এই পোস্ট http://www.somewhereinblog.net/blog/kalidia/29070003#c3822883 পোস্টের প্রেক্ষিতে লিখা....... সেখানে লেখক ৩২ নাম্বার কমেন্টের জবাবে লিখেসেন:
১) উনি নিজ চোখে জ্বীন দেখেছেন
২) জাকির নায়েক "চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়া নিয়ে কোরআনে যা লিখা আছে" তার জবাব দিয়েছেন.....
এর প্রেক্ষিতে আমার কিছু প্রশ্ন:
╟╟╟ জ্বীন তো জানতাম অদৃশ্য.... তাহলে কিভাবে মানুষ তাদের দেখতে পারে ???? এবং আরো প্রশ্ন: তারা আগুনের তৈরী.... সুতরাং তারা দেখতে কেমন ??? নিকোলাজ কেজের একটা সিনেমা আছে: "ঘোস্ট রাইডার"..... ওটার মত নাকি ???
╟╟╟ চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়া নিয়ে তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না আজ পর্যন্ত....... অনেক আগে এটা নিয়ে লিখেসিলাম: http://www.somewhereinblog.net/blog/seoul/28995918 পোস্টে
ওটার পয়েন্টগুলির সাথেই আরো একটা যোগ করি:
নিচে দেখুন সৌদি আরবের ম্যাপ দিলাম(তৎকালীন জাজিরাতুল-আরব):
খেয়াল করে দেখুন যে সৌদি আরবের ডানে, বামে-উপরে ও নিচে-বামে সাগর..... এখন আসুন সৌদি আরবের সারফেস এরিয়া নিয়ে.....উইকি থেকে পাওয়া যাচ্ছে যে সরকারীভাবে এর এরিয়া:
2,217,949 km2......... এখন আসুন চাঁদের এরিয়া হল: "about a quarter of Earth's land area, approximately as large as Russia, Canada, and the United States combined"..... অর্থাৎ কানাডা, রাশিয়া, আমেরিকা মিলিয়ে যা হয় তার চেয়েও বেশী.......
এখন যদি চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করা হয়, তাহলে অর্ধেক চাঁদ ছিল আকাশে এবং বাকিটা কোন একটা পাহাড়ে এনে ফেলা হয়েছিল... ফলে ধরে নেয়া যায়, পুরো চাঁদের অর্ধেক এরিয়া তখন পৃথিবীতে এবং বাকিটা আকাশে......এখন রাশিয়ার এরিয়া হল: 17,075,400 km2..... চাঁদটা শুধু যদি রাশিয়ার এরিয়া'র অর্ধেকেরও সমান হয় তবুও সৌদি আরবের থেকে বড়.......
সুতরাং সম্পূরক প্রশ্ন:
■ ফলে চাঁদটা এসে কি তাহলে কিছু অংশ পানিতে এবং কিছু অংশ মাটিতে ছিল এমনটা হয়েছে ??? এটা না হলে কিভাবে সৌদি আরবের ভূমিতে তার টোটাল এরিয়ার চেয়ে বেশী এরিয়ার একটা জিনিস কিভাবে থাকতে পারে যেহেতু সৌদি আরবের ৩ দিকে পানি দেখা যাচ্ছে ???
■ যদি দাবী করা হয়, কেউ অর্ধেক দ্বিখন্ডিত চাঁদ দেখেছেন তাহলে প্রশ্ন: কিভাবে সেটি সম্ভব যেখানে চাঁদের টোটাল এরিয়া সৌদি আরবের থেকে বড় ?? কেউ নিশ্চয়ই চোখের সামনে সমগ্র সৌদি আরব দেখেননি,তাইনা ??
দেখেছেন, সৌদি আরবের ছোট একটা ভূমি(সহজ কথায় চোখের দৃষ্টিসীমানায় যতটুকুন আসে)
■ যদি চাঁদ পৃথিবীতে এসে পড়ে তাহলে এত ভারী একটা জিনিস পড়ার কারণে কোন না কোন চিহ্ন অবশ্যই রেখে যাবে, তাইনা ??? ( যেভাবে আমরা উল্কাপাতের চিহ্ন দেখি) সেরকম চিহ্ন কোথায় ???
■ আমার পয়েন্টগুলি জাকির নায়েক যদি কোন সায়েন্টিফিক প্রমাণ দিয়ে খন্ডন করে থাকেন তাহলে সেই প্রমাণগুলি কি কি ???
****************
আপডেট:
চাঁদের দ্বিখন্ডিত হওয়া নিয়ে অনেকেই বলেছেন আকাশেই দ্বিখন্ডিত করা হয়েছিল..... এ সংক্রান্ত প্রশ্নগুলি ১৫ নাম্বার কমেন্টে লিখা হয়েছে
*****************
আপাতত এটুকুনই....... তবে শেষ কথা বলি, আমার মনে এই প্রশ্নগুলি থাকলেও আমি আস্তিক এবং কোরআনে বিশ্বাস করি..... যেখানে চন্দ্র সূ্র্য নিয়ে কথা তোলার প্রমাণ হতে সময় লেগেছে ৯০০ বছর, সেখানে চাঁদের ব্যাপারটিও প্রমাণ হবে একসময়..... আমি ব্যাখ্যাটা জানিনা অর্থ এই না যে তা মিথ্যা.......নাস্তিকরা বলতে পারেন তালগাছটা আমার বলতে পারেন এবং আমি একমত পোষণ করি এব্যাপারে......তবে একই সাথে কোন ভুল ব্যাখ্যা দিয়েও একে প্রমাণ করতে চাওয়ার যে চেষ্টা তার বিরোধীতা করি
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।