আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুব বেশি ঘৃণা হয়ত একসময় আমাদের তাই করে দেয় যা আমরা ঘৃণা করতাম



এতক্ষণ টিভি সেটের সামনে বসে ছিলাম। প্রায় সবগুলো বাংলাদেশি চ্যানেল প্রচার করছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যামমলার দন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করবার সচিত্র প্রতিবেদন। যেকোন অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত। আর এত বড় একটা অপরাধের শাস্তি হওয়াটা খুবই জরুরি ছিল। এ ব্যাপারে নিশ্চয় কেউই দ্বিমত পোষণ করবেন না।

বলে রাখা ভাল আমি জানি কম। বুঝি আরো কম। রাজনীতি আমার প্রায় না-জানা এবং একেবারেই না-বোঝা এলাকাগুলোর মধ্যে প্রথম সারির। জ্ঞান ও বোধের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেই লিখছি। কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম - কাউকে খুব বেশী ঘৃণা করতে নেই।

ঘৃণার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে যাকে ঘৃণা করছি এক সময় আমরা তার কাতারেই দাঁড়িয়ে যাই। আজ প্রতিবেদনের অংশগুলোতে বার বার প্রতিবেদকের পেছনের কিছু মানুষকে এক একটি মৃত্যুদন্ড কার্যকর হবার তথ্যে উল্লাসে ফেটে পড়তে দেখি। হাসি মুখে তর্জনি আর মধ্যমার যুগল প্রদর্শনী ছিল অসংখ্য। আর সব ছাপিয়ে হৈ হুল্লোরে ভরপুর আনন্দ আমেজ। আনন্দ মিছিলও নাকি বের করা হয়েছিল।

অপরাধির শাস্তি খুবই জরুরি। দেশের আইন, শৃংখলা, ভাবমুর্তি - স্বাধিনতার এই অত্যাবশ্যকীয় উপাদানগুলো কোনা অর্থেই বিপন্ন হতে দেয়া যায় না। তবে এই শাস্তি প্রদান খুব আনন্দের কোন ঘটনা কি? শুনেছি কোন কোন নির্বোধ নাকি বঙ্গবন্ধুর মত মহান নেতার হত্যার মত কলংকজনক ঘটনার পর আনন্দ মিছিল করেছিল। ঐ অমানবিক দৃশ্য চোখে দেখিনি। তবে আজকের এই উল্লাসও খুব মানবিক মনে হয়নি আমার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।