আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‍‍হাফ ডজন পাজল (মাথা ঘামান, ভালো লাগবে)



(লেখাটি এবারের ক্রিসমাস সংখ্যায় দিয়েছিলাম। কিডজদের জন্য লেখা ছিল। অবিকৃত রেখেই এখানে দিলাম। বিশেষ ক্রিসমাস সংখ্যার ভার্চুয়াল ম্যাগাজিনটা যারা দেখতে চান, তারা Click This Link) বুদ্ধির খেলা খেলতে নিশ্চয়ই তোমাদের খুব ভালো লাগে! মাথা খাটিয়ে নানরকম ধাঁধার জবাব খুঁজে বের করার মাঝে তো দারুণ মজা, তাইনা? এবারের ক্রিসমাসের ছুটিতে মজার মজার কয়েকটা পাজল তোমাদের দেই। দেখো তো, উত্তর বের করতে পারা কিনা।

না পারলেও ক্ষতি নেই। একদম শেষে পাজলগুলোর উত্তর দেওয়া থাকলো। মিলিয়ে নিয়ো। পাজল # ১. পরীক্ষা শেষ, সামনে ক্রিসমাস। তাই স্কুল ছুটি।

এই শীতকালটা বাগান করার জন্য উপযুক্তও বটে। এক বাড়ির দুই বোন ঠিক করলো, ছুটির সময়টাতে বাগান করা যাক। ব্যাস, যা ভাবা তাই কাজ। দুজনেই লেগে গেল বাগান তৈরির কাজে। অনেকক্ষণ ধরে কাজ করা শেষে তাদের কাজ থামলো।

কাজ শেষে দেখা গেল, একজনের চেহারা, চুল, খুবই নোংরা হয়ে গিয়েছে। অথচ অন্যজনের তেমন কিছুই হয়নি। দেখে মনেই হয়না যে ও বাগানে কাজ করছিল। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, যে বোনটির চেহারা, চুলে নোংরা লেগেছিল, সে কিছুই করলো না। অন্যদিকে যার গায়ে নোংরা একদমই লাগেনি, সেই বরং দৌড়ে গেল নিজের হাত-মুখ আর চুল ধুতে।

কেন এমনটি হলো, বলতে পারবে? পাজল # ২. এক পর্যটক গিয়েছিলেন আফ্রিকার গহীন অরণ্যে ঘুরতে। হঠাৎ করেই তিনি পড়ে গেলেন একদল নরখাদকের হাতে। নরখাদক গোত্রের প্রধান অবশ্য বেশ যক্তিবাদী মানুষ ছিলেন। তিনি সেই পর্যটককে যুক্তির খেলায় আমন্ত্রণ জানিয়ে একটা ধাঁধা দিলেন। ধাঁধাটি হলো, সেই পর্যটককে শুধুমাত্র একটা বাক্য বলার সুযোগ দেওয়া হবে।

বাক্যটি যদি সত্যি হয়, তাহলে তাকে পাহাড়ের চূড়া থেকে ফেলে দেওয়া হবে। আর যদি মিথ্যা হয়, তাহলে তাকে ক্ষুধার্ত সিংহের মুখে ছেড়ে দেওয়া হবে। পর্যটকটি দারুণ বুদ্ধিমান ছিলেন। তাই তিনি একটামাত্র বাক্য বলেই নিরাপদে ফিরে আসতে পেরেছিলেন। কী সেই বাক্য? পাজল # ৩. নদীর পাড়।

এ পাড়ে দাঁড়িয়ে ৩ জন মিশনারি ও ৩ দৈত্য। সবারই অন্য পাড়ে পার হতে হবে। তবে সমস্যা হচ্ছে, নৌকা আছে মোটে একটাই। আর সে নৌকায় একসঙ্গে মাত্র দুজন চড়তে পারে। দৈত্য আর মিশনারি, সবাইকেই পার হতে হবে।

