রাকিবুল হক ইবন
জগতের সকল দয়াময় মায়েদের নামে শুরু করিলাম ...
আর, যখন তিনি পড়তে আরম্ভ করবেন,
হে আমার বর্নমালা,
প্রস্ফুটিত সুগন্ধ ফুলের মতো, পরিপার্শ্ব তাঁর
ভরে দিয়ো আত্মবিশ্বাসের সৌরভে,
বুকে যেন তাঁর জাগে দেশপ্রেম, জাগে স্বপ্ন।
৬৫.
লকেট যায় যেখানে আমিও যেতে চাই সেখানে
সেখানে, একদিন সব্বোর্চ ভিতরে, পরতার যাবো
হয়তো ঐ সোনার কারাগর হতে বেরিয়ে 'বিশ্ব' নামক
আরেকটি বিকট বিকল কারাগর-মধ্যে চলে ...
৬৪.
বাংলাদেশের মৃত্যুতে, একদিন যাবো আমি ছিঁড়ে ...
এসছিলাম আমি একটি দেবদাররু-গাছ-মধ্য-করে
সঙ্গে বহন করে এই খেলনা পৃথিবীটা ...!
৬৫.
ইশকুলে আমরা কখনও যাবো-না, যদিও
ইশকুলের পথেই আমাদের পৌছানোর কথা!
৬৬.
যার-পর-কিছু-নেই-আর এমন হচ্ছে আকাশ ও জীবন,
যেমন তোমার জন্মের পূর্বেও তেমন আছিল-না, কিছুই।
৬৭.
ফুলদানি ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা দু একটা ফুলের
ডানা, আর কালো কালো
মোমবাতিরা ...
৬৬.
ইদানিং দেশে দেশে বিক্রিটা হচ্ছে বিষন্নতা কমানোর ওষুধ;
যা খেয়ে মানুয়েরা আরো বিষন্ন ও রোবটিক ধরনের মানুষে
হচ্ছে পরিণত, এতে লাভবান-হচ্ছে এইসব ডাইনোসরের মত
ডাক্তাররা, ও অনেকে। তারচেয়ে মন! তুমি নিজেই পারো
আনতে ফিরিয়ে তোমাকে এ-পৃথিবীতে আবার!
৬৬.
বাংলাদেশে আজ অবধি একজন সৎ-ডাক্তারই দেখি
নি আমি, (আর সৎ-মানুষতো দূরের কথা) একজন ডাক্তারের
কথা বলছি, নাম, এইচ. এম. ফিরোজ, সে-করে-কী, যে
কোনো রোগী তার নিকটপ্রাপ্ত হলে, নিশ্চিত ভর্তি। (ভালো-কথা)
পরতার, ওই রোগীর অভিভাবকের সামর্থ্যানুযায়ী ২০/৩০ দিন
পর সেই রোগিকে কিছুu ওষুধপত্র দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেওয় হয়।
কিছুদিন রোগীটি রোবটের মত যে-যাহা-বলে শুনতে ও করতে
থাকে, কিন্তু সেই গরিব-অসহায় অভিভাবকদের কেনা বিষগুলির
মধ্যে, এমন দু একটা বিষ রয়েছে, ফিরোজ সাহেব ইচ্ছা করেই
যা দিয়েছেন, যেন আবার সেই রোগীকে তার কাছে আসতেই হয়
ফিরে, আর তখন সেই একই রোগীর দ্বিতীয়বারের চিকিৎসাটা সে
এ-বার কিন্তু করেন ঠিকমতোই। তারপর, রোগীটি হয়তো ভালো
হয়ে যান! (যদি তখন পর্যন্ত রোগটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের আয়ত্তের
মধ্যেই, থাকেন। ) এর জন্য ''মনেজগত'' পত্রিকার সম্পাদক এইচ.
এম. ফিরোজকে ধন্যবাদ! কিন্তু দেশে আরো কসাই আছেন, যারা
শুধু ২ বার নয় রোগীদেরকে বারবার ভর্তি করতে ও আনতে আনতে
...আমাদের ফতুর করে দেন।
৬৬.
সৎ মানুষ এখন দূর্লভ-প্রানীতে পরিণত হয়েছে, পুরো
রাষ্ট্র খুঁজে যদি একটা সৎ-মানুষ মেলে ইদানিং কিংবা
ভবিষৎতের কোনো-কালে : তবে তাকে সভ্যতা! আমার
জামা-কাপুরের সঙ্গেই তাকে দিয়ো রেখে, কোনো জাদুঘরে ...
৬৭.
আর আমাদের আছে কী কোনো দেশ?
আমাদের মন থেকে বিদায় নিয়েছে স্বদেশ!
চিরকালের জন্যে। এই আকাশখাঁচার বাইরে ...
৬৮.
ভাবো
ভাবো তুমি কী বলিতে পারো!
স্বার্স্থ্যের জন্য স্বর্গ?
৬৯.
কিছুটা ঘরে বন্দি সূর্য; কিছুটা ঘরে উলঙ্গ প্রজাপতি :
পিতা হল শাসক, মাতারা মমি! মাতারা কী মমি?
৭০.
জিরাফের ভোকাল কর্ড চুরি করে-ছিল যে চোর,
তারে পায়ে এখনও ব্যথা, (তার মনটা যদিও সেলাই-করা)
তথাপি তার হাত-পা তখনই খেয়ে নিয়েছিলো বাকি ডালপালা।
...
৭০.
র্যাব হচ্ছে দেশপ্রিয় চির সন্ত্রাসীদের জোটের একটি
দল; যাদের জন্য আমাদের পিতাদের দেওয়া দোয়া,
সর্বদা বর্তমান। এরাই করেছে খুন আমার এক
সৃষ্টিশীল বন্ধুকে, এদের কী আমি ছেড়ে দেবো এখন?
৭২.
কে আগুন কে জলে কে পরিকল্পিত ভাবে কে সুর্যাস্তে
কে রাতের সময়ে কে পাউডারে কে শক্তিরই ভিতর
আর কাকে করেছ তৈরি তুমি, ক্ষুধার্তরই জন্যে কে আয়না
মধ্যে কোনজন নাচের সময়ে আর কে ফিরে আসবে বলো
ধীরে এই পৃথিবীর-ই চাঁবিগুচ্ছ নিয়ে? কে বলবে ‘মিথ্যেয়
ভরা আমাদের পৃথিবী আর যিশু ছিলেন একজন নাবিক
সকল মানুষের জন্যে এবং সবাই জানুক নাবিক ছিলেন
একজন মিথ্যেবাদী অবুজ এই শিশুদের দেশে’ ; আর
কে ঘুমায় করে দেরি প্রতি রাতে?
৭৩.
পৃথিবীর ব্যক্তিত্ব নাই কোনো। একদা ছিল বটে ব্যক্তিত্ব পৃথিবীর। তার
ব্যক্তিত্ব খেয়ে নিয়েছে দুনিয়ার ফকির। দেখেছি অপবাদ জমেছে প্রায়
জমজমাট।
তাই তার শিরোশ্চেদে মারক্ষক এই বনগর্ভে আমাদের সে
কী নাঁচ। এ্যানিম্যাশনের একটি ক্ষেতের দেশে, মুখ-ছোটো-করা এক
আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে, কবর কেটে পুকুর খনণে, শশ্মানের বুকের
উপর দিয়ে অতিকায় রাস্তা নির্মানে, বাঘচরা রাত্রিপথ দিয়ে, চোখ
থেকে অনেকানেক কাঁটা-ঝরা-মাসে : যখন আমরা পার হচ্ছিলাম
ম্যাপ। পৃথিবীর কান্নারও ব্যক্তিত্ব নাই কোনো। কত-না কান্না করে
সে সিনেমার শব্দে।
৭৪.
অক্ষর হত্যার আগে আমার চোখ যেন তুলে ছুড়ে
ফেলা হয় কুকুরের খামারে তারপর বাংলা ভাষার
পুর্নজন্মে দুই কবরের মধ্যিখানে খুজলে তবেই
ফেরত পাওয়া যাবে আমার শরীর যেন উজ্জ্বল আরো
একদা গ্রহশবের মত ছিল যা গর্ভনীল এই নামহীন
পৃথিবীতে...
