আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতিমন্ত্রীর পুত্রের বিয়ে বলে কথা!

..............................

বগুড়া থেকে ভাড়া করে আনা হয় ডেকোরেটর। ছয় দিন ধরে নির্মাণ করা হয় বিশাল প্যান্ডেল ও তোরণ। ১৮টি গরু, ১০০ খাসি ও তিন হাজার মুরগি জবাই করে খাওয়ানো হয় প্রায় ২০ হাজার অতিথিকে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয় শতাধিক পুলিশ সদস্য। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হকের ছোট ছেলে এস এম নাফিজ শামসের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে এসব আয়োজন করা হয়।

গতকাল শুক্রবার পাবনার বেড়া উপজেলার শহীদ আবদুল খালেক স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কয়েক দিন ধরে পরিশ্রম করে এ আয়োজন সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলার বিভিন্ন স্থান ও অন্যান্য জেলা থেকে আসা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজন। তাঁদের আপ্যায়ন করানো হয় পোলাও, রোস্ট, সবজি, ঝাল মাংস ও দই দিয়ে। বেড়ার মদিনা ডেকোরেটরের মালিক মো. ফজলুল হক জানান, বগুড়ার দত্তবাড়ীর উত্তম ডেকোরেটর ও বেড়ার মদিনা ডেকোরেটর অনুষ্ঠানে সাজসজ্জার কাজ করে।

গত শনিবার থেকে স্টেডিয়ামে সাজগোজের কাজ শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয় রান্নার কাজ। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে খাওয়ানো শুরু হয়। প্রতি বৈঠকে আড়াই হাজার লোককে খাওয়ানো হয়। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়া উপজেলা সদরের সিঅ্যান্ডবি মোড় থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকে তৈরি করা হয়েছে একটি বিশাল তোরণ। ভেতরে বড় প্যান্ডেলের চার অংশে অতিথিদের খাওয়ানো হচ্ছে। অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধানে নিয়োজিতদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অতিথিদের খাওয়ানোর জন্য ১৮টি গরু, ১০০টি খাসি ও তিন হাজার মুরগির মাংস রান্না করা হয়। অুনষ্ঠানে টেলিভিশন, ফ্রিজ, ডিনার সেটসহ প্রচুর উপহারসামগ্রী পাওয়া গেছে। মাংস কেটে আনা হয় কাশিনাথপুরের বেঙ্গল মিট (মাংস প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র) থেকে।

বেঙ্গল মিটের উত্পাদন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুম বলেন, ঠিক কতটুকু মাংস টুকরা করে নেওয়া হয়েছে, তা বলা সম্ভব নয়। পুলিশ সুপার নিবাস চন্দ্র মাঝি অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘ সময় পুলিশ মোতায়েনের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে আর কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জেলা প্রশাসক এ এফ এম মনজুর কাদির প্রথম আলোকে বলেন, অনুষ্ঠান আয়োজকদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। তাতে কত লোকের কথা বলা হয়েছে, তা বলা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হকের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছোট ভাই ও বেড়া পৌরসভার মেয়র মো. আবদুল বাতেন বলেন, অনুষ্ঠান সম্পর্কে যতটা শুনেছেন, ততটা হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকু করা হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।