আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘোড়ার গাড়ি উল্টে গর্তে॥ শিশু ইমরানের মর্মান্তিক মৃত্যু

ফাস্ট নিউজে চোঁখ রাখুন

শখের বসে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছে আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা গ্রামের শিশু ইমরান। ঘোড়ারগাড়ি অগাধ গর্তে উল্টে গেলে শিশু ইমরানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘোড়াটিও মারা যায়। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা যাবৎ গর্তের পানি সেঁকে শিশু ইমরানের লাশ উদ্ধার করা হয়। নতিডাঙ্গা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ ঘটনায় গাড়োয়ান খোদা বকশোসহ নিহত ইমরানের চাচাতো ভাই হারুন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা মসজিদপাড়ার রিপন ও রতন দু’ ভাই। তাদের শ্যালোমেশিন বাড়ি থেকে মধুখালী মাঠে নিয়ে যাওয়ার জন্য একই পাড়ার মৃত মোজাহার মণ্ডলের ছেলে খোদা বকশোর ঘোড়ার গাড়ি ভাড়ায় নেন তারা। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে খোদা বকশো তার ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে রিপনদের বাড়িতে আসেন।

শ্যালোমেশিন ঘোড়ার গাড়িতে তোলা হলে রিপনের শিশুপুত্র হারুন (৮) ও রতনের শিশুপুত্র ইমরান (৬) বায়না ধরে ঘোড়ার গাড়িতে উঠে মাঠে যাওয়ার জন্য। এক পর্যায়ে শিশু হারুন ও রতন ঘোড়ার গাড়িতে উঠে বসে। নতিডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া-কাঁচিকাটা সড়ক দিয়ে খোদা বকশো ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে মধুখালী মাঠে যাচ্ছিলেন। এসময় হারান মণ্ডলের বাড়ির নিকটবর্তী বড় গর্তের কাছে পৌঁছুলে একই গ্রামের মৃত শহিদের ছেলে রকিবুল তার পাউয়ারট্রিলার নিয়ে মাঠ থেকে ফিরছিলো। পাউয়ারট্রিলার দেখে ভয় পেয়ে ঘোড়া ঝাপ দিয়ে ওঠে।

সাথে সাথে ঘোড়ার গাড়ি উল্টে যায় হারান মণ্ডলের অগাধ গর্তে। গাড়োয়ান খোদা বকশো ও রিপনের শিশুপুত্র হারুন আহত অবস্থায় বেঁচে গেলেও গাড়ির নিচে পানিতে চাপা পড়ে রতনের একমাত্র সন্তান শিশু ইমরান। এলাকার লোকজন অনেক চেষ্টা করে পানি থেকে মৃত অবস্থায় ঘোড়াটি উদ্ধার করলেও পানিতেই চাপা পড়ে থাকে শিশু ইমরান। অবশেষে খবর দেয়া হয় আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসে। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের মেশিন দিয়ে এবং গ্রামের লোকজন শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি সেঁকে শিশু ইমরানের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করে।

এ সময় নতিডাঙ্গাসহ আশপাশ গ্রামের হাজার হাজার লোক গর্তের চারিদিকে ভিড় জমায়। প্রতীক্ষা চলতে থাকে কখন পাওয়া যাবে শিশু ইমরানের লাশ। সবার চোখ থেকে ঝরে পড়ে অশ্রু। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশু ইমরানের লাশ গর্তের পানি থেকে উদ্ধার করে দমকল বাহিনী। একমাত্র ছেলে ইমরানের লাশ যখন গর্তের পানি থেকে তোলে দমকল বাহিনী, তখন ইমরানের মা-বাবার আর্তনাদে এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

অবশেষে গতরাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশু ইমরানের লাশ জানাজা শেষে গ্রামে দাফন করা হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।