৭৫.
কেউ কেউ আছে শুধু স্বপ্ন দেখার জন্য ঘুমায়।
ওরা আমার খোদাকে মেরে দিয়েছে। আমাদের
নবীদেরকেও হত্যা করছে ওরা। পাশেই দাঁড়িয়ে
ছিলাম আমরা। কেউ কিন্তু ফেরাতে পারি না।
আর প্লেটের মতো তখন ছুরে ভেঙে ফেললো
কেউ এই ছোট্ট পৃথিবীটা।
৭৫
বন্ধু,
সময় মহাকালের বাইরে নয়। এই বর্তমান সময়ও মহাকালের অন্তর্গত। এমনকী মহাকালীন হিসাবে তো সময় বলেই কিছু নেই। (যেমন নেই আকাশ বলে কিছু)মহাকালে সব সময় এক সমান। সে-অর্থে 'সময়' হচ্ছে শুধুমাত্র 'মানুষ' নামে একটি প্রজাতি সৃষ্ট ও তাদের চলাফেরা, বসা-ওঠা আর কর্ম, আর উঠনা-জাগনার সুবিধার্থে চালু করা নিয়ম নীতি বা শুধুই নীতিমালা মাত্র।
আর এ-সব-ই তুমি জানো।
৭৬.
''আদমকে সেজদা করেছিলে'',
এখন সেজদা করো প্রথমেই গৃহ প্রবেশ করে
তোমার মাকে। তার পর আর কোনো নেই। থাকতেও
পারে-না।
৭৭.
নদী থামিও-না।
সে ঘুমতে পারছে-না। স্বপ্নের মধ্যে মুখ
ডুবাও। আমি চেষ্টা করছি। তোমাকে কেন্দ্রে আনতে। তোমার
দেহ একটা আনন্দনদী।
আমার সঙ্গে গলার কাঁটার মতো জুড়ে
থাকে। দেহছাড়া দুই পায়ের করতালির মধ্য হতে বেরিয়ে।
কোনও এক কালো শুত্রুবারে। হরিন-দেখা-আলোরা শব্দ করো
-না দুঃসাহসিক
৭৮.
খুব সুন্দর এই ঝড়। আমি তার সাথে যাবো।
একটা সূচের মধ্য
দিয়ে। হঠাৎ নিশি-ডাকে-পাওয়া এই মানুষের মতো। বিপন্ন
বিশ্বভারনত! বিকট এই বৃষ্টির বিটগুলি গুনে গুনে। তারপর
তোমার বুকের সাহারাতে। একটি গোলাপ হাতে নিয়ে যতখানি
সেক্সুয়াল আনন্দ হয়।
তার চেয়ে বেশি আনন্দ হয় তোমাকে দেখে
৭৯.
বিশ্বজুরে এখন চলছে বৃদ্ধদের শাসন; এ-টাকে
পাল্টাতে হবে, না-হলে একদিন আমরা সবাই
এক-ই-সঙ্গে নেমে যাবো ভূতলে ...
আর মুছে যাবে পৃথিবী থেকে 'আমাদের সেরা-সেরা গানগুলি'।
৭০.
যে-সঙবিধানে
'রাষ্ট্রধর্ম'_ থাকবে; সে
সঙবিধান আমি মানছি-না, কোনো-দেশে
৭১.
আমি এমন একটি দেশে জন্মেছি, যে দেশের নিজেরই এখন
ট্রিটমেন্ট করা-দরকার; সে-রকম একটি দেশ, আমার ট্রিটমেন্ট
করবে কী-করে, আমি বুঝতে পারছি-না! ওলো, মা ...
৭২.
এখন চাইলেই আমার স্বপ্নকে আমি নিয়ন্ত্রন করতে
পারি, ফলে তোমাকে আমি আমার স্বপ্নের মধ্যেও
আজো সন্দেহ করি ...
৭৩.
ইতিহাস পড়েছি আমি
কারো কোনো প্রধান নই, তাই আমি
ইতিহাসের বাইরেরই কবি!
