আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এটা কি গণতন্ত্র না রাজতন্ত্র ?

চলুন সবাই মিলে দেশ গড়ি - ভাবনাকে কাজে পরিণত করি৷

আজকের ইত্তেফাক-এর প্রথম পাতার খবরে দেখা গেছে সাজিব ওয়াজেদ জয়-কে দিয়ে বাংলাদেশে মুজিব-বংশের স্থায়ী শসনের রূপরেখা তৈরী করা হচ্ছে (Click This Link) ৷ ঠিক একইভাবে তারেক রহমানকে দিয়ে জিয়া-বংশ স্থাপিত হবে, তাও প্রায় নিশ্চিত মনে হচ্ছে। একি গণতন্ত্র? অতীতের পাল বংশ, সেন বংশ, দাশ বংশ, মুঘল বংশ, ব্রিটিশ রাজবংশ আর পাকিস্তানের খান-বংশের পর এবার আমরা দীর্ঘদিনের জন্য মুজিব-বংশ এবং জিয়া-বংশের শাসনে চলবো তা কি করে জাতি মেনে নিচ্ছে? আর তাও আবার গণতন্ত্রের লেবাছে রাজতন্ত্র? যে বাঙালিরা গণতন্ত্র ও স্বায়ত্ত-শাসনের দাবিতে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে প্রাণ দিয়েছে, আজ সেই বাঙালিই কি গণতন্ত্রের প্রহসনের মাধ্যমে এমন রাজতন্ত্র মেনে নিচ্ছে? জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে দেশের প্রতি তাদের গৌরবজ্জল আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য; কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাঁদের বংশধরকে আমরা রাজা-রানী বানিয়ে দেশকে তাদের সাম্রাজ্যে পরিনত করব ৷ যারা গণতন্ত্রের জন্য উনসত্তরে গণ-আন্দোলন করেছেন, একাত্তরে স্বাধীনতা-যুদ্ধ, আর নব্বইয়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাদেরকে আবার প্রস্তুত হতে হবে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে, যাতে দুই রানীর ছেলে জয় এবং তারেক বাংলাদেশকে তাদের পারিবারিক সাম্রাজ্য হিসাবে চূড়ান্ত রূপ দিতে না পারে । প্রতি পাচ বছর পর মুজিব কিংবা জিয়া বংশের একজনকে একটি লোক-দেখানো নির্বাচনের মাধ্যমে সিংহাসনে বসানোর নামই যে গণতন্ত্র নয়, তা জনগনকে বুঝানো দেশে-বিদেশে সকল নাগরিকের দায়িত্ব। সুতরাং গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য জনমত সৃষ্টি করুন এবং প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলুন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।