আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবু অন্ধ বন্ধ করো না পাখা

গল্পের রাজত্বে বসবাস করছি আপাতত

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা মানুষকে আটকে রাখতে পারে না। অন্ধ লেখক হয়, খোঁড়া অভিনেতা হয়, কালা সুরকার হয়। মানুষ চাইলে কি না পারে, নিচের মহান ব্যক্তিদের কথা পড়লেই বুঝতে পারবেন Ñ ১. হোমার [খ্রীস্টপূর্ব ৮৫০- ] : বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুই মহাকাব্য ইলিয়াড ও অডিসির সৃষ্টিকর্তা এই মহাকবি ছিলেন অন্ধ। শুধু তাই নয়, তিনি অশিক্ষতও ছিলেন। তার মহাকাব্যগুলো সুর দিয়ে গেয়ে বেড়াতেন, কখনও স্রেফ আবৃত্তি করতেন তিনি।

আজ তাকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ লেখকদের তালিকায় ঠাঁই দেয়া হয়। ২. হোসে লুই বোর্হেস [১৮৯৯-১৯১৯] : আধুনিক ল্যাটিন সাহিত্বে বোর্হেসের অবদান অসামান্য। অথচ আর্জেন্টিনার এই মহৎ কবি, গল্পকার ও সমালোচক ছিলেন অন্ধ। ৩. লুউইগ ভন বেঠোভেন [১৭৭০-১৮২৭] : বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সুরকার লুউইগ ভন বেঠোভেন। ৩২ বছর বয়সে আংশিক কালা হয়ে যান।

৪৬ বছর পুরো বধির হয়ে যান। তার সেরা সুরগুলো শেষ বয়সেই করা। ৪. সারা বানহার্ড [১৮৪৪-১৯২৩] : হাঁটুর এক আঘাতে ১৯০৫ খোঁড়া হয়ে যান ১৯১৪ সালে পা কেটে ফেলতে হয়। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অভিনয় চালিয়ে যান। ফরাসী অভিনয়ের জগতে এখনও তাকে ‘স্বর্গীয় সারা’ বলে ডাকা হয়।

৫. মিগুয়েল ডি সারভান্তেজ [১৫৪৭-১৬১৬] : লিউপান্তোর যুদ্ধে ১৫৭১ সালে বা হাত খোয়ান। চরম দারিদ্রে বসবাস করেন, কিন্তু নিজেকে শুধু স্পেনে নয়, সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেন ডন কুইক্সটো লিখেন। ৬. হেলেন কিলার [১৮৮০-১৯৬৮] : ২ বছর বয়স থেকেই অন্ধ। শিক্ষক ও লেখক হিসেবে অমর হয়ে আছে। ১০ টি গ্রন্থ ও অসংখ্য লেখার পাশাপাশি অন্ধদের লেখার পদ্ধতি ব্রেইল আবিষ্কার করেন।

৭. জোসেফ পুলিৎজার [১৮৪৭-১৯১১] : সাংবাদিক, প্রকাশক, কংগ্রেস সদস্য পুলিৎজার ৪০ বছর বয়সে অন্ধ হয়ে যান। কিন্তু পরবর্তী ২৪ বছর জীবিতকালে তার কার্যক্রম অব্যহত রাখেন। তার রেখে যাওয়া বিশাল অর্থভান্ডার পুলিৎজার পুরস্কারসহ নানা কাজে লাগে। ৮. ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট [১৮৮২-১৯৪৫] : ৩৯ বছর বয়সে তার দুটো পা-ই পোলিওতে নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থাতেই তিনি নিউইয়র্কের গভর্নর ও চারবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন।

৯. হেনরি ডি তুলোজ লোত্রেক [১৮৬৪-১৯০১] : ১৪ বছর বয়সে পড়ে গিয়ে বিকৃত এবং পঙ্গু হয়ে যান। তার শারিরীক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। প্যারিসের বিখ্যাত এই চিত্রকর অসংখ্য লিথোগ্রাফ পোস্টার এঁকেছেন মুলান রু’র ক্যাবারে। ১০. হেনরি ভিস্কার্ড জুনিয়র [১৯১২- ] : পা ছাড়া জন্মে ছিলেন। তিনি হিউম্যান রিসোর্স সেন্টারের প্রেসিডেন্ট এবং এবিলিটিস ইঙ্ক-এর প্রতিষ্ঠাতা।

৯টি বই, অসংখ্য লেখা আর ১৩টি সম্মাজনক ডিগ্রী আছে তার। তিনি হোয়াইট হাউস কনফারেন্স অন হেন্ডিকাপের চেয়ারম্যান ও বহু সংগঠনের পরিচালক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।