আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সড়ক দুর্ঘটনা: আর কত?

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে সবসময় থাকব

"স্কুলের সামনে বেপরোয়া বাস কেড়ে নিল হামীমের প্রাণ"। গত ৩ জানুয়ারী বুধবার বেলা ১১ টায় কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের কেজি শ্রেনীর ছাত্র হামীম তার মায়ের সাথে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি বাসের ধাক্কায় প্রান হারায়। ছোট্ট শিশু হামীমের নিথর দেহ পড়ে ছিল তার স্কুলের সামনের রাস্তায়। গুরুতর আহত হয়ে তার মা হাসপাতালের বেডে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার পিতা ও আত্মীয় স্বজনদের অহাজারী বাতাস ভারী করে তুলছে।

শিশু হামীমের মৃত্যু র সংবাদ সকল পত্রিকাতেই খুব গুরুত্বের সাথে ছাপা হয়েছে। ঘাতক বাস ও চালককেও আটক করা হয়েছে। কিন্তু এ রকম ঘটনা এটা প্রথম নয়। হামীমের পিতা-মাতার ন্যায় অসংখ্য পিতা-মাতার সব আশা সন্তানের রক্তে ধুয়ে গেছে। ঘাতকদের উপযুক্ত বিচার না হওয়াতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালান আর লাইসেন্স ছাড়াই ড্রাইভার হয়ে য়াওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে।

ঘাতক ড্রইভাররা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে যায় আর ট্রফিক পুলিশের হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে হেলপার হয়ে যায় ড্রাইভার। যে কারনে হামীমের হত্যাকারী ড্রাইভার উদ্ধত গলায় বলে "আমারে আটকায়ে রাখবার পারবেন না। মালিক আমার কোটিপতি। দুই দিনে বাইর কইরা লইয়া যাইবো গা "। প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই দেখাযায় সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েকজন নিহত।

শুধুমাত্র অসচেতনতা ও প্রশাসনের দৃষ্টান্ত মূলক পদক্ষেপের অভাবে প্রতিবছর কয়েক হাজার লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তাই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কঠোর আইন হওয়া উচিৎ, যখন সেটা পবপরোয়া গাড়ী চালানো বা ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারনে ঘটে থাকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।