আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর উপর ভরসা করা

হাফিজুর রহমান

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। ইসলাম বাস্তবধর্মী এবং মধ্যপন্থার তাকীদ দেয়। সে সন্যাসকে যেমন বাধ্যতামুলক করে নাই (অবস্থাভেদে অনুমতি আছে মাত্র), আবার আখিরাত ভুলে শুধু দুনিয়া নিয়েও ব্যস্ত থাকতে বলে নাই। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, তাওয়াক্কুল বলতে হাতপা গুটিয়ে কাজকর্ম না করে আল্লাহর উপর ভরসা বুঝায় না। শরীয়তের পরিভাষায় তাওয়াক্কুল হলো সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা তদবীর করে ফলাফলের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা।

এরকম অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আছে যে, অনেক চেষ্টা করেও কাজ হচ্ছে না, আবার তেমন কোন চেষ্টা ছাড়া সহজেই যাচ্ছে। তাওয়াক্কুলের সঠিক প্রয়োগ ব্যক্তির তাকওয়া এবং সামর্থ্যের (বস্তুগত) উপর নির্ভর করে। যেমন ধরুন, একজন ব্যক্তি প্রত্যন্ত অঞ্চলে আছেন। মধ্যরাত, যাতায়াতের সুবিধা নগন্য। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পরেছেন।

ডাক্তার নেই কাছাকাছি। সেক্ষেত্রে তার তাওয়াক্কুল হলো, তার জ্ঞান ও সামর্থ্যের মধ্যে রোগ নিবারনের যে উপায় জানা আছে, তা অবলম্বন করে আল্লাহর উপর ভরসা করা। এবার একই অবস্থা যদি শহরের বা চিকিৎসা সুবিধা আছে এমন কারো হয়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সুবিধা নিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করাই তাওয়াক্কুল। সুতরাং উপকরনাদি ব্যবহারে কোন দোষ নেই, কারন উপকরনাদি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা নেয়ামত। দোষ হলো এটা মনে করা যে, উপকরনের কারনেই ফায়দা হচ্ছে।

শুধুমাত্র আল্লাহ ইচ্ছে করলেই উপকরনাদি কাজে লাগবে। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিকভাবে তাওয়াক্কুল করার তাওফীক দিন। আরো বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন ইমাম গাজ্জালীর আরবাঈন বা কিমিয়ায়ে সাআদাত - পৃষ্ঠা ২৮২

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।