আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

~~~ * রাবিতে শিবিরের গুলিতে নিহ ছাত্রলীগ কর্মীর লাশ উদ্ধার, ক্যাম্পাস থমথমে * নিহত ছাত্রের রাজনৈতিক পরিচয় নেই: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী * নিহত কর্মী ছাত্রলীগের; জড়িত জামায়াত: আশরাফ * রাবিতে তদন্ত কমিটি: ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত * পটুয়াখালী

~~~কেমন যেন একটা উৎকন্ঠায় আছি.......

Note: ছাত্র শব্দের অর্থ এই হয যে- অন্যের ছত্রছায়ায় বড় হওয়া। তাহলে সেটা ঠিক আছে এই কারণে-শিক্ষকের ছত্রছায়ায় বড় হয়ে ওঠাই চাত্রদের কাজ। কিন্তু আমাদের ছাত্র সমাজ আজ কী আর শিক্ষকদের ছত্রছায়ায় বড় হচ্ছে? তারা এখন কলেজ-ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার আগেই দীক্ষা নিয়ে আসছে কোন না কোন গডফাদারের পদতল থেকে। আর এ প্রক্রিয়াটাই এখন অব্যাহত আছে। বলতে লজ্জা লাগে যে আজ আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজ গোলাগুলি, ছিনতাই, রাহাজানী, চুরি বিদ্যা পর্যন্ত রপ্ত করে ফেলেছে।

মেতে উঠেছে টেন্ডারবাজিতে। বইয়ের বদলে হাতে তুলে নিয়েছে মারাত্মকসব আগ্নেয়াস্ত্র। আসক্ত হয়ে পড়ছে মাদকে। আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজের বিশেস করে প্রত্যাহিক ঘটনো মজার মজার বিষয় নিয়ে এই রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে UPDATE এর মাধ্যমে প্রকাশের উদ্যোগ। আশা করি সাথে থাকবেন।

আপনারা মতামতের মাধ্যমে এই সমস্য থেকে বের হেয় আসার উপায় বাতলে দিয়ে ছাত্র ও যুব সমাজকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবেন। ছাত্রলীগের কোন্দলের বলি ঢাবির নিরীহ ছাত্রঃ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা এবার জীবন কেড়ে নিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয়বর্ষের ছাত্র আবু বকর ছিদ্দিকের। সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিরীহ মেধাবী ছাত্র। সোমবার রাতে স্যার এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে দু’দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গতকাল ভোরে তিনি মারা যান। আহত অন্য দুই ছাত্র আমিরুল ও উজ্জ্বলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এদিকে আবু বকরের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে গতকাল ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার এবং নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ১০/১২টি গাড়ি এবং প্রক্টর অফিসে ভাংচুর চালায়। ভিসি অফিস ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রায় দেড়ঘণ্টার বিক্ষোভে পুলিশ অর্ধশতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার রাতে এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আবু বকর ছিদ্দিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ডাক্তার গতকাল সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসলামের ইতিহাস বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে ছুটে যান। সহস্রাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ভিসির অফিস ও বাড়ি ঘেরাও এবং প্রক্টরের কার্যালয় ভাংচুর করে তারা। টিএসসি, রোকেয়া হল গেট ও ভিসির বাড়ি সংলগ্ন সড়কে ১০/১২টি প্রাইভেটকার ও ট্যাক্সি ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর একটি মিছিল ভিসি অফিস ঘেরাও করতে গেলে মলচত্বর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবন ঘেরাও করতে যায়। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।

মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও অর্ধশতাধিক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। মলচত্বরে বিক্ষুব্ধরা দৈনিক আমার দেশ-এর ফটোসাংবাদিক গোলাম মোস্তফার মোটরসাইকেলও ভাংচুর করে। বেলা ১১টার দিকে ছাত্ররা প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে তার কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। এ সময় কলাভবনের গেটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে রোকেয়া হলের সামনের সড়কে পাঁচ-ছয়টি গাড়িও ভাংচুর করা হয়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। মৃত্যু ঘোষণা নিয়েও রহস্য : ইনটেনসিভ কেয়ারে ডা. শফিকুল আলম সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আবু বকরকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, মস্তিষ্কে আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে (সাবডিউরাল হেমোরাইজ) আবু বকর মারা যান। তার মাথার পেছনের দিকে সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাত লাগে। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে আনা হয়।

রাত চারটার দিকে তার অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে আবু বকর মারা যান। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট থেকে তার লাশ সরিয়ে মর্গে রাখা হয়। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যাতে না হয় সেজন্য প্রস্তুতি নিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে গতকাল সকালে আবু বকরকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

লাশ হয়ে ফিরলেন মেধাবী আবু বকর: আবু বকরের পরিবারের সদস্যরা লাশ ময়নাতদন্তে রাজি না হলেও বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আলোচনার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশ মর্গ থেকে ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া হয়। এরপর দুপুর পৌনে ২টার দিকে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্সে আবু বকরের মৃতদেহ গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুরে পাঠিয়ে দেন। ডাক্তাররা জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে আবু বকরের মাথার পেছনে স্পর্শকাতর জায়গায় কোনো ভারি শক্ত কোনো বস্তুর আঘাত লেগেছে। মাথায় আঘাত নিয়ে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের ভিন্নমত : আবু বকরের মাথায় কিভাবে আঘাত পায় তা নিয়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও হলের শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন।

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গোলাগুলির ঘটনায় আবু বকরেরও মাথায় গুলি লাগতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, অনেকক্ষণ সংঘর্ষ চলার পরও না থামলে আমরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হলে প্রবেশ করি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনতলা থেকে টিয়ারশেল ছোড়া হয়। কোনো গুলি বা রাবার বুলেট পুলিশ ব্যবহার করেনি। টিয়ারশেলের আঘাত লাগলে থেঁতলে যায়, কিন্তু বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।

তবে ওই সংঘর্ষের সময় আবু বকরের মাথায় গুলি লেগে থাকতে পারে। তবে ৪০৪ নম্বর রুমে আবু বকরের রুমমেট রেজা এবং পাশের ৪০৩ নম্বর কক্ষের রফি রহমান ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাদের কক্ষের সামনে জড়ো হয়েছিল। আমাদের কক্ষগুলো অরাজনৈতিক হওয়ায় কেউ এসব কক্ষে প্রবেশ করেনি। তবে গোলাগুলির শব্দে আমরা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে রুমের কোণায় অবস্থান নেই। একপর্যায়ে পুলিশ হলে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

৪০১, ৪০২, ৪০৩, ৪০৫ নম্বরসহ বিভিন্ন কক্ষে ৪/৫টি টিয়ারশেল ছোড়া হয়। এ সময় চতুর্দিকে হুলস্থুল পড়ে যায়। এর যে কোনো এক সময়ে আবু বকর আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং সংঘর্ষ থামার আধঘণ্টা পর আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আরও দু’জন আশঙ্কাজনক : সোমবার রাতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের সময় প্রাণে বাঁচতে চারতলা থেকে ৭/৮ জন ছাত্র লাফিয়ে পড়ে। এরমধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আমিরুল ইসলাম এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র উজ্জ্বলের অবস্থা গতকাল রাত পর্যন্ত আশঙ্কামুক্ত নয় বলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।

অরাজনৈতিক আবু বকর : ছাত্রলীগের একটি অংশ আবু বকরকে তাদের কর্মী দাবি করছে। গত সোমবার রাতে সংঘর্ষের পর আহত আবু বকরের বিষয়ে এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান ফারুক জানিয়েছিলেন, আবু বকর ছাত্রলীগ কর্মী এবং তার অনুসারী। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল সাংবাদিকদের জানানো হয়, আবু বকর কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। আবু বকরের বড় ভাই আব্বাস আলী জানান, আর কারও ভাই যাতে প্রাণ না হারায়, এটাই সবার কাছে আমার দাবি। আমি আজ ভাইহারা।

অভাবের মধ্যে থেকে ভাইকে পড়ালেখার খরচ দিয়েছি। সে কোনো রাজনীতিতে জড়িত ছিল না। হলের শিক্ষার্থী, আবু বকরের রুমমেট ও বন্ধুরা জানান, আবু বকর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি সাধারণ ছাত্র হিসেবে হলের ৪০৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন। অত্যন্ত নিরীহ ছাত্র ছিলেন আবু বকর।

সারাদিন পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। খরচ মেটাতে টিউশনি করতেন আবু বকর। হল ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মেহেদি এ বিষয়ে গতকাল আমার দেশ’কে বলেন, আবু বকরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন সাধারণ ছাত্র হিসেবে চিনি। ভিসির বক্তব্য : আবু বকরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ভিসি অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান। এ সময় তিনি বলেন, দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।