কিভাবে পার হবে তারা? তুমি একটু পথ বাতলে দিলেই কিন্তু হয়ে যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কখনোই মিশনারির চেয়ে দৈত্যের সংখ্যা কোনো পাড়েই বেশি রাখা যাবেনা। কেননা, দৈত্যের সংখ্যা বেশি থাকলেই কিন্তু ওরা মিশনারিদের ধরে খেয়ে ফেলবে! পাজল # ৪. একজন ট্যুরিস্ট ঘুরতে ঘুরতে একদিন একটা ছোট্ট শহরে চলে আসলেন। অনেকদিন থেকেই বাইরে বাইরে ঘুরছেন, তাই সময়মতো চুল কাটাতে পারেননি তিনি। শহরে আসার পর খেয়াল করে দেলেন, তার মাথার চুল অনেক বড়ো হয়ে গিয়েছে।

কাজেই এবার চুল কাটানো খুবই জরুরী। সেলুনের খোঁজ নিয়ে দেখলেন, শহরে মাত্র দুটা সেলুন। আর নাপিতও মাত্র ঐ দুজনেই। সমস্যা হলো, একজনের দোকান একদম পূর্ব দিকে, আরেকজনের একদম পশ্চিম প্রান্তে। চুল কাটানোর আগে সেলুন দুটো ঘুরে দেখতে চাইলেন ঐ ট্যুরিস্ট।

সেলুন ঘুরে যা দেখলেন তা হলো, পূর্বে যে নাপিত কাজ করে, তার দোকান একদম এলোমেলো, নোংরা আর অপরিচ্ছন্ন। তাছাড়া, তার নিজের চুলের কাটও জঘন্য! অন্যদিকে যে নাপিতটির পশ্চিম প্রান্তে দোকান, তার দোকানটি যেমন ঝকঝকে-তকতকে পনিস্কার, তেমনি তার চুলের কাটও দারুণÑ একদম সিনেমার নায়কের মতো! ট্যুনিস্ট ভদ্রলোক কোনদিকের দোকোনে যাবেন এবং কেন যাবেন, বলতে পারবে কি? পাজল # ৫. প্রতি বছরের মতো এবারো ‘অ্যাপেক্স সান্তা ক্লজ স্কুল’ এর গ্র্যাজুয়েশন হয়ে গেল। এবার গ্র্যাজুয়েশন পেয়েছেন ৮ জন। তাদের উপর দায়িত্ব পড়েছে, শহরজুড়ে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে সান্তা ক্লজের ভূমিকা পালন করার। তারা যখন বেরিয়ে পরার জন্য তৈনি, তখন ঠিক করলেন, প্রত্যেক সান্তাই প্রত্যেকের সঙ্গে একবার করে হ্যান্ডশেক করবেন।

আর এই হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেই শুরু হয়ে গেল পাজল। একটু চিন্তা করে বলোতো দেখি, মোট কতোবার হ্যান্ডশেক করা হয়েছিল তাদের মধ্যে? পাজল # ৬. ক্রিসমাসের রাতে এক ভদ্রলোক তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। পথ চলতে চলতে হঠাৎ একটা লম্বা টানেল পড়ে গেল সামনে। নিকষ কালো অন্ধকার টানেল! বাবা এই টানেলটা পার হতে পারেন ১ মিনিটে। মা’র সময় লাগে ২ মিনিট।

এদিকে ছেলেটার ৪ আর মেয়েটার ৫ মিনিট। কিন্তু টানেলটা এতোই অপ্রশ¯Í যে, মাত্র দুজন একসঙ্গে টানেলটা পার হতে পারবেন। তাও আবার যখন দুজন পার হবে, তখন যার বেশি সময় লাগে, সেই সময়টাই লাগবে দুজনের একসঙ্গে পার হতে। এদিকে তাদের হাতে টর্চ লাইট আছে মাত্র ১ টি। আর তাতে যে ব্যাটারি আছে, তার আয়ূ মোটে ১২ মিনিট।

তাদের পক্ষে কি সম্ভব, