আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১ জানুয়ারি থেকেই মাসব্যাপি বাণিজ্যমেলা

পরে বলবো

১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। শেরে বাংলা নগরে মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। গত ৩ বছরের ধারাবাহিকতার এবারও স্পট অর্ডার কমার সম্ভাবনা। বাণিজ্যমন্ত্রী মেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেছেনÑ এবারের মেলা ভালো করার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। থাকবে ব্যাপক মনিটরিং।

অনিয়ম হলেই ব্যবস্থা। বেসরকারী খাতে প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহণের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ণ ব্যুরো যৌথ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজক। মেলা পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছেÑ এ বছর মেলার দেশী-বিদেশী মিলে মোট ৪৮৬টি প্যাভেলিয়ন ও স্টল থাকবে। ১০টি দেশের ২৮টি স্টল থাকবে। এগুলো হচ্ছেÑ ইউএসএ, থাইল্যান্ড, চীন, তুরস্ক, ভারত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকং।

গত বছরের তুলনায় প্রবেশ মূল্যও বাড়ানো হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১৫ এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১০ টাকা করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছেÑ ২০০৬ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তাৎক্ষণিক অর্ডার পাওয়া যায় ২৪ কোটি ৬৮ কোটি টাকার। ২০০৮ সালে ২২ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং ২০০৯ সালে ১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকার ধারাবাহিকতায় এ বছর ও তাৎক্ষণিক অর্ডার কমবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বছর মেলা থেকে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

ব্যয় ৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং উদ্ধত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রদর্শিত প্রধান পণ্য : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রদর্শিত প্রধান প্রধান পণ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছেÑ মেশিনারী কার্পেট, কসমেটিক্স এন্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স, লেদার, লেদার ওডস এন্ড ফুটওয়্যার, সেপাটর্স গুড এন্ড সেনিটারি ওয়্যার, লেলনা স্টেশনারী, ঘড়ি, জুয়েলারী, সিরামিকস, টেবিল ওয়্যাল, দেশীয় বস্ত্র, ক্যাবল, মেলামাইন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ফাস্টফুড, আসবাব পত্র ও হস্তশিল্প। এছাড়াও রফতানিমূখী প্রধান প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পরি প্রস্পাইলিন, ওভেন ফেব্রিক্স, অর্গানিক চা, কটন ও ডেনিম ফেব্রিক্স, সিরামিক সামগ্রী, জুস, রাইস, কস্টন ম্যাট, চামড়াজাত সামগ্রী, গৃহস্থলি সামগ্রী, লুঙ্গি এবং হারবাল পণ্য। ব্যাপক নিরাপত্তা : বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ নিরাপত্তা বলয় থাকবে। আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর এর মাধ্যমে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

মেলা প্রাঙ্গনে থাকবে ৪০টি সিসি টিভি। দৈনিক আনুমানিক ৬৫০ জন ডিএমপির কর্মকর্তা ও কর্মচারী, র‌্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে : বাণিজ্য লেঃ কর্নেল (অব.) ফারুক খান মেলা প্রাঙ্গন পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেনÑ এ বছর ভাল মেলা হবে। আমরা শক্ত মনিটরিং এর ব্যাবস্থা করেছি। খাবারের দাম বৃদ্ধি ও মান খারাপ অন্যান্য পণ্যের মানের বিষয়ে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমরা কঠোর কোনো অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই স্থায়ী ভাবে আন্তর্জাতিক মেলা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এতে ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার বন্ধুত্বের নির্দশন দেবে ২২০ কোটি টাকা। বাকী টাকা বাংলাদেশ সরকার দেবে। মেলা চলাকালীন সময় কোনো লোড সেডিং হবে না বলেও তিনি জানান।

১ জানুয়ারি থেকেই পুরো দমেই মেলা শুরু হবে বলেও তিনি জানান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।