আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাফলং-এ পযর্টকরা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে

furamoon@gmail.com

জাফলং-এ পযর্টকরা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। গত ২৮ডিসেম্বর কয়েক সহকর্মী মিলে সিলেটের জাফলং ভ্রমণে গিয়েছিলাম। জাফলং বল্লাঘাট থেকে একটি ইণ্জিন নৌকা ৪০০ টাকা দিয়ে ভাড়া করি। নৌকাটি আমাদেরকে বল্লাঘাট থেকে পিয়াইন নদী দিয়ে ভারত সীমান্তে নিয়ে যায়। আবার সেখান থেকে ফেরত নিয়ে আসে।

ঘাটে আসার পর আমরা যখন চালককে ভাড়া দিতে গেলাম তখনই দেখাদিল বিপত্তি। সওকত নামে অপর এক ব্যাক্তি এসে বলল, আমাকে ১৮০টাকা দেন। আর ২২০ টাকা দেন চালককে। আমরা জানতে চাইলাম তুমি কে? সে জানালো যে ঘাটের ইজারাদার। আমরা বললাম তাহলে তোমার রশিদ কোথায়? প্রথম দিকে শওকত জানায়, রশিদ আছে অফিসে।

অফিস থেকে রশিদ এনে দিতে পারলেই আমরা তার প্রাপ্য তাকে দিব জানালে সে নানা তালবাহানা শুরু করে। রশিদ ছাড়া টাকা না দিতে চাওয়ায় শুরু হয়ে যায় তর্কবিতর্ক। শওকত আমাদের নানা রকম হুমকি দিয়ে দুর্বল করার চেষ্টা করে। তাতেও কাজ না হলে ঘটনা চরম পর্যায়ে পৌঁছে। এক পর্যায়ে স্থানীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পরিচয় দিয়ে সমঝোতা করতে আসে সোহেল নামের একজন।

এর পর আসে বল্লাঘাট শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ আরো কয়েকজন । অবশেষে তারা ক্ষমা চেয়ে আমাদের বিদায় করে। ঘটনা চলাকালে আমরা জানতে পারি, এই ঘাট সরকারীভাবে কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। স্থানীয় গোয়াইনঘাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান-এর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেরাই ইজারার নামে এই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। ঘাটে ২৩টি ইণ্জিন নৌকা আছে।

মূলত তাদের সিন্ডিকেটের কারণেই এখানে নতুন কোন নৌকা আসতে পারে না এবং ৪০০টাকার কমে পর্যটকরাও নৌকা নিতে পারে না। অথচ নৌকাগুলো পর্যটকদের এক কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করায় না। প্রতিটি নৌকা প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ট্রিপ পর্যটকদের আনা-নেয়া করে । ছুটিরদিন হয় ৮ থেকে ৯ ট্রিপ। আর প্রতি ট্রিপ থেকে চাঁদাবাজরা নেয় ১৮০ টাকা করে।

এভাবে প্রতিদিন ২৩টি নৌকা থেকে চাঁদাবাজরা তুলছে- ২৩*৫*১৮০ টাকা=২০৭০০টাকা ছুটির দিনে তুলছে ২৩*৮*১৮০ টাকা=৩৩১২০ টাকা ৩০ দিনে চাঁদা তুলছে =২০৭০০*৩০টাকা=৬২১০০০টাকা এই হারে ১ বছরে চাঁদা তুলছে= ৬২১০০০*১২টাকা=৭৪৫২০০০টাকা। আমাদের পর্যটন কর্পোরেশন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিগণ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন কে জানে। নাকি তারা নিজেরাও এই চাঁদার অংশ নিয়ে থাকেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।