এটি একটি হত্যাকাণ্ড এবং খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আবু বকর মেধাবী ছাত্র ছিল। কারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তা চিহ্নিত করা হবে। ভিসি বলেন, আমি সব সময় ছাত্ররাজনীতির পক্ষে কথা বলি, তবে ছাত্র মাস্তানি কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার জায়গা, মাস্তানি করার জায়গা নয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এর মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে একটি তদন্ত কমিটি হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হবে। ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। খাদ্যমন্ত্রী হাসপাতালে: আবু বকরের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক গতকাল নিহত আবু বকরকে দেখতে হাসপাতালে যান।

তিনি বলেন, উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্রের কারণে সে মৃত্যুবরণ করেছে। আমরা এ রকম ছাত্ররাজনীতি চাই না। ক্যাম্পাস ও পরিবারে শোকের ছায়া : আবু বকরের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর পুরো ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে আসে। সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, হল প্রভোস্ট, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ছুটে যান।

হাসপাতালে শিক্ষকরা গিয়ে আবু বকরের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। শিক্ষার্থী, পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে আবু বকর হত্যার বিচার দাবি করেন। হাসপাতালে আবু বকরের ভাই আব্বাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর সে প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছিল। প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়ার জন্য কোরবানি ঈদের পর সে আর বাড়ি যায়নি।

মা কান্নাকাটি করে। একদিন ফোন করে আসতে বললাম। সে বলল, মার্চে ৫ম সেমিস্টার ফাইনাল। পরীক্ষা শেষে লম্বা ছুটিতে বাড়ি ফিরব। আব্বাস বলেন, মাকে বলা হয়েছে সামান্য আহত।

সেই থেকে মা কেঁদেই চলছেন। মা কখনও শহরে আসেননি বলে হুট করে তাকে আনাও যাচ্ছিল না। এখন বাড়ি গিয়ে তাকে কী বলব? তিনি বলেন, ভাইয়ের হত্যা নিয়ে আমরা রাজনীতি চাই না। আবু বকরের সহপাঠীদের অনেকেই হাসপাতালে লাশ দেখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলেন, কী অন্যায় মিষ্টভাষী ও বিনয়ী আবু বকরের? কেন এই সহিংসতা? আমরা এই নিষ্ঠুর হত্যার বিচার চাই।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সহিংসতা ও হত্যার জায়গা নয়। এই হত্যার বিচার হওয়া উচিত। এদিকে আবু বকরের লাশ বাড়িতে পৌঁছলে বাবা, মা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন, গ্রামের মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। ৮ জন জেলহাজতে : সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আটজনকে গতকাল আদালতে নেয়া হলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করে। তারা হলো হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান ফারুক, রকিব, জুয়েল, জসিম, ফয়সাল, কায়েস, রাজিব, রকি ও আলাল।

সোমবার আটক আটজনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আহত এক ছাত্র বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন গতকাল এক বিবৃতিতে এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছেন। একই সঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে হল ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান ফারুককে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ : মেধাবী ছাত্র আবু বকরের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছে ছাত্রদল, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ফেডারেশন। গতকাল পৃথক বিবৃতিতে তারা আবু বকর হত্যায় কর্তৃপক্ষেরও দায়দায়িত্ব রয়েছে বলে অভিযোগ করে।

ছাত্রদল ও শিবিরের নেতারা বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ভিসি ও প্রক্টরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। রক্তমাখা হাত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করার আর কোনো নৈতিক অধিকার তাদের নেই। কেন এই সংঘর্ষ : সোমবার রাতে সিট দখলকে কেন্দ্র করে এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হলেও এর নেপথ্যে আরও অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। মূলত কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের গ্রুপিংয়ের জের ধরেই সংঘর্ষ রক্তক্ষয়ী রূপ নেয়। জানা যায়, ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরপর প্রায় চার বছর পার হলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। গত ২৬ জানুয়ারি কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনের অনুমতি নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা সভাপতি সোহেল রানা টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠার পর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হওয়া দুটি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়।

এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান ফারুক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের অনুসারী এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহেল রানা টিপুর অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করেন। সোমবার রাতে সাধারণ সম্পাদক মেহেদী সমর্থিতদের কয়েকটি রুম সভাপতি ফারুক সমর্থিত কর্মীরা দখল করতে গেলেই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। আর এতেই নিভে গেল নিরীহ মেধাবী ছাত্র আবু বকরের জীবনপ্রদীপ। ঢাবি সিন্ডিকেটের ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন : ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে সাধারণ ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনাসহ উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণ অনুসন্ধান করে ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ৯ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় গতরাতে এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় আবু বকর সিদ্দিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। সভার প্রস্তাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়। রাবিতে শিবিরের গুলিতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর লাশ উদ্ধার, ক্যাম্পাস থমথমে: রাজশাহী, ৯ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): রাতভর ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রের পর এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

রাতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। গভীর রাত পর্যন্ত চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ফারুক হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়। সে গণিত চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, রাতভর সংঘর্ষে উভয় সংগঠনের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

এদের মধ্যে অন্তত: ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাতভর টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে গেলেও শিবির ক্যাডাররা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। ভোররাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থেমে থেমে গুলির আওয়াজ শোনা যায়।

এদিকে হলে হলে প্রবেশ করে ছাত্রশিবির কর্মীরা ছাত্রদের কয়েকজনের হাত, পায়ের রগ পর্যন্ত কেটে দিয়েছে। তারা হবিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী বাদশা ও বিনোদপুরে ফিরোজের রগ কেটে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এছাড়াও, আরো কয়েকজনের রগ কাটা হয়েছে বলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ১৩১ নম্বর রুমকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে গতকাল রাতে কথা কাটাকাটি হয়। তুমুল বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু হলের শিবির সেক্রেটারি খালিদের নেতৃত্বে শিবির ক্যাডাররা সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী আসাদ ও কাওসারের মাথায় হাতুড়ি, চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

গুরুতর আহতাবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ছাত্র হলেই উভয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রসহ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনার সূত্রপাত বঙ্গবন্ধু হলে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে আট জন, লতিফ হলে চার জন এবং হবিবুর রহমান হল থেকে এক শিবির ক্যাডারকে আটক করে। এদিকে আটকের খবরে অন্যান্য সব হল থেকে শিবিরের দুই শতাধিক ক্যাডার জঙ্গি মিছিল নিয়ে বিভিন্ন হলে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা ছাত্রলীগ কর্মীদের বিভ্রান্ত করতে জয় বাংলা শ্লোগান দেয়।

