আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোগ প্রতিরোধ

এক লোক খুব ঘন ঘন ডাক্তারের কাছে যান বলে এক বন্ধু জানতে চাইলো সমস্যাটা কী। তো সে বলে যে, ‘আরে, ডাক্তারদের খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে না!’ বন্ধু জিজ্ঞাসা করলো, তাহলে ওষুধ কিনছে কেন? ‘কারণ ফার্মেসির লোকজনের খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে তাই!’ তাহলে, বন্ধু আবার জানতে চাইলো, ওষুধ কিনে সে বাসায় আনছে, কিন্তু ওষুধ খাচ্ছে না কেন? হাসিমুখে ভদ্রলোক বললেন, ‘আরে, আমাকেও তো বাঁচতে হবে নাকি?’ মশার কামড়ে যেসব রোগ মানুষের দেহে ছড়ায় সেগুলো হচ্ছে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া। এই রোগ আমাদের দেশে সনাতন পদ্ধতিতে মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে রক্ত পরীক্ষা করে নির্ণয় করা হয়। এতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া জীবাণু দেহে থাকা সত্ত্বেও অনেক কারণে জীবাণু পাওয়া যায় না। যাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় আমরা বলি অ্যাজমার রোগী।

যাকে বাংলায় বলে হাপানি। অ্যাজমা হলে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। সে সময় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, শ্বাসের সঙ্গে একটা টান চলে আসে। এ টানকেই বলে হাপানি। যখন মানুষের লাংগস বা ফুসফুস যথেষ্ট পরিমাণ বাতাস টানতে পারে না তখন শরীরে বাতাসের অভাব দেখা দেয়।

আর এটাকেই আমরা অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়া বুঝি। শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে বেশি। আর শীতকালে ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জির কারণে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকে বেশি। ফার্স্ট ফুড নয়, প্রচুর তাজা ফল সবজি খান। দৈনন্দিন জীবনযাপনে এরকম ছোটখাট পরিবর্তন আয়ু যেমন বাড়াবে তেমনি ডায়াবেটিসের মত ক্রনিক রোগ ও এর জটিলতা থেকেও বাচাঁবে।

উচ্চ রক্তচাপ কি? উচ্চ রক্তচাপ বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। সারা বিশ্বে ১৫০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনী রোগের জন্য উচ্চ রক্তচাপ একটা গুরুত্বপূর্ণ রিস্ক ফ্যাক্টর বা ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন-সি পানিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন। এটি একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট।

মানব শরীরে এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। শরীরের ক্ষত শুকাতে, খাদ্যনালী থেকে লৌহ শোষণ করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কত কাজে দরকার ভিটামিন-সি! অনেক রোগ প্রতিরোধেও ভিটামিন-সি কার্যকর। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে এসব। সারদিনের খাটুনির পর রাতের ঘুম দেয় প্রশান্তি। দূর করে সব ক্লান্তি।

দেয় পরদিন নতুন উদ্যেমে কাজ করার শক্তি। কিন্তু ঘুমটি হওয়া চাই নির্বিঘ্ন ও অবশ্যই পর্যাপ্ত। ঘুম যদি পর্যাপ্ত না হয় তাহলে তা শরীরের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অপর্যাপ্ত ঘুম নিরবে শরীরের নানা ক্ষতি করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি বছর গড়ে ১ হাজার জনের মধ্যে ৪ জন টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়।

আর ৫ বছর বয়সের নিচের শিশুদের মধ্যে প্রতি বছর গড়ে ১ হাজার জনের মধ্যে ১৯ জন টাইফয়েডে ভোগে। অর্থাৎ অন্যান্য অনেক রোগের মতো টাইফয়েডের হুমকিও শিশুদের জন্যই বেশি। রোগটি জটিল আকার ধারণ করলে নিউমোনিয়া থেকে শুরু করে হৃদরোগও দেখা দিতে পারে। এছাড়া পেট ফুটো হওয়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা তো রয়েছেই। পানি বা পানিযুক্ত খাদ্যসামগ্রী থেকেই সাধারণত টাইফয়েড রোগটি দেখা দিয়ে থাকে।

এপিলেপ্সি রোগের কথা কেউ শোনেননি বা এপিলেপ্সির রোগীকে কেউ দেখেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের সমাজের আশপাশের অনেক পরিবারেই রয়েছেন এপিলেপ্সি রোগী। এসব রোগীকে নিয়ে পরিবারের দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনার শেষ থাকে না। এপিলেপ্সি রোগীকে অনেকে জিনে বা পরীতে ধরেছে বলে মনে করেন। কেউ কেউ ভাবেন তার ‘হাওয়া’ (বাতাস) লেগেছে।

আসলে এসবের বৈজ্ঞানিক কোনো কারণ নেই। এগুলো মূলত কুসংস্কার। আর আমাদের দেশে কী অশিক্ষিত, কী শিক্ষিত অনেকের মনেই নানা ধরনের অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কার বিস্তার লাভ করে রয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।