহীনির হাতে যেমন অনেকে প্রাণ দিয়েছে তেমনি দাঙ্গাও কম করেনি। ফলে সেটেলার বাঙ্গালীদের সাথে উপজাতিদের সম্পর্ক সব সময় সাপে নেউলে। সবচে বড় কথা হচ্ছে এসব সেটেলাররা শান্তিবাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত হওয়ার ফলে তারা সেনাবাহিনীকেই আপন মনে করে এবং এই মনে করাটা খুব্ই স্বাভাবিক। অন্যদিকে উপজাতিদের একটা অংশ মনে করেন নির্যাতন, হত্যা,গুম,অপহরন এসবের মাধ্যমে সেটেলারদের উপর ভীতি সৃষ্টি করতে পারলে তারা এ এলাকা ছেড়ে সমতলে চলে যাবে।

আর সবচে বড় কথা হচ্ছে সম্প্রতি বাঘাইছড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় অনেকেই লাভবান। ১: এমন ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী রাখার স্বপক্ষে যৌক্তিকতা প্রমান করে। যারা অন্তত সেনাবাহিনী চাই তারা লাভবান। ২। ইউপিডিএফ এর শক্তি/সামর্থ প্রদর্শনের সুযোগ।

তাছাড়া এই চান্সে তাদের অনেক নেতাকর্মী রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে পাড়ি জমাবে ভিনদেশে। ৩। পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিরা নিপীড়িত নির্যাতিত (যতটুকু) তার চেয়ে হাজারগুন বেশী মিডিয়ার কল্যানে বিশ্বকে জানাতে পারা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহানুভূতি অর্জন। অনেকে বাঘাইছড়ির ঘটনার সাথে ভূমি বিরোধের কথা বললেও বাস্তবে কিন্তু তা নয়। এটি স্রেফ একটি রাজনৈতিক খেলা।

পরবর্তীতে বিস্তারিত লেখার আশা রাখি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।