৭৪.
শিশুর কবরের সমান ছোট ছোট চিন্তা উদ্বার করো আমারে
কেন এ-কার্পেটে হাঁটতে যেয়ে ঘাসের অনুভূতি জাগে মনেমনে?
বৃদ্বের কবরের মতো বৃদ্ধ-বিধবা চিন্তা,- এক্ষুনি ছেড়ে দাও আমাকে
৭৫.
যেহেতু আমার পাখা নেই
আমি
চাঁদে যাবো ঠিক-ই!
৭৬.
হৃদয়ে কার এমন জ্যোৎস্না
যার
প্রয়োজনই পড়ে-না! কোনো প্রবেশপ্রত্রের ?
৭৭.
ভিতরে আমার একই সঙ্গে
বাঘবাদ
হরিণবাদ,
ঘাসবাদ।
৭৮.
বিশ্বভারনত! আড়িয়াল বিলের শিশুরক্তমাখা জলে
ঘরে-ঢুকিয়ে-দেওয়া হয়েছে এমন একটি আকাশের বর্ণনাতে
জানা যাচ্ছে যে, জোট এর মানসিক সূত্র
৭৯.
উপস্থিত আমি
প্রবেশের ইচ্ছা
পুনঃ পুনঃ উদ্বোধনে
৮০.
-'এ শহর নিয়ে একটা বই লিখলে কেমন হয়'?
-'এ শহর নিয়ে বই লিখলে পাগল হয়ে
যেতে পারো তুমি'!
৮১.
যে কোনো ছাদকেই আমার ভয় নিকট থেকে
তোমার মৃত্যুর চেয়ে রহস্যময় এই ছাদ
ডেকে নিয়ে আসে আমাকে, মরনোত্তর ...
৮২.
প্রধানমন্ত্রীর মুখের চেয়েও
নিকৃষ্ট নাকি!
আমাদের সিনেমার মুখ
৮৩.
চটতে চটতে এক নীল লাল ফুলকি গেল উড়ে দূরবহু, কবর
খোঁড়ার গৌরবে আর নিশ্চয়ই একদিন এ-শহরের
নেশাখোর মেয়েরা অংশ নেবে গনোভ্যত্থানে ...
৮৪.
দিন-দুপুরে চুরি করি
ঠিক-ই
কিন্তু রাত্রিবেলা কথা আছে
৮৫.
একগ্লাশ বিশুদ্ধ জলের খোঁজে মধ্যরাতের
শিশু আমি, রান্নাঘর
থেকে ছাদে
৮৬.
শিক্ষক,
তুমি কি আমাকে একটু একা থাকতে দেবে
গাছ আর হাওয়া-হয়ে-যাওয়া শিশুদের সঙ্গে?
৮৭.
কেন সামরিক খেতে খেতে যাচ্ছে
মিলন ও
মুক্তিযোদ্বা ?
৮৮.
লগ্নটা ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে গুলি করবার;
নতুবা মৃত্যু কোরো তুমি
ফুরিয়ে যাবার আগে ...
৮৯.
জলের শব্দ পাই
শিশিরের শব্দ পাই-না;
শিশিরের শব্দ পায় হৃদয়!
৯০.
আমি একটি ছবি আঁকবো
ছবিতে থাকবে দাড়ি-গোঁফ-কমাহীন রবীন্দ্রনাথের
ন্যাড়া মাথা একটি
৯১.
আমি হারিয়েছি
আমার ছেলেবেলা
সবারই জন্যে
৯২.
মহাবনে এক পা দিলাম,
দ্বিতীয় পা দেবার আগেই কী
মৃত্যু হবে?
৯৩.
খোকাবাবু,
আমি কী পারবো পৃথিবীকে
নাড়া দিতে?
৯৪.
বাঙলাদেশ কখনও সামনে বাড়াতে পারবে-না মুখ!
যদি-না সে তার ইশকুল-কলেজের সমস্ত পাঠ্য
বইকে ছিঁড়ে ফেলতে না-পারে একটি বিকট মধুর টানে
৯৫.
কোথায় আমার চাকু?
