আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জি-নিউজকে ভারতীয় বিশেস্নষক, ভারতীয় বিদ্রোহীদের আটক করা হলে বাংলাদেশ স্থিতিশীল হবে



মোহাম্মদ আবুল হোসেন: ভারতীয় বিদ্রোহীদের আটক করা গেলে বাংলাদেশ স্থিতিশীল হবে। তাছাড়া নিজদেশের সন্ত্রাসীদের দমন বাংলাদেশের নিজের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। জি-নিউজের সাংবাদিক কামনা অরোরাকে দেয়া এক সাড়্গাৎকারে এ কথা বলেছেন নয়া দিলিস্নর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড এনালাইসিসের গবেষণা ফেলো শ্রম্নতি এস পট্টনায়েক। তিনি বাংলাদেশ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞও। গতকাল ‘ক্যাপচার অব ইন্ডিয়ান ইনসার্জেন্টস উইল স্ট্যাবিলাইজ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

সেখানে ওই সাড়্গাৎকারটিও পত্রস্থ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠ গরম হতে শুরম্ন করেছে। ভারত সফরে চুক্তি সম্পাদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্বার্থ রড়্গা করতে ব্যর্থ হলে তার পথ ‘কণ্টকময়’ হবে বলে হুমকি দিয়েছে বিরোধী দল। অন্যদিকে ভারতের পড়্গে হাসিনার সফর শুধুমাত্র পর্যালোচনামূলক নয়, পাশাপাশি তা দ্বিপড়্গীয় সম্পর্ককে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিকে আরও জোরালো করার সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। শ্রম্নতি পট্টনায়েকের কাছে প্রশ্ন করা হয়- ভারতে বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনার সফরের সময়কার এজেন্ডাগুলো নিয়ে আপনি কি ভাবছেন? জবাবে শ্রম্নতি বলেন- বাণিজ্য, তিসত্মা নদীর পানি ভাগাভাগি, অপরাধ বিষয়ে আইনি সহযোগিতাসহ বেশ কিছু চুক্তি হতে পারে।

ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভারি মেশিনারি পাঠানোর জন্য আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহারের চুক্তি সই করতে পারে ভারত। নেপাল ও ভুটানে বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশকে ভারত ট্রানজিট দিতে পারে। তাছাড়া বিদ্যুৎ বাণিজ্য বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। বাংলাদেশে উলফা চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজাখোয়াকে আটক করার মাধ্যমে নয়া দিলিস্ন ও ঢাকা সহযোগিতার এক নতুন সম্ভাবনায় উপনীত হয়েছে, আপনার মনত্মব্য কি-এ প্রশ্নের জবাবে শ্রম্নতি বলেন, বাংলাদেশে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ড়্গমতা নেয়ার পর এই সহযোগিতা দেখা যাচ্ছে। ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ডের ঘাঁটিতে দমননীতি চালানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ড়্গমতায় আসার পর এ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে। ভারতীয় বিদ্রোহীদের আটক ও গ্রেপ্তার অবশ্যই বাংলাদেশের নিজের স্থিতিশীলতায় কাজ করবে। কারণ ওই সব গ্রম্নপের সঙ্গে সশস্ত্র গ্রম্নপ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোরও সম্পর্ক আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে এ যাবৎকালের বৃহৎ অস্ত্র চোরাচালান ঘটনার তদনেত্ম দেখা গেছে, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক এবং উপ-পরিচালক উলফার সঙ্গে অস্ত্র চোরাচালানে যুক্ত। এখন অবস্থা পরিবর্তনের সময় এসেছে।

এর ফলে ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক নিরাপত্তা রড়্গা হবে। কামনা- অপরাধ বিষয়ক পারস্পরিক আইনি সহায়তা, সন্ত্রাসের বিরম্নদ্ধে লড়াই এবং বন্দি বিনিময় নিয়ে শিগগিরই চুক্তি সই হবে দুই দেশের মধ্যে। এটা কিভাবে ভারতকে সাহায্য করবে? শ্রম্নতি- এর মাধ্যমে আইনি সহায়তা জোরদার হবে। কারণ দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। এ চুক্তি হলে অনুপ চেটিয়ার মতো ব্যক্তিদের ফেরত পাঠানোয় সহায়ক হবে।

ফলে সন্ত্রাসীরা ভারত বা বাংলাদেশের ভূখণ্ড তাদের আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। দুই দেশের মধ্যে অতীতে এ ধরনের চুক্তি না থাকায় অপরাধী চক্র এর সুবিধা নিয়েছে। কামনা- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কিভাবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক পাল্টে গেল? শ্রম্নতি- এতদিন বিতর্কিত ছিল এমন অনেক ইস্যুতে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। এর ফলে যে সুবিধাজনক রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে উঠেছে তাতে গুরম্নত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে সিদ্ধানত্ম নেয়া যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফারম্নক খান বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন করে তাকে প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

তিনি আরও বলেছেন, ভারতকে ট্রানজিট দেয়া হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে। সমপ্রতি উলফার কতিপয় নেতাকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এ সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটেছে। তদুপরি ড়্গমতার মেয়াদ এক বছর পরে শেখ হাসিনা ভারত সফর করছেন। এটা দুই দেশের একত্রে কাজ করার একটি বড় সুযোগ। কামনা- পাকিসত্মানে তীব্র সংঘাতে লিপ্ত তালেবানরা।

এ সময়ে বাংলাদেশ তার দেশে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্য জোর পদড়্গেপ নিয়েছে। আপনার মনত্মব্য কি? শ্রম্নতি- বাংলাদেশের নিজের জন্যই সে দেশে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসীদের বিরম্নদ্ধে দমননীতি গ্রহণ করা জরম্নরি। পাকিসত্মানের দিকে খোলা চোখে তাকালে যে কেউ দেখতে পাবেন সেখানে কি ঘটছে। বাংলাদেশে কতিপয় রাজনৈতিক দলের সমাবেশে, সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে এবং ধর্মনিরপেড়্গমূলক প্রতিষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০০৫ সালে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৩টিতে বোমা হামলা হয়েছে।

সেদেশের ইতিহাসে প্রথম বিচার বিভাগ বোমা হামলার লড়্গ্যে পরিণত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জামায়াতুল মুজাহিদিনের নেতাদের বোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হলেও আওয়ামী লীগ আরও গুরম্নতর ধর্মীয় মৌলবাদকে মোকাবেলা করছে। (১১ই জানুয়ারি দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।