আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই দেশকে আর ভালবাসতে পারুম না

ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা যারা দেশপ্রেম বলে বুক ফাটিয়ে চিৎকার করে, রাস্তায় আত্বনাদ করে তারা কি ভেবে দেখেছেন এই দেশের জন্য কতটা প্রেম দরকার?? বিচার ব্যবস্থার দোহায় দিয়ে সব কিছুতে পার পাইয়ে দেয়া রাষ্ট্রযন্ত্রে যখন মরীচিকা ধরে তখন তার প্রতিফলনই কেবল চোখে ধাঁধাঁ এনে দেয়। একের পর ব্যর্থতায় চোখের পানি শূন্য হতে চলেছে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের এক ডিএনএ পরীক্ষা করতে গিয়ে আমরা মনে হয় একটি গবেষণা ক্ষেত্র তৈরি করতে চলেছি। একজন বায়োকেমিস্ট হিসেবে এইটুকু বলতে পারি একজন মানুষের জিনোম সিকুয়েন্স পিসিআর করলেও এতোটা সময় লাগার কথা নয়। যেখানে মহাশয় গবেষকরা সাগর-রুনির ডিএনএ টেস্ট করে নবেল প্রাইজ নেয়ার চিন্তাভাবণা করছে।

আর সেটা নিয়ে চলছে ভেলকিবাঁজী। হত্যা, গুম আর রাজনৈতিক দলবাজীর জন্য কি দেশপ্রেমে বুকে চিনচিন ব্যথা হয়? লাখ লাখ টাকার শেয়ার কেলেঙ্কারি করে কোটিপতি ডাকাতরা কোথায় গেল তার কোন হদিস নেই। তাজরিন কিংবা রানা শত শত হত্যাকারীরা বিট্রিশ প্রদত্ত আইনের ফাঁকফোকরে ঠিকই বের হবে। তাহলে আমরা কেন, কিসের জন্য বলি দেশটা রসতালে চলে গেল?? কেন আত্মনাদ করি?? আমাদের প্রতিবাদের বুলি কেবল ঘটনা প্রবাহের তরঙ্গের সাথে স্তব্ধ হয়ে পরেছে। নতুন প্রজন্ম জীর্ণ পুরাতুনের ছোঁয়ায় কি ভঙ্গুর জাতি গড়বে? রাজপথে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে কাদের নেশার জন্য হরতাল করে??? নিজ স্বার্থয় রক্ষা কি দেশপ্রেম? মানছি এই ভালবাসার মহরতে বায়ান্ন, একাত্তরের বিজয় ছিনিয়ে এসেছে কিন্তু সেই বিজয় রক্ষায় কতজন এগিয়ে এসেছে? যারা মাঝ রাতে টিভির পর্দায় কফির চুমকে মাছের মা মতো বলে বসে,,, এই দেশের শিক্ষাঙ্গণে রাজনৈতিক ইতিহাস রচণা করেছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বদৌনাতে আমরা খোলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি। তাদের সুরসুরি দেয়া কথায় ছাত্র-রাজনীতির কথা বলে শিক্ষাঙ্গনগুলোকে যে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ জন্মভূমি করে তুলেছেন? কৈই আপনারা সন্তান কোথায় পড়ে?? নিজের সন্তানকে বিদেশে পড়িয়ে অন্যর সন্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজ স্বার্থ রক্ষায় মৃত্যুপুরি করতে আপনাদের কখনো লজ্জা হয়েছে?? কৃষকের ছেলে, তাঁতীর মেয়েরা এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে কেবল আপনাদের হয়ে রাস্তায় স্লোগান দিবে আর রক্তে রঞ্জিত হবে বাংলার মাটি আর তাতে প্রকাশ ভাবে দেশপ্রেম তাই না?? ছায়াময় নাটক আর দেখতে ভাল লাগে না। জামাল নজরুল যখন সেই প্রেমে পরে এই দেশের জন্য যখন কিছু দিয়ে গেল সেই দেশের সেলকুাস সন্তানরা জানেন না তিনি কে ছিলেন?? তাকে চেনানোর জন্য প্রশ্ন করতে হয় বিসিএস পরীক্ষায় আর সেটাতে প্রকাশ পায় আমরা কতটা সভ্য সন্তান। আপনাদের কাছে দেশ প্রেম ডিজিটাল প্রেমের জামা পরিবর্তেনের মতো হতে পারে কিন্তু ওই বেটা রোদে তপ্ত ঘ্রর্মাক্ত কৃষক কিন্তু ঠিকই আপনার জন্য খাদ্য তৈরিতে ব্যস্ত থাকছে আপনি থাকছেন কি করে তার শ্রমকে চুরি করে নিজের পকেটে রাখা যায়। আমি ঘৃণা করি আপনাদের যারা দেশটা গেল গেল বলে শ্বশ্মান করে দেন, মানুষের জন্য খুনের ক্ষেত্র তৈরি করে দেন, স্লোগান দিয়ে অগ্নি সংযোগ করে দেন আমার ভবিষ্যৎকে।

আমি ধিক্কার জানাই তাদের যারা শাসকগোষ্টির পদলেহন করে আত্বসিদ্ধ পথে আলোকে অন্ধকারে পরিনত করে। িআমি চাই না এই বুক ফেটে , মুখে ফেনা তুলে গদগদ হয়ে এই দেশকে ভালবাসতে। যে দেশের রাস্তা নিরাপদ নয়, দেশে দেশের থানা নিরাপদ নয়, যে দেশের বিচারব্যবস্থা বিপদজনক, যে দেশের সংসদভবনে চলে আমোদময় সেই দেশের জন্য মায়া কান্না করে লোক দেখানো ভাল মানুষ হতে চাই না। ::::::::::::::::: ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।