কোথায় আমার ছুরি ও চাকু?
কেন আমার সঙ্গে বারবার ভুল করো জনগন!
৯৬.
সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক বলে নিজেদের দাবী করে যারা
সেই সেনাবাহিনী আজো শুদ্ধ করে মাতৃভাষা লিখতে পড়তে
জানে-না, আমি দিতে পারি-এর প্রমাণ
৯৭.
-'দ্যাখো দ্যাখো আমার বয়েসি মেয়ে শক্তিশালী আমার চেয়ে'
-'তোমার বয়সি মেয়ে তোমার চেয়ে শক্তিশালী হয় কী করে'?
৯৮.
বাঙলাদেশের মুখের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর তোমার মুখ!
আমি করবো
না, তা গোপন।
৯৯.
চকলেটের ঘরে রাতের যুদ্বে উদাসীন আমি
বরাবরই (মধ্যরাতের শিশুরা জানলো-না, এ-সব)
যখন একটি বৃদ্ব শিশু কামড়াচ্ছিল মরুভূমি ...
১০০.
কসমেটিক্সের জন্য খুন করা হচ্ছে আমাদেরকে, ...বিছানাতে।
জুতার মধ্য হতে বেরিয়ে আসলো তোমারই স্বদেশের মুখ!
-এ দৃশ্য দেখতে
১০১.
সম্ভবত, একজীবন হল আনন্দ আমাকে দিয়ে
গেছে
ছেড়ে ...
১০২.
এবং এই মর্মে পৃথিবীর কোথাও কোনো
'উপজাতি' বলে
থাকবে-না, শব্দ।
১০৩.
আমাকে জাগিয়ে রেখে
ঘুমতে যায়
মানবরাত্রি!
১০৪.
জলে ডুবানো পঁচা পাটের গন্ধ
তোমার নাভিমূলের ঘ্রাণ!
পৃথিবীর দুই শ্রেষ্ঠ গন্ধ নিয়ে গোল্লায় যাই চল
১০৫.
আরো অবাধ স্বাধীন-সৌন্দর্যের
পথে ডাকছি
১০৬.
রাস্তার ধারের পার্কে-টবে-আইল্যান্ডে আটকে আছে
পৃথিবীর তাব্ৎ
দো-পাটি, চেরী ...
১০৭.
প্রিয়তা,
তুমি কী পাচ্ছো শুনতে, আমার চমৎকার গুলির শব্দ?
আমি শুনি শুধু গীটার পতনের শব্দ
আর বরফের নিচে নিহত আমাদের এই মৃত সভ্যতাগুলো।
১০৮.
উদ্ভীদ আবিস্কারের পর জানা গেল যে, মাটিরও
জীবন ছিল বটে, তারপর একে একে
আলোর, পাহাড়ের, আগুনের
নতুবা জলের ও মধ্যমার ...
১০৯.
মুহম্মদ মুহম্মদ চারপাশে এ-সব কী হচ্ছে হাবিজাবি?
তুমি বেঁচে থাকলে হয়তো আমাদের মত
শয়তান হয়ে যেতে, এতোদিনে নিশ্চত জানি
১১০.
মুহাম্মদ, যিশু অথবা ঈসা, মুসা : প্রকৃতপ্রস্তাবে আর জাগতিক-বিচারে
তারা থাকলে বেঁচে এ-কালে, এক-রকম মানসিক রোগী বলেই বিবেচিত
হত শুধু; এই নিকটতম পৃথিবীতে আমাদের। যেমন
...আমাদেরকেও ভাবে তা অনেকেই
১১১.
বছর বছর পূর্বে আমি একবার
খুলেমেলে ধরেছিলাম
আমি আমার মায়ের হারানো-পুরানো ইরানী-কুমারী স্তন!
১১২.
আমার স্বপ্ন-ট্প্নতে তোমার পদার্পনে, আমি
পালাতে চাই সবর্ত্র
কিন্তু কেন?
১১৩.
হা, আমিই করেছি এ-খুন, কেন করেছি? এতো কিছু তো জানি-
না। যে জানে পূর্বেই তাকে জিজ্ঞাসা করো। যেহেতু তার ইচ্ছা
ছাড়া গাছের শাখা, ইলিশের পাখা পর্যন্ত নড়ে-না, চড়ে-না ...
