আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈশা খাঁর জংগল বাড়িতে একদিন

আমি নিজে রুফ গার্ডেনার এবং আমি মনে প্রাণে চাই আমাদের এই শহরটির ছাদ সবুজে ভরে যাক।
জংগল না থাকলেও নাম হয়েছে জংগল বাড়ি। জংগল বাড়ির কোচরাজা লক্ষণ সিংহ হাজরাকে ১৫৮০ খ্রিষ্টাব্দে পরাজিত করে ঈশা খাঁ ভাটি বাংলার দ্বিতীয় রাজধানী প্রতিষ্ঠিত করেন এই জংগল বাড়িতে। জংগল বাড়িতে এখনও কিছু ঐতিহাসিক স্থাপত্য কীর্তি বিদ্যমান। তবে এভাবে কতদিন টিকে থাকবে সেটা অবশ্য সন্দেহের বিষয়।

অনেক স্থাপনা ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। যেটুকু আছে তা সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিলে আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়ত পুরো স্থাপনাই বিলীন হয়ে যাবে। কিশোরগঞ্জ শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরেই জঙ্গল বাড়ির অবস্থান। কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়কে ৫ কিলোমিটার গিয়ে আনুমানিক আর তিন কিলোমিটার বাম দিকের একটি অপেক্ষাকৃত সরু রাস্তা দিয়ে এগুলেই এই জংগল বাড়ি। এখানে দেখা যাবে ঈশা খাঁর ধ্বংসাবশেষ দরবারহল, তিনগম্বুজ মসজিদ, চারদিক বেষ্টিত পরিখার কিছুটা নমুনা, ঈশা খাঁর অধস্তন পুরুষদের কয়েকটি বৃহৎ আকৃতির কবর ।

এককথায় সবুজ শ্যামালিমায় আচ্ছন্ন জংগল বাড়ির পরিবেশটি খুবই উপভোগ্য। যাদের বেড়ানোর আগ্রহ আছে কিন্তু যাওয়া হয়নি কিংবা কখনও যাওয়া সম্ভব হয়ত হবে না তারা আমার ছবিগুলো দেখেই আপাততঃ সাধ মিটাতে পারেন। মূল পাসাদের সামনের দিকের ছবি ঈশা খাঁর আমলের তিন গম্বুজ মসজিদ যা ইতিমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। ঈশা খাঁর বংশধরদের কয়েকটি বৃহৎ কবর একটি পরিত্যাক্ত পিলার দরবার হলের ভিতরের আংশিক চিত্র মূল ফটকের বর্তমান অবস্থা জংগল বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় (জানা যায় এখানেই ছিল প্রশাসনিক ভবন) দরবার হলের ভাল অংশটুকু একটি পাঠাগার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ভাংগা দেওয়ালের অংশবিশেষ দরবার হলের ভিতরের অংশ দরবার হলের ভিতরের অংশ এভাবেই দরবার হলটি এখনও দাড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে দরবার হলের বাহিরের দৃশ্য এই সেই নরসুন্দা নদী যার তীরবর্তী গ্রাম এই জংগল বাড়ি কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়ক এখানে একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো আছে ঈশা খাঁ যাদুঘরের নাম দিয়ে। আমার ওয়েব সাইট
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।