আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০৯-এর সবার সেরা পাঁচ নতুন প্রযুক্তি

ভালো লাগে জোছনা রাতে মেঘ হয়ে আকাশে ভাসতে.... :)

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আই ট্রিপল ই বছরের সেরা (এবং পঁচা) প্রযুক্তি গুলো নিয়ে একটা রিভিউ বের করে। এই বারের রিভিউ-তে স্থান পেয়েছে মোট ১০-টি প্রযুক্তি। তার মধ্যে পাঁচটিকে জয়ী আর বাকি পাঁচটিকে পরাজিত (লুজার) প্রযুক্তি বলে ঘোষনা দেয়া হয়েছে। এখানে সেরা প্রযুক্তিগুলো নিয়ে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করলাম: গুগল ক্রোম ও এস: সাত সেকেন্ডে বুট হওয়া নেটবুকের জন্য বানানো গুগল ক্রোম ও এস ২০০৯-এর সেরা প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে একটি। ইন্টারনেটের গতির সাথে সাথে সার্ভিস ভিত্তিক যে বাজার গড়ে উঠছে তার প্রতিফলন এই ওপারেটিং সিস্টেমে বলতে গেলে কিছু ইনস্টল করা ছাড়াই অনেক ধরণের প্রোগ্রাম চালানো যায়।

মূল স্টোরেজ হিসেবে অনলাইনকেই ব্যাবহার করা হয়েছে- যাতে যেকোনো জায়গা থেকে ডাটা এক্সেস করা যায়। ২০১০-এর শেষ নাগাদ পুরো ওপারেটিং সিস্টেমটি আমরা দেখতে পাব। আইবিএম এবং রাশিয়ান রেইলওয়ে এন্টারপ্রাইজ লেভেলের সলিউশন প্রোভাইডার হিসেবে আইবিএমের জুড়ি নেই। এই বছরেই সান মাইক্রোসিস্টেম তাদের হাত ছাড়া হলেও বেশ কিছু চমক দেখিয়ে আইবিএম এখনও অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের প্রভাব বজায় রেখেছে। প্রায় ৮৫ ৫০০ কিলোমিটার লম্বা ১১টা টাইম জোনে বিভক্ত এই রেইল লাইনের উপর ৬৬৫ হাজার রেলগাড়ি চলে।

প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ কাজ করে রাশিয়ান রেইলওয়েতে। আই বি এম ৪ বছর সময়ের মধ্যে এতো বড় একটা প্রতিষ্ঠান চালানোর মতো বিজনেস ইন্টেলিজেন্স সফটওয়ার বানানোর দায়িত্ব নিয়েছে- যা কিনা নি:সন্দেহে ২০০৯-এর একটি বিশাল মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। পিক্সেল কিউ আই ডিসপ্লে: বাণিজ্যিক এই এল সি ডি ট্যাকনোলজিকে ধরা হচ্ছে বছরের একটা সেরা আবিস্কার হিসেবে। কেন? খুব সহজ! ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন আলোচিত সব গ্যাজেটের কথা। আইফোন আসার পর থেকে বড় ডিসপ্লের ফোন এখন সবাই বানাচ্ছে- আর ইবুক রিডার তো আছেই! এই স্ক্রীন যখন একটিভ থাকে তখন শক্তির দরকার হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়ার কন্জাম্পশন একটি বড় গবেষণার বিষয়। এই এলসিডিগুলো দরকার মত রঙ্গীন থেকে সাদাকালো মুডে পরিবর্তন করতে সক্ষম- তাই প্রচুর পাওয়ার সেভ হয়। ২০০৯-এ রিসার্চ শেষ হওয়া এই স্ক্রীনের কনজিওমার প্রোডাক্ট আমরা এই বছরেই দেখতে পাবো! ন্যানোগ্যান ওয়েফার: যারা আসিক (এপ্লিকেশন স্পেসিফিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট) বা ভি এল এস আই (ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট) নিয়ে কাজ করেছেন অথবা যারা প্রসেসর বা চিপ কিভাবে বানায় তা নিয়ে জানতে আগ্রহী, তারা ইতিমধ্যেই জানেন সিলিকনের কারণে মিলিয়ন মিলিয়ন ট্রানজিস্টর ছোটো এক টুকরা পাতের মধ্যে বসানো সম্ভব হচ্ছে। অনেকেই ইতিমধ্যে জানেন সনির প্লেস্টেশন রিলিজ ৩ পূর্ব ঘোষিত সময় থেকে প্রায় ১ বছরের উপরে ডিলে করা হয়েছিল। কারণ ছিল নতুন ব্লুরে প্রযুক্তির সাথে সাধারণ সিলিকন চিপ ভালোভাবে কাজ করছিলোনা।

ন্যানো গ্যালিয়াম নাইট্রাইড চিপগুলো সেই ঝামেলা দূর করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এতোদিনের রিসার্চে তাই বলে। ২০১০-এর মধ্যে কমার্শিয়াল অনেক প্রোডাক্টেই সিলিকনের বদলে গ্যালিয়াম নাইট্রাইড দেখা যাবে। (দাম হয়তো বেশি হবে- কিন্তু পারফরমেন্স এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক) হামিংবার্ড: আগের একটি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন স্মার্ট ফোন গুলোর কথা একবার বলেছি। তবে তখন বলেছিলাম পাওয়ার কনজাম্পশন নিয়ে- এবার বলবো মোবাইলের পাওয়ার নিয়ে।

আমরা জানি এখনকার দিনের ফোন গুলো আসলে এক একটি ছোটো কম্পিউটার। স্মার্টফোন গুলোতে প্রায় কম্পিউটারের মতো সুবিধা দিতে গিয়ে দরকার হচ্ছে আরো শক্তিশালী প্রসেসর-এর। একটি লোকাল ম্যাগাজিন আর ডেন্টিস্টের সাথে শেয়ার করা ছোটো একটা কোম্পানী ইনট্রিনসিটি বানিয়েছে স্মার্ট ফোনের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী প্রসেসর হামিংবার্ড। প্রায় ১ গিগাহার্জের প্রসেসরটি ব্যবহৃত হচ্ছে স্যামসাং-এর নতুন ফোনে। আই ফোনের পরবর্তী রিলিজে হামিংবার্ড ব্যবহারের কথা ভাবছে এপল।

(আই ট্রিপল ই স্পেক্ট্রাম ম্যাগাজিনের জানুয়ারী সংখ্যা অবলম্বনে- মূল লেখা থেকে শুধু মাত্র বাছাই করা তথ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।