১১৪.
আমার হাস্যকর লাগে দেশে দেশে পতাকা (আবার তার মধ্যে
সাংগঠনিক ফ্লাগ!) ঘৃনা করি সব ধরনের জাতীয়তাবাদ।
কোথাও
কোনোও জাতীয়-সঙ্গীত থাকবেনা, এবং এই মর্মে পৃথিবীর সব
প্রধান সঙ্গীত-ই আমার প্রাণ ...
১১৫.
এতো গেরিলা দেখি
এই বাংলার পাখি তাই
মায়াবীডাক আজ শুধু
কলিংবেলে শুনি ...
১১৬.
বারবার খুলতে যেয়ে
চেইন
আগেই খুলে বসে আছি স্তন!
১১৭.
ওরা যদি ডাক দেয় জেহাদের! আমরা কী ডাক দিবো যুদ্বের?
ত্রোধে-রাগে পুড়িয়ে দেবো জোয়ান অব অর্ক, সত্রেুটিস আর
হুমায়ুন আজাদের মতো কোরান, বেদ, বাইবেল?
১১৮.
এই যে আমাদের আশ্বিনের খোলামাঠ, মনের
যত গীতিময়তা, তাই নিয়ে আজ মেতেছে
ড্রিগ্র্রী, মেতেছে সুশীলেরা ...!
১১৯.
পাহাড়ের পায়ে কী ব্যথা? পাহাড়ের!
তাই সে হেঁটে হেঁটে পৌঁছতে পারলো-না
বাড়ী আমাদের!?
১২০.
যেন আমি সেই দাস,
যার দিকে নজর রেখেছে ব্যাবসায়্যী
কল্ববাস
১২১.
সকল প্রশংসা কার?
নিশ্চয়ই একমাত্র আমার
মা'র।
১২২.
একটি সাবমেরিন হতে পাঠানো নির্দেশে নকল চাঁদের মত
একটি উপগ্রহ উঁড়ে গেলে ঢেকে যায় আমাদের সবার-ই
বিশ্বগ্রাম
১২৩.
পাবদা, ইলিশ না,
আপেল, কাঠাল না
দোপাটি, শাপলাও না।
১২৪.
কীর্তনখোলার মতো সেক্সি যেই নারী
ভালো নামের অভাবে তাকে ডাকতে পারি
বলে 'অনুমতি'।
১২৫.
বনলতা সেনকে
শাররীক অবয়ব দিতে চাইবে যে লোক
তার আমার মতোই অল্প বয়সে মৃত্যু হোক!
62.
‘হরিনে’র কথা তেমন বলে না কেউ আর
হরিনের নাম পর্যন্ত নেয় না কেউ এ শহরে, সভ্যতায়
তবু হরিনের নাম নেয় চুপে একবার শ্বাস ফেলে হরিনী।
আমি দেখি শুয়ে এ বিছানায় রাস্তায় গ্রহে পড়ে আছে
শুধু হরিনের হাড়গোড় খালি আর
মিঠে রোদের ছাই ...
৬৩.
মানবসমাজ বংশগতিসূত্রে প্রচন্ড অভিনয়প্রবণ, তার মধ্যে (আমরা
নিজেরাই দিনের অধিকাংশসময় অবচেতনভাবেই অভিনয় করে কাটাই,
একে অপরের সংঙ্গে।
) তার মধ্যে সবচাইতে সফল ও দক্ষ অভিনেতানেত্রী
হচ্ছে আমাদের পৃথিবীর সিনেমার নায়কেরা আর সব রাজনীতিবিদগণ ...
৬৪.
কুকুর হয়েছি বলেই কী একটুও ঘুমতে পারবো-না সারারাত তোমাকে
চিন্তায় চিন্তায় কূজনে-ভরা?
৬৫.
ভোর হয়েছে বলেই কী আমি যাবো শুতে চকলেটরঙা শাড়ি খুলে
গরুর গন্ধমাধা এই টেবিল ফেলে আর
তুমি যাবে এক হাম্বা-তারকার দেশে?
