আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথম আলো আর বিডিনিউজ ক্যামনে ধরা খায় দেখেন

সাকিব

আগে দেখেন প্রথম আলো কি বলেঃ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী শাহীন (২৫) বুধবার দিবাগত রাত দুইটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবারের হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার একজন এজাহারভুক্ত আসামি। ওই হামলার পরে শিবিরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি মাহফুজের বাড়িতে শাহীনসহ দু-তিন ব্যক্তি লুকিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাতে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়ামিন আলী বলেন, তাঁরা ওই বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই গুলির শব্দ শুনতে পান।

তবে কার গুলিতে শাহীন মারা গেছেন তা জানা যায়নি বলে তিনি জানান। গ্রাম পুলিশ, এলাকাবাসী ও মাহফুজের চাচা আতিউর রহমান এবং চৌকিদার আনারুল ও আলিম বলেছেন, পুলিশ আসার আগেই গুলিবিদ্ধ শিবির কর্মী শাহীনকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে শিবিরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার বর্তমান সভাপতি মাসুদ রানা দাবি করেছেন, পুলিশের গুলিতেই শাহীন মারা গেছেন। পুলিশ শাহীনের লাশ শিবগঞ্জ থানায় নিয়ে গেছে। লাশের ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য, নিহত শাহীনের বাড়ি রাজশাহীর মতিহার থানার মেহেরচণ্ডীতে। সোমবার রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেন নিহত হন। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলা শিবিরের হামলায় পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। এবার বিডিনিউজ২৪ঃঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফেব্রুয়ারি ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে রাজশাহী কলেজের এক ছাত্র শিবির নেতা বুধবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিহত হয়েছে। নিহত শাহীন (২৪) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার আসামি বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ দাবি করেছে।

শাহীন রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং ছাত্র শিবিরের কলেজ শাখার সমাজকল্যাণ সম্পাদক। রাজশাহী মহানগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্র শিবিরের সভাপতিও ছিলেন তিনি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার নজরুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে স্থানীয় জামায়াত নেতা তৌফিজুল ইসলাম তানুর বাড়িতে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর বেশ কয়েকজন শিবির নেতা-কর্মী ওই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। নজরুল বলেন, "রাত ২টার দিকে পুলিশ ওই বাড়ি ঘেরাও করলে বাড়ির ভেতর থেকে গুলি ছোড়া হয়।

তখন পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। পরে বাড়িতে ঢুকে শাহীনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। " তবে এসপি নজরুল দাবি করেছেন, পুলিশের গুলিতে নয়, শাহীন তার পক্ষের কারো গুলিতে নিহত হয়েছে। ওই বাড়ি থেকে জামায়াত নেতা তৌফিজুল ও তার ছেলে মাহফুজকে(২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শাহীনের বাড়ি রাজশাহী জেলার মেহেরচণ্ডি এলাকায়। এলাকাবাসী জানিয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন নিহত হওয়ার পর শাহীনসহ কয়েকজন তৌফিজুলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাবির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক শিবিরকর্মীদের হামলায় নিহত হন বলে পুলিশ জানায়। সংঘাতের ঘটনায় ছাত্র শিবিরের ৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৫/৬শ' জনকে আসামি করে বুধবার দুটি মামলা হয়। ৬৪ জনের মধ্যে শাহীনের নাম নেই।

তবে সন্দেহভাজন হিসেবে অজ্ঞাতের তালিকা থেকে তার নামও আসামির তালিকায় আনা হতো বলে পুলিশ জানায়। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃমনোযোগ দিয়ে না পড়লে বুঝবেন না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।