আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তি



শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে চুক্তি সম্পাদনের লক্ষে গতকাল বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ে তিস্তানদীর পানি বন্টনের বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। তিস্তা নদীসহ বাংলাদেশের মোট ৫৪টি নদীর উৎস হচ্ছে ভারত। এ ৫৪ টি নদীর পানি নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের কিছু না কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ইতিপূর্বে ১৯৯৬ সালে গঙ্গানদীর পানি নিয়ে চুক্তি করেছিল। কিন্ত সে চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটা রক্ষা করা হয়েছে তা অত্যন্ত বিতর্কিত।

বিশেষত শুস্ক মৌষুমে ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গায় ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম পানি থাকলে বাংলাদেশ ও ভারত সমান সমান পানি লাভ করার শর্তটির দরুণ বাংলাদেশের ক্ষতি হয়েছে। গঙ্গার মূলস্রোত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত, ফলে শুস্ক মৌষুমে বাংলাদেশের পানির প্রয়োজন ভারতের চেয়ে অনেক বেশী। সেজন্য ১৯৭৭ সালের ৫ নভেম্বর গঙ্গানদীর পানি নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত ৫ বছর মেয়াদী চুক্তিতে শুস্ক মৌষুমে বাংলাদেশের জন্য প্রবাহিত পানির ৮০ ভাগ প্রদানের নিশ্চয়তার বিধান ছিল। ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তিতে কোন এ ধরণের গ্যারান্টির বিধান না থাকা ও স্বল্প সময়ের পরিবর্তে ৩০ বছর মেয়াদের জন্য চুক্তি করা সঠিক হয়নি বলে প্রমাণিত হয়েছে। এখন তিস্তার পানি নিয়ে চুক্তি করার সময় আগের ভুলগুলোর কথা মাথায় রেখে শুস্ক মৌসুমে বাংলাদেশের জন্য একটি ন্যুনতম পানিপ্রাপ্তির নিশ্চয়তার বিধান রাখা হবে বলে আশা করছি, অন্যথায় আরেকটি মরণ ফাঁদ তৈরী হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।