সশস্ত্র শিবির ক্যাডাররা চাপাতি, ছুরি, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক এক করে হবিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, শামসুজ্জোহাসহ কয়েকটি হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। শিবিরের এলোপাতাড়ি হামলায় বিভিন্ন হলের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। এ হামলার সময় তারা কয়েকজনের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত একাধিক রুমে আহতদের ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অন্যত্র আশ্রয় নিলে শিবির ক্যাডাররা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। রাত একটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত একটানা গুলির শব্দে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। পরে ভোররাতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। (সংক্ষিপ্ত) সূত্র: (শীর্ষ নিউজ ডটকম/এমআর/এসআই/এসএম/৯.৩০) রাবিতে তদন্ত কমিটি: ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত: রাজশাহী, ৯ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিবিরের গুলিতে ছাত্র নিহত হবার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। আজ সন্ধ্যায় ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভা শেষে সহকারী প্রক্টর মোশতাক আহমেদ জানান, সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ বা হল খালির সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তিনি জানান, অধ্যাপক গোলাম কবিরকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিকে অবিলম্বে হত্যাকাণ্ড, ছাত্র সংঘর্ষ ও শিবিরের তৎপরতা সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। (শীর্ষ নিউজ ডটকম/ এমআর/ জেডএম/এসসি/ ১৯.৩০ঘ.) Daily Star, 10.02.2010: One student was killed and around 100 others were wounded in running overnight clashes between the activists of Bangladesh Chhatra League (BCL) and Islami Chhatra Shibir at Rajshahi University. Motihar police recovered the body of Faruk Hossain, a BCL activist and final year student of mathematics, from inside a manhole early hours yesterday. The police say Faruk was hacked at the television room of Shah Mokhdum Hall around 2:00am and dumped into the manhole. The injured were admitted to Rajshahi Medical College Hospital and RU Medical Centre. Condition of 17 of them is stated to be critical. Police arrested 16 alleged cadres of Shibir, associated student organisation of Jamaat-e-Islami, on charge of killing Faruk. Meanwhile, RU Syndicate in an emergency meeting last night suspended all classes till tomorrow and examinations till February 17. A five-member committee headed by Prof Golam Kabir, dean of Life and Earth Science Faculty, has been formed to probe the violence and submit a report as soon as possible. Leaders of BCL, associated student body of ruling Awami League, blamed Shibir for the killing. They said tendons of at least four other activists were severed by the Shibir men. Students said the clashes erupted when BCL activist Asaduzzaman tried to enter his room at Shibir-dominated Bangabandhu Hall. Khalid, secretary of the hall unit Shibir, barred Asad from entering his room around 8:00pm Monday and allegedly beat up him and another BCL activist Muhammad Kawser. On information, police raided Bangabandhu and Latif halls and arrested 13 Shibir activists. As the law enforcers left the dormitories, BCL activists attacked a Shibir worker at the TV room of Shah Mokhdum Hall. Shibir men equipped with firearms and sharp weapons reiterated, triggering a gunfight on the campus. Police fired about 500 blank shots, rubber bullets and teargas shells to bring the situation under control. Armed Shibir cadres sporadically clashed and exchanged gunshots with the police turning the campus into a battlefield. They also torched two rooms and damaged 30 others at the Suhrawardi Hall. Faruk, son of Fazlur Rahman, hailed from Khoddorsagna village in Joypurhat sadar and was a resident student of Shah Mokhdum Hall. His body was sent to his village home after namaj-e-janaza at the university central mosque. Among the injured, 19 BCL workers were admitted to Rajshahi Medical College Hospital. Of them, condition of Shafiur Rahman Badsha, Ruhul Amin, Feroz Mahmud and Shahidul Islam Johnny is stated to be critical as their tendons of hands and legs were severed. SM HALL ATTACK: Over 30 Shibir cadres equipped with Chinese axes, hammers, rods, machetes and dagger entered the hall led by Ahad, hall unit Shibir general secretary, and Anis, former hall president, around 1:40am, said Shafiullah at RMCH. "They first knocked Tawfik down. Anis caught me near the staircase and hit my back with a Chinese axe. I ran toward the main gate where several Shibir cadres started hitting me indiscriminately. At this stage, I ran towards the policemen at the gate who kicked me and went aside," Shafiullah added. AUTHORITIES' VERSIONS: RU Proctor Chowdhury Muhammad Zakaria blamed on duty police for not playing proper role to maintain law and order. The hall provost Dulal Chandra Roy gave a similar statement. Asked about the students' requests for taking them outside the campus, the proctor said, "Violence erupted everywhere on the campus, how could we take them outside?" RU Vice-chancellor Prof Abdus Subhan was not available for comment. Nawsher Ali, commissioner of Rajshahi Metropolitan Police, told The Daily Star the police were helpless in the face of Shibir cadres' "planned and organised" attacks. He claims 20 policemen were hurt in the clashes and the police fired 400 teargas shells and gunshots to quell the situation. PROTESTS: Angry BCL workers in Charghat upazila torched and damaged the upazila office of Jamaat-e-Islami around 12noon yesterday. The BCL in a protest procession marched the main city thoroughfares and called for a rally in the afternoon today. Rajshahi Mayor AHM Khairuzzaman Liton attended the namaj-e-janaza of Faruk in Shaheb Bazar. Addressing the gathering, he said, the murder was "politically planned by Jamaat" and would be answered politically. RU unit BCL president Awal Kabir Joy said the attack was planned to avenge the killing of RU Shibir general secretary Sharifuzzaman Nomani early last year. "Nomani was killed accidentally during clashes, but they murdered Faruk in a planned way." Home Minister Sahara Khatun ordered the police to arrest the killers of Faruk within 24 hours, reports UNB.Talking to reporters at Civil Aviation High School ground in Kaola in the capital, Sahara said the police are instructed to arrest those responsible for the violence irrespective of their political identities. ARRESTS: The police held 16 suspected Shibir cadres from different Chapainawabganj-bound buses in Godagari upazila between 2:00pm and 5:00pm. Officer-in-Charge of Godagari police Zakirul Islam said the arrestees are mostly students of RU and Rajshahi College. JAMAAT STATEMENT: Rajshahi city Jamaat Amir Ataur Rahman denied involvement of Shibir in the murder. "The incident occurred at night; who saw Shibir men committing the murder? It may be the result of Chhatra League's internal feud." নিহত ছাত্রের রাজনৈতিক পরিচয় নেই: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী: ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের গুলিতে নিহত ছাত্রের রাজনৈতিক পরিচয় জানেন না স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু।

অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতারা নিহত ফারুককে তাদের কর্মী বলে দাবি করেছেন। ঘটনার পর ফারুকের পরিচয় নিয়ে মিডিয়ায় রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে তার দফতরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এসময় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ছাত্রের কোন রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী না বোধক জবাব দেন। তবে তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনাকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

গত রাতে সংঘর্ষের পর সেখানকার সর্বশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রধান নূর মোহাম্মদকে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, পুলিশ-প্রধানকে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এ ঘটনায় পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে যারা সংঘর্ষের জন্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসেছিলো, তাদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে শিবির কোন ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে টুকু বলেন, তারা তো প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ম্যাসেজ দিয়ে আসছে। সব কিছুর মধ্য দিয়েই সরকার তার লক্ষ্যে পৌঁছুবে।

আমাদের যে শক্তি আছে তা দিয়ে এটা দমন করা হবে। পাশাপাশি বিরোধী দলসহ সকল রাজনৈতিক দলকে তিনি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সেখানে ব্যর্থ কি না-জানতে চাইলে টুকু বলেন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তাদের কাজ করে গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে অনেক বিষয় চিন্তা করতে হয়। (সংক্ষিপ্ত) সূত্র: (শীর্ষ নিউজ ডটকম/আরএইচ/এমএনএম/এসএম/১৬:৩৭ঘ.) নিহত কর্মী ছাত্রলীগের; জড়িত জামায়াত: (আশরাফ): ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগ কর্মী হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াত ও শিবির নেতাদের দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পলী্ল উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সমপ্রতি জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর রাজশাহী সফরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, কোথাও কোথাও ছাত্রলীগের কমিটিতে শিবির কর্মীরাও ঢুকে পড়েছে। এক্ষেত্রেও শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সহিংস ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ছাত্র সংগঠনের নামে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। (সংক্ষিপ্ত) (শীর্ষ নিউজ/পিএম/ডিকেডি/আরআর/এসসি/১৯:২১ঘ.) পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি কক্ষ ভাংচুরঃ পটুয়াখালী: রাজশাহীর সহিংষ ঘটনার জের ধরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এমকেরামত আলী হলে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ শিবিরকর্মী গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তার নাম জানা যায়নি। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা এ হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়, রাত আনুমানিক ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে এমকেরামতআলী হলে প্রবেশ করে। এসময় ৩০১/বি নং রুমের জানালার গ্লাসসহ দরজা জানালা ভাংচুর করে রুমের মালামাল তছনছ করে বীরদর্পে চলে যায়। এরকিছুক্ষন পর ছাত্রলীগের নামধারী কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসির ৬ষ্ট সেমিস্টারের ছাত্র মোঃ সাকিরের নেতৃত্বে ২০/৩০জনের একদল কর্মী শেরেবাংলা হলে প্রবেশ করে। সেখানে গিয়ে ৩০১নং পূর্ব,৪০৯নং এবং ৪১২নং পূর্ব কক্ষ ভাংচুর করে। এসব রুমে প্রবেশ করে রুমের মধ্যে থাকা মালামাল ভাংচুর করে।

বিশ্ব বিদ্যালয়ে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। এ রিপোর্টি লেখা পর্যন্ত সময়ে হামলা চলছিল। আমার অভিমতঃ আমি কোন দল-মত বা পাথের অনুসারী নই। রাজনৈতিক নেতাদের ভন্ডামী তুলে ধরাটাই আমার মত, আমার পথ এবং আমার কর্ম। সে যে কোন দলেরই হতে পারে।

তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। কাজেই বন্ধুদের কাছে অনুরোধ করব- আমাকে নিয় নয় আমার কর্মকে নিয়ে মূল্যায়ণ করুন। আমি হলাম সুজলা-সুফলা এই বাংলাদেশের একজন তাবেদার। যে অন্য কোন দল-মত-পথ বা দেশের তাবেদারি করেনা। তাবেদারী করে শুধু বাংলার মাটি ও মানুষের।

আপনাদের যদি কোন দল-মত বা পথের প্রতি আনুগত্য থেকে থাকে তাহলে সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ঠিক যেমনটি আমার এই কর্মও আমার ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশের প্রয়াস। আশা করি বিষয়টি লক্ষ্য করে দেখেবেন। সম্পাদনায়ঃ সোহেল খন্দকার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।