আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাম বদলের জন্য এখনো বিশাল সুযোগ রয়ে গেছে

পাখি এক্সপ্রেস

প্রথমেই এক চায়না নাগরিকের কথা বলি। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রি সম্মেলন কেন্দ্রের নাম বদলের পর সেখানে এক মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে তিনি আসেন। কার ড্রাইভারকে বাংলিশে যখন বললেন বঙগোবনডু আন্টোর্যাটিক সোম্ম্যালোন ক্যান্ড্রো যাবেন, তখন সে বললো আই ডোন্ট নো অ্যাবাউট দিস। তারপর তিনি স্মরণ করিয়ে দিলেন পূর্বের নামটা। আইডিবি ভবনে সিটি আইটি ফেয়ারে নোটবুক পিসি কিনতে এসে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন এই মার্কেটটির যদি নাম বদল হয় তবে তা কি হতে পারে? সম্ভাব্য কয়েকটা নাম বলার জন্য অনুরোধ করলেন।

প্রাণভরে হাসি আসলেও বিষয়টাতে ভালোই লজ্জা পেলাম। এবার বলি জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম বদলের বিষয় নিয়ে রঙপুরের এক আওয়ামী মুরুব্বীর ভাবনা। তার কথার সারমর্ম এরকম -"বিমানবন্দরের সামনে থেকে লালনের ভাস্কর্য সরিয়ে এখন চূড়ায় আল্লাহু লেখা ভাস্কর্য হচ্ছে। বিমানবন্দরের নাম বদলিয়ে পীরের নামে রাখা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সরকারের কৌশল।

দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে পক্ষে নেয়ার জন্যই সরকার এসব করছে। যাতে করে বিচার প্রক্রিয়ায় জনরোষ সৃষ্টি না হয়। " - আল্লা মালুম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী ভাবনাও কি এরকম নাকি!! লোকটার ভাষ্যমতে যাদেরকে টার্গেট করা হয়েছে তারা ঘোরতর জিয়া ভক্ত। গ্রামের বেশিরভাগ মুসলমান ধার্মিকদের মনে জিয়ার স্থানটা বিশেষ কিছু। কেউ কেউ আবার বলছেন- "এটা খালেদা থেকেই হাসিনা শিখেছে"।

খালেদা যখন করেছে, তখন কাজটা ভালো না হলেও হাসিনারটা হালাল। নাম বদলের জন্য বা আত্মীয়স্বজনসহ আওলিয়াদের নামে নামকরণের জন্য এখনো বড় একটি খাত রয়ে গেছে। প্রথমেই আছে বিভাগের নামে নামাংকিত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। তারপর আছে জেলা স্কুল এবং কলেজ। তারপর আছে জেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সমূহ।

শহরের গণশৌচাগারগুলোর দিকে হয়তো আরো পরে নজর দিবে। বা অলৌলিকভাবেই হয়ে যাবে। এর বাইরে একটু চেষ্টা করলে আরো নামকরণ করা যেতে পারে। যেটা হবে মহা পরিকল্পনা। যেমন বিভাগ সমূহের নাম।

উদাহরণ স্বরূপ সিলেট বিভাগের নাম হতে মামা ভাগ্নে সিলেট বিভাগ শাহজালাল আর শাহপরানের মধ্যকার সম্পর্ক নাকি ভাবের মামা ভাগ্নে। জেলার বিষয়েও একই রকমভাবে নোয়াখালী জেলার নাম হতে পারে মালেক উকিল নোয়াখালী জেলা। কারণ মালেক উকিল নোয়াখালীর অনেক বড়ো আওয়ামী নেতা এবং বাংলাদেশের সর্বপ্রথম স্পীকার ছিলেন। এভাবে দেখে দেখে প্রতিটি বিভাগ, জেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম বা মহল্লার নামকরণও করা যেতে পারে। এরজন্য নামকরণ নামে একটি মন্ত্রনালয় খোলা যেতে পারে।

একই সাথে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সহ অন্যান্য যা যা দরকার। নামবদলের এই ধারাবাহিকতার শেষ কোথায় হতে পারে? সবকিছু শেষ হয়ে গেলে খালেদা আর হাসিনা নিজেদের নামই বদল করে ফেলবেন। শেখ হাসিনা = খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া = শেখ হাসিনা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।