আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’০৯ : বিজয় মুকুট পড়লেন মেহজাবীন

গভীর কিছু শেখার আছে ....

ছবি: বিজয়ীর সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ১০টা ছুঁই ছুঁই করছে। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ ঘোষণা করা হয়ে গেছে। বাকি কেবল বিজয়ীর নাম ঘোষণার। বিজয়ী হওয়ার প্রতিযোগিতায় স্টেজে দুরু দুরু বুকে দাঁড়িয়ে আছে তাহসীন, মেহজাবীন ও অর্শা। বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিতে অতিথিরাও স্টেজে রয়েছেন।

উপস্থাপক মুনমুন টানটান উত্তেজনার মধ্যে ঘোষণা করলেন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯ হিসেবে মেহজাবীন চৌধুরীর নাম। আনন্দে উল্লাসে মেহজাবীন জড়িয়ে ধরলেন তার সঙ্গে থাকা অপর দুই প্রতিযোগী অর্শা ও তাহসীনকে। শাফিন আহমেদের সঙ্গে ‘প্রথম প্রেমের মতো’ গানটিতে মেহজাবীন যখন স্টেজে ক্রোরিওগ্রাফি করছিলেন তখন পর্যন্তও জানতেন না রাতের আসরের শেষ হাসিটি তিনিই হাসবেন! আর সেজন্যই বিজয়ীর ক্রাউন পড়ে মেহজাবীনের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস যেন আর থামছিলোই না। বিজয়ীর অনুভূতি জানাতে বললে উচ্ছসিত কন্ঠে মেহজাবীন বললেন, ‘আজকের এই পর্যন্ত আসার পেছনে আমার পিতা-মাতার অবদান সবচেয়ে বেশি। আর এরপরই আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ যারা আমাকে এ পর্যায়ে আসতে নানা ভাবে সহায়তা করেছেন।

আমি আমাদের জেনারেশনের জন্য মিডিয়া আইডল হতে চাই। ’ লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯ কিভাবে তাকে বদলে দিয়েছে জানতে চাইলে মেহজাবীন বলে, ‘প্রতিটি সুন্দর মেয়েই নিজেকে বড় স্ক্রিনে দেখতে চায়। এখন নিজেকে আমি বড় স্ক্রিনে দেখতে পাই যা লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯ ছাড়া সম্ভব ছিল না। ’ প্রথম রানারআপ মৌনিতা খান ইশানা বলেন, ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হওয়ায় আমি আমার সময় সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হবো। ক্যারিয়ার সম্পর্কেও আমি অনেক বেশি সজাগ থাকবো।

ভালো একটি ভবিষ্যতের স্বপ্নই এখন আমার চোখে। ’ দ্বিতীয় রানারআপ সাদিকা পারভীন স্বর্ণা বলেন, ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯ আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে স্টারডম বহন করতে হয়। আমার লাইফ এখন অনেক ডিসিপ্লিনড। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯-এর গ্রুমিং সেশনের বিভিন্ন কোর্সগুলো আমাকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে অনেক সাহায্য করবে। ’ শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯ প্রতিযোগিতার গালা রাউন্ড।

প্রতিযোগিতার সেরা পাঁচ প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে বিজয়ী মেহজাবীন চৌধুরী পান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড প্রযোজিত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক রচিত চিত্রনাট্যের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ, একটি ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি ও অভিনয়ের ওপর আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ। এছাড়া প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হন মৌনিতা খান ইশানা ও দ্বিতীয় রানারআপ হন সাদিকা পারভীন স্বর্ণা। তারা পেয়েছেন যথাক্রমে ৫ লক্ষ ও ৩ লক্ষ টাকার প্রাইজমানি। বিজয়ী মেহজাবীনকে গতবারের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার বিজয়ী চৈতী স্ল্যাশ ও ক্রাউন পড়িয়ে দেন। আর অন্য দুইজনকে যথাক্রমে গতবারের প্রথম রানারআপ তাজ্জি ও দীপা স্ল্যাশ ও ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

মেহজাবীনের হাতে ছবির কনটাক্ট তুলে দেন চ্যানেল আইয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরিদুর রেজা সাগর ও গাড়ির চাবি তুলে দেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান রাকেশ মোহান। এছাড়া প্রথম রানারআপ মৌনিতা খান ইশানার হাতে ৫ লক্ষ টাকার প্রাইজমানি তুলে দেন আলী যাকের ও সাদিকা পারভীন স্বর্ণার হাতে ৩ লক্ষ টাকার প্রাইজমানি তুলে দেন নওশাদ করিম। অনুষ্ঠানটি ৭টা ৩০ মিনিট থেকে সরাসরি সম্প্রচার করে চ্যানেল আই। অনুষ্ঠানের শুরুতে সেরা পাঁচ প্রতিযোগী ফ্যাশন শোতে অংশ নেন। এরপর বিগত বছরের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার শানু, মিম ও চৈতী একটি গ্রুপ ড্যান্সে অংশ নেন।

সেরা পাঁচজনের একটি ছোট নাটিকাও দর্শকদেরকে দেখানো হয়। এরপর সেরা দশ জনকে স্টেজে ডাকা হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে সেরাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। পন্ডস মিস বিউটিফুল স্কৃন- ইশানা, সানসিল্ক মিস বিউটিফুল হেয়ার- তাহসিন এবং ক্লোজআপ বিউটিফুল স্মাইল- অর্শা নির্বাচিত হন। তাদেরকে স্ল্যাশ পড়িয়ে দেয়া হয় ও এক লক্ষ টাকা করে প্রাইজমানি দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে ছিলো প্রতিযোগিদের নিয়ে ভিডিওগ্রাফিক প্রেজেন্টেশন। এরপরই বিচারকদের মুখোমুখি হন সেরা পাঁচ প্রতিযোগি। লটারির মাধ্যমে বিচারকদের নাম নির্বাচন করে প্রতিযোগিরা। বিচারকরা তাদেরকে দুটি করে বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক আলাদা আলাদা প্রশ্ন ছাড়াও প্রতিযোগীর জন্য ছিলো একটি কমন প্রশ্ন।

প্রতিযোগিদের সকলেই প্রশ্নোত্তরের পর্ব ভালোভাবে উতরে যান। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’০৯ প্রতিযোগিতায় মিডিয়া অঙ্গনের বিভিন্নজনেরা বিভিন্ন সময়ে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে প্রতিযোগিতার প্রধান তিন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ শামসুল হক, সুবর্ণা মোস্তফা এবং আফসানা মিমি। গত বছরের আগস্ট থেকে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’০৯ শুরু হয়ে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের পর প্রতিযোগিতাটিতে টিকে থাকা সেরা ২৫ জনকে নিয়ে গ্রুপিং রাউন্ড শুরু হয়। বিভিন্ন রাউন্ডে বিচারকদের পাশাপাশি দর্শকদের পাঠানো এসএমএস-এ ভোট দেবার ব্যবস্থা ছিলো।

ফলে প্রতিযোগিতায় কম নাম্বার পেয়ে একে একে প্রতিযোগি বাদ পড়তে থাকেন এবং সবশেষ পাঁচজন গালা রাউন্ডে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পান। দৈনিক যায়যায়দিনে প্রকাশিত

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।