আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক মামলায় ১৫৮৫ জন আসামি!!!



এক মামলায় এতো জন আসামী। এক ছাত্রলীক কর্মীকে হত্যা করেছে ১৫৮৫ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী!!! অথচ বাকি ৬ ছাত্রের লাশ কোন ব্যাপারি না সরকারের কাছে। এর থেকে বেশী আসামি আর কোন মামলায় আছে কিনা জানি না আপনারা কেউ জানেন কি? পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা, ককটেল ফাটানো ও ধবংসাত্বক কার্যকলাপের অভিযোগে এক হাজার ৫৮৫ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে চট্টগ্রাম কোতয়ালি থানা পুলিশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থী এএএম মহিউদ্দিনকে নিজেদের কর্মী দাবি করে লাশ চেয়ে শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীতে বের করা জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের মিছিল থেকে আটক করা ৯০ জনের মধ্যে ৮৫ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে আছেন- চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আহসানউল্লাহ, নগরীর পাহাড়তলী শাখার সভাপতি আব্দুল হান্নান ও জামায়াতের সহযোগীয় সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা লুৎফর রহমান।

কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পথচারী হওয়ায় আটক পাঁচজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলায় বাকি ১৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি জানান, কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমি বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন (নম্বর-৩২)। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জামায়াত নেতা আহসানউল্লাহকে। গ্রেপ্তারকৃত ৮৫ জনকে নগরীর বিভিন্ন থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে বলে এসআই জহিরুল জানান। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এএএম মহিউদ্দিনকে। ছাত্রশিবির মহিউদ্দিনকে তাদের কর্মী দাবি করছে। তবে মহিউদ্দিনের বাবা মো. ফজলুল কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাদের কেউ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।

মহিউদ্দিনের লাশ চেয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামী নেতা শাহজাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক জামায়াত ও শিবির নেতা-কর্মী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা মর্গের সামনের রাস্তায় সমাবেশ করে। এরপর জামায়াত ও শিবিরকর্মীরা মিছিল নিয়ে এগোলে জামাল খান মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। ওই সময় শিবিরকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছুড়লে পুলিশ পাল্টা লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সংঘর্ষে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম,কোতয়ালি থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন।

------------বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।