আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়েত-শিবিরের নাস্তিকদের নিয়ে আজকের আন্দোলন "শিরক" এর সমতুল্যঃ

মানুষ হয়েও মানুষ হতে হয় পুনরায়। কোনো কিছু করার ইচ্ছাকে ইসলামে “নিয়ত” বলা হয় । নিয়ত ভালো খারাপ দুটোই হতে পারে । যখন কেহ শুধুমাত্র “আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার” উদ্দেশ্যে কোনো ইবাদত করে সেটাকে “ইখলাস” বলা হয় । আর কেহ লোক দেখানো বা অন্য কোনো উদ্দশ্যে “ইবাদত” করলে সেটাকে “রিয়া” বলা হয় ।

আল্লাহ্‌ পাক কোরআন শরীফে বলেন: وَقَدِمْنَا إِلَى مَا عَمِلُوا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَاء مَّنثُورًا "আমি ছাড়া অন্যের সন্তুষ্টির জন্য তারা যেসব আমল করবে , আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণা করে দেব। "(সুরাহ ফুরকান:২৩) হযরত মুহম্মদ ইবনে লবীদ (রা থেকে বর্নিত । রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) বলেন “আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শিরক থেকে খুব ভয় করছি । সাহাবীরা বললেন – ইয়া রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) ছোট শিরক কি ? রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) বললেন , তা হোলো “রিয়া” বা “লোক দেখানো ইবাদত” উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, ইসলামের মতে আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কোনও লোক দেখানো কিংবা অন্য কোনও উদ্দেশে যদি কোনও আমল করা হয় তবে তা শিরক এর সমতুল্য। কিন্তু, বর্তমান জামায়েত-শিবির আজ শুক্রবার যে আন্দোলন করছে তার নিয়ত কি তা বুঝতে হবে ।

কেউ যদি মনে করে যে, আল্লাহ্‌র নবী(সাঃ) কে কটূক্তি করে ও কোরআন অবমাননা করার জন্য সেই নাস্তিক দের বিরুদ্ধে আন্দোলন তবে তা সম্পূর্ণ ভুল। একটু গভীর ভাবে চিন্তা করুন। আসিফ মহিউদ্দিন বলেন আর অন্য সকল নাস্তিকদের কথাই বলুন, তারা কোরআন কে অবমাননা করে অথবা মোহাম্মদ (সাঃ) কে কটূক্তি করে যদি কোনও ব্লগ লিখে থাকে তবে তা অনেক বছর আগেই প্রথমে শুরু করেছে এবং শেষ লেখা কয়েকমাস আগে লিখেছে। গত কয়েক মাসে তারা এসব নিয়ে কিছুই লিখেনি। কিন্তু যখন লিখেছে তখন তার বিরুদ্ধে কোনও আন্দোলন করেনি তারা।

কেন তারা এতদিন পর আজ আন্দোলন করছে? তাদের এই আন্দোলন কি ইসলামের জন্য আন্দোলন? এই আন্দোলন তাদের নিজেদের পিঠ ঠেকাতে আন্দোলন। তাদের অপকর্ম গুলো লুকিয়ে রাখার জন্য আন্দোলন। গত ১৭ দিন শাহবাগে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে জনতা। তাই তারাও বিপরীত আন্দোলনের ইস্যু খুজছিল। এবং তারা তা পেয়ে গিয়েছে।

তাদের উদ্দেশ্য যদি আল্লাহ্‌র জন্য হতো তবে তারা আজ নয়, কয়েক বছর আগেই তা করতো। কিন্তু সেই সময় যদি এই আন্দোলন করতো তবে তাদের রাজনৈতিক কোনও ফায়দা পেত না। তাই তারা সেদিন কোনও আন্দোলন করেনি। বরং এই সময়ে এসব ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করলে তারা জামায়েত-শিবির কে একটি ইসলামিক দল হিসেবে জনগনের সামনে তুলে ধরতে পারবে খুব সহজে এবং সেক্ষেত্রে ধর্মের এইসব আস্তিক-নাস্তিক ব্যাপার সেপার নিয়ে কাজে লাগাচ্ছে। এক কথায় ধর্ম কে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করাই প্রধান কাজ।

আর যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করতে পারে তারা এই দুনিয়াতে কিই বা না করতে পারে??? যারা ধর্ম কে রাজনীতির ঢাল/ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তারা কিভাবে ইসলামিক দল হতে পারে??? এগুলো একমাত্র ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই না। আপনারা যারা না বুঝে এই আন্দলনে শরিক হচ্ছেন তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন যে , আপনি না জেনে –না বুঝে ছোট ছোট শিরক করছেন ওদের এই আন্দলনে যোগ দিয়ে ??? একটা জিনিস বুঝতে চেষ্টা করেন, ওদের এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য নাস্তিকদের বিরুদ্ধে নয়, ইসলামের জন্য নয়- বরং নাস্তিকদের ইস্যু কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই আন্দোলন। এর পরও কি আপনি এই আন্দোলন কে তথা এই শিরক কে সাপোর্ট দিবেন??? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।