আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামী শরীয়াতে আকীকা করার বিধান

আমি আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছু শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু নিতে চাই।

'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে বকরী বা খাসী যবেহ করে আত্মীয়-স্বজন, গরীব-মিসকিন, অসহায়-অভাবীদেরকে বিতরন করে দেয়ার নাম আকীকা। শরীয়াতের দৃষ্টিতে এটা সুন্নাত। নিম্মোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা আকীকার প্রমান মেলে--- হযরত সালমান ইবন আম্মার দাব্বী (রাঃ) বলেন, রসুল (সঃ) বলেন, ' শিশুর আকীকা কর। তার পক্ষ থেকে রক্ত ঝরাও।

আর তার কষ্টদায়ক বস্তু (মাথার চুল) দূর কর। " (বুখারী ২য় খন্ড পৃঃ৬৯৯) । হযরত হাসার ইবন সামুরা (রাঃ) বলেন, আকীকা প্রসংগে রসুল (সঃ) বলেন," আকীকা করা পর্যন্ত প্রতিটি শিশু বাধাঁ থাকে। কাজেই সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে খাসী বা বকরী যবেহ করবে, তার মাথার চুল মুড়িয়ে দিবে এবং তার নাম রাখবে। " (তিরমিয়ী, ইবন মাযাহ, নাসাঈ) ।

হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রসুল (সঃ) বলেন, " পুত্র শিশুর পক্ষ থেকে আকীকার ক্ষেত্রে সমবয়সী দুটি খাসী এবং শিশুর পক্ষ থেকে একটি খাসী যবেহ করবে। " (তিরমিযী) । হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসুল (সঃ) বলেন, " ইয়াহুদী সম্প্রদায় শুধুমাত্র পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে আকীকা করে থাকে, কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে করে না। সুতরাং তোমরা পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দুটি বকরী আর কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি বকরী যবেহ কর। " (যাদুল মা'আদ ২য় খন্ড, পৃঃ ১২) ।

উম্মে কুরয কা'বিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, আকীকা সংক্রান্ত বিষয়ে রসুল (সঃ) এর নিকট তিনি জানতে চাইলে তিনি বলেন, "পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দুটি বকরী আর কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি বকরী যবেহ করবে। আর যবেহ করার এ প্রাণী খাসী হোক কিংবা বকরী, এতে কোন অসুবিধা নেই। " (তিরমিযী)। আকীকার মধ্যে অনেক হিকমত নিহিত রয়েছে। যেমন ধরা যাক শিশুর জীবনের প্রাথমিক অবস্থায়ই এ কুরবানী অল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পেশ করা হয় , যা দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জিত হয়।

এ ছাড়াও হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী আকীকা করা পর্যন্ত সন্তানের যে বন্ধন থাকে , এ কুরবানীকে তার পক্ষ থেকে ফিদইয়া হিসাবে পেশ করা হয়। যার বরকতে আল্লাহ তা'য়ালা বিভিন্ন দুঃখ- কষ্ট ও রোগ-শোক থেকে নবজাতককে নিরাপদ রাখেন। আকীকা আনন্দ ও খুশীর বহিঃপ্রকাশের ও একটি মাধ্যম যে, আল্লাহ তা'য়ালা উম্মাতে মুহাম্মাদীতে একজন সদস্য যুক্ত করেছেন। এছাড়াও আকীকার গোশত আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব , ফকীর-মিসকীন, দরিদ্র-অসহায়ের মধ্যে বিতরন করা হয়, যা দ্বারা পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায় এবং এর দ্বারা সমাজ থেকে দারিদ্র বিমোচনে সহায়তা করা হয়।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.