৬৬..
যদি আমি আর না-হাঁটি কোনোদিন পৃথিবীর এই কালো পথে পথে
তোমার-ই হাত ধরে কোনো এক চকলেটীয় রাতে নেঁচে নেঁচে কিছুক্ষণ।
আর স্বপ্ন-লাগিয়ে-গায়ে, হাতে-নিয়ে-দেশযুগল। চালিয়ে পা, দ্রুত এই
বীর মাঠে মাঠে জীবনের। নতুবা আমি যাবো সেখানে যেখানে দয়ারা
আসে, আর তারারা ফোটে সকল ...
৬৭.
উঁড়তে না-পারা সৃষ্টি করেছে
উঁড়া; যেমন সাউন্ডট্রাক সৃষ্টি করল
নির্জনতা।
৬৮..
বাহির থেকে এসছি আমি বাহিরেই যাবো চলে
নিশি-ডাকে-পাওয়া ওই মানুষগুলির মতো বিপন্ন!
বিশ্বভারনত বিকট এই বৃষ্টির বিটগুলি শুধু গুনে গুনে
৬৯.
অতীত-ছাড়া-একজন মানুষ আমি
অতীত-ছাড়া একজন মানুষ
যদিও দেয়ালের অপরপার্শ্ব হতে সর্বদা শুরু হয় আমার জগত।
৭০.
একদিন আমি ছিঁড়ে যাবো ...
আমি এসেছিলাম এই পৃথিবীতে একটি দেবদারু গাছের মধ্যে করে
সঙ্গে বহন করে একটি খেলনা পৃথিবী।
৭১.
ভবিষ্যতের দৌড়, বহু দূর ...
৭২.
যদি তুমি না-আসো ফিরে আমার কপালে শনি আছে।
৭৩.
আজ আমি আমার নিজের মাথায় লাথি মারলাম একটা; আর
কোথায় পালালো স্বপ্নের শেষ তারা? তারচেয়ে তোমার পা
দুখানি জিভে করে স্থাপিত কাদি বসে আমি আজ আকাশবিনা।
৭৪.
আমার মুখ দেখতে একটি সস্তা হোটেলের মতো বলেই কী তোমাদের সঙ্গে
গোল হয়ে বসতে পারবো-না, কোনোদিন আর?
৭৫.
কসমেটিক্সসের জন্য খুন করা হচ্ছে আমাদেরকে, বিছানাতে।
জুতার মধ্য হতে বেরিয়ে আসলো আমারই স্বদেশের মুখ- এ দৃশ্য দেখতে
৬৩.
চটতে চটতে এক নীল-লাল-ফুলকি গেল উঁড়ে, দূরবহু।
কবর খোড়ার
গৌরবে আর নিশ্চয়ই একদিন এ শহরের সমস্ত নেশাখোর মেয়েরা অংশ নিবে
গণোভ্যুত্থানে।
64..
পুরোটা বাংলাতে ঢালা হয়ে গেছে পেট্রল, এখন শুধু বাকি জ্বালাতে একটি কাঠি
65.
হে আমাদের ঈশ্বরের প্রতিপালক!
হে আমাদের জগতসমূহের মহান ঈশ্বরের মহা প্রতিপালক!
সকালের সূর্যের মতো যে আমাদের এই নিজেদের সৃষ্টি। (পৃথিবীকে
নিক্ষেপ করেছে, আমার বুকের ভিতরে। ) অসীমের বাহিরে যে সীমার
অবস্থান, ওইখান হতে ভাবছি, আমি। ঈশ্বরের গল্প পড়ে বুঝা যায়, তার কত-না মানসিক-রোগ আছিল, এখনও আছে।
(যে কল্পিত লোকটা নাকি বিভৎস সব রকম জিনিস রেখেছে নরকে, আমাদেরকে পোড়াতে, কী ভয়ংকর তার সব চিন্তা! আমি ভাবতিও পারছি-না!অদ্ভুদ সব আবোল-তাবোল চিন্তা। কর্ম-আর -ঘোষনা ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।