আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭১ পাকিস্তানের গৃহ যুদ্ধ ছিলো? এই রকম ভাবলে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া কি হবে?

পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি

৬. ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১৯ comment by: সততার আলো বলেছেন: সংগঠন কোন প্রানী নয় যে, একে গলা টিপে মেরে ফেললে তার মৃত্যু ঘটবে। সংগঠন হলো একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সুনির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি অনুসরনকারী মানুষের একটি দল, যারা তাঁদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নে অটল। সরকার যদি গত সংসদ নির্বাচনের আগের কিছু মূর্খ লোকের দেয়া সংজ্ঞায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চেষ্টা করে দেশে বিরাজমান ইসলামী আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে তবে আমার মতে এটা তাদের দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই হবেনা। হয়তো "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী" নামে একটা দল নিবন্ধন হারাবে, কিন্তু ইসলামী সমাজ কায়েমের নেশা কি থেমে যাবে এ আন্দোলনের কর্মীদের হৃদয় থেকে? হত্যা খুন আর জেল একটা শরীরকে আটকে রাখে কিন্তু অবাধে বিচরনশীল আত্নাকে থামিয়ে রাখতে পারেনা। শারীরিক অত্যাচারের শরীরকে পঙ্গু করা যায় আত্নাকে নয়।

৭১ এর গনহত্যার প্রতি যদি কারো কোনরূপ সামান্য অবদানও থাকে তবে তার বিচার হওয়া উচিত, ৭১ এ পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে বিভক্তিকে কেউ যদি অসমর্থন জানায় তা যুদ্ধাপরাধ হতে পারেনা। আদালত যখন স্বচ্ছভাবে বিচার করতে যাবে তখন প্রকৃত অপরাধীরই বিচার হবে, কিন্তু মূর্খ মিডিয়াগুলো যেভাবে নিরীহ জনগনের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ায় তার জন্যে তাদেরও বিচার করা উচিত। যুদ্ধাপরাধের বিচার: রাষ্ট্র কার বিচার করে পি মুন্সীর উপরের পোস্টে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের দাম দিয়ে কেনা স্বাধীনতার যুদ্ধকে " পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ" বলে সততার আলো চরম অপমান করেছেন । এইটা পার পাইলো কি ভাবে? কারোরই কি চোখে পড়ে নাই? কেউই রিপোর্ট করে নাই? ------------------------- সততার আলোকে তীব্র ধিক্কার জানাই । আর পি মুন্সীর গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি সবাইকে পড়তে অনুরোধ জানাই ।

আমরা যারা যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই, তারা আসলে কি চাই ? ১। জামাত শিবির নির্মূল ? ২। ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার সুযোগ নির্মূল ? ৩। যুদ্ধের সময় যেই সব ব্যক্তি অপরাধ করেছে শুধু তাদের নির্মূল? , নাকি, ৪। যারা যুদ্ধের সময়ে অপরাধ করেছে , তাদের বিচার এবং বিচারের রায়ে যা হয় তাই ? আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রক্রিয়াটা কি ভাবে হোক চাই? ১।

নির্মূল করার লক্ষ্যে হত্যার মাধ্যমে ( ফাঁসি) , বিচার আচার দরকার নাই । ২। দেশের আইন আদালতের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াকে নিজ গতিতে চলতে দিয়ে ( সেক্ষেত্রে রায় মনপূত না হলে আমরা কি সেই রায় মেনে নিতে পারবো ? বিচার কি নিরপেক্ষ হবে? গোলাম আযমের নাগরিকত্ব মামলার মতন হবে নাত?) নাকি, ৩। কোন রকম শাস্তির ব্যবস্থা না রেখে নিঃশর্ত অপরাধ স্বীকারের ট্রুথ কমিশন গঠন করে ? ( সাউথ আফ্রিকায় ট্রুথ কমিশন এর মত ) আমরা যে যাই চাই , সেই চাওয়া যদি পেয়ে যাই, তার পরিণতি কি হবে? আর যদি না পাই, তাহলে আমরা কি করবো? আমরা কি ভেবে দেখেছি? এই প্রশ্নটা করার যথেষ্ট কারণ আছে । সততার আলোর মত অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় বা করে , ৭১ এর যুদ্ধ ইন্ডিয়ার ফুসলানিতে বাধায় দেওয়া গৃহযুদ্ধ ছিলো ।

এই বিশ্বাসীদের সংখ্যা কত? জামাত শিবিরকে হত্যা শুরু করলে এই গোষ্ঠী কি চুপ করে বসে থাকবে? আমরাই বা তাদের নিয়ে কি করবো? ( বলে রাখি, শাস্তি বিহীন ট্রুথ কমিশন আমি মানতে পারবো না , দরকার হইলে আরো ৫০ বছর ধাওয়া করে , ধরে , বিচার ও শাস্তি দেওয়ার পক্ষপাতি আমি)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।