আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। সে মোতাবেকই পুলিশের ডিউটি বন্টন করা হয়েছিল।

₩℮ℓ¢☻₥℮ Ŧ◙ ღẙ Ħє†† ☠

এটাই যদি হ্য় পকৃত ঘটনা যে একটা রাজনৈতীক দল (সেই সময়ের চার দলিয় জোট) অন্য আর একটা প্রতিপক্ষ দলকে সম্পূর্ণ শেষ (আক্ষরিক অর্থেই সম্পূর্ন নিশ্চিহ্ন) করে দেওয়ার জন্য কি ভয়ংকর পরিকল্পনা করে ছিল। আমরাতো কম বেশি সবাই জানি এক সময় এই বাংলাদেশের সকল গুরুত্বপূর্ন পরিকল্পনাই গ্রহন করা হত একটি বিশেষ ভবন থেকে আর তার সাথে যুক্ত ছিল রাজাকার জামাত। নিচে এবিষয়ে ইত্তেফাকের নিউজটি পড়ুন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার প্রকৃত সত্য আড়াল করতে পুলিশ শুরুতেই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছিল। ঘটনার ১৫ দিন পর পুলিশের দেয়া প্রথম গোপন প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। ঘটনার ১৫ দিন পর ৪অক্টোবর ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের ডিসি ( পূর্ব) একটি গোপন প্রতিবেদন দিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিস্ফোরিত হয়েছিল বোমা। বলা হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশের তথ্য পুলিশকে আগাম জানানো হয়নি। পুলিশ নিজ উদ্যোগে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল। সমাবেশের আশপাশ এলাকায় ভবনে ছিল রুফটপ ডিউটি (ভবনের ছাদে পুলিশ ডিউটি)। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিন বঙ্গবন্ধু ও বিজয়নগরসহ আশপাশ এলাকায় মোতায়েন ছিল ৪২২ জন পুলিশ সদস্য।

এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ছিল ২০ মহিলাসহ ২২২ জন। অপর দিকে গোলাপশাহ মাজার বিজয়নগর চৌরাস্তাসহ আশপাশ এলাকায় ছিল আরও ২০০ জন পুলিশ সদস্য। হামলার সময় ৪২২ জন পুলিশ সদস্যদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন। তবে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রতিরক্ষা বিভাগের সকল সদস্য আহত হয়েছিলেন (১১ জন)। পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, তৎকালীন ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান ওই প্রতিবেদনে রীতিমত মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন।

ঘটনাস্থল থেকে তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছিল। অথচ ডিসি সরাসরি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন বোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল। যারা মারা গেছেন তারা বোমার স্পিøন্টারে মারা গিয়েছিল। আহতরা আহত হয় বোমার প্লিন্টারে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আসামি ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত।

সে মোতাবেকই পুলিশের ডিউটি বন্টন করা হয়েছিল। পুলিশের গোপন প্রতিবেদনে বলা হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আশপাশ ভবনের ছাদে পুলিশ ডিউটিতে ছিল ( রুফটপ ডিউটি) । প্রকৃত অর্থে সেদিন কোন রুফটপ ডিউটি দেয়া হয়নি। হামলার পর হামলাকারী গোলাপশাহ মাজার এলাকায় দিয়ে নিরাপদ অবস্থানে চলে যায়। তাদের ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ্য্ম্বাুলেন্স ব্যবহার করা হয়েছিল।

পুলিশ ইচ্ছে করলে হামলাকারীদের ( হুজিদের) অনায়াসেই গ্রেফতার করতে পারতো। বরং পুলিশ ঘটনার পরপর টিয়ার সেল ও বেধড়ক লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে সহায়তা করেছিল। ইতিমধ্যে গ্রেফতারকৃতদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতেও একই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তৎকালীন ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমানের দেয়া গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২১ আগস্ট মুক্তাঙ্গনে বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ করার জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন হতে অনুমতি নিয়েছিল। এ অবস্থায় অনুমতি নেয়া হয়েছিল ডিসি পূর্বের ।

মুক্তাঙ্গনে পুলিশী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীতে সমাবেশস্থল পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু বিষয়টি ডিসি পূর্বকে অবহিত করা হয়নি। ঘটনার দিন সকালে বিষয়টি জানতে পেরে দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার দিন ২৩ বঙ্গবন্ধু (আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়) এভিনিউর পূর্ব পাশে ২০ জন মহিলা পুলিশ সদস্যও দায়িত্বরত ছিলেন।

পেট্রল ইন্সপেক্টর মেজবাহউদ্দিন, এসি পেট্রল (পূর্ব) সালাহউদ্দিন দায়িত্বরত ছিলেন। পশ্চিম প্রান্তে ডিবির ক্যামেরা টিম, মতিঝিল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, এসআই শরীফ ফারুকসহ ৩৫ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। সমাবেশে আগতদের তল্লাশিতে ছিলেন সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সার্জেন্ট ওয়াজ নবীসহ ৭ কনস্টেবল। বলা হয়, অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রমনা ভবন, সালিমার ভবনের ছাদে ( রুফটপ ডিউটি) ৮ জন পুলিশ কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় আশপাশে কোন ভবনেই রুফটপ ডিউটি ছিল না।

সূত্র জানায়, ঘটনার পরপরই ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে মতিঝিল থানার এসআই শরীফ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার কোন ব্যবস্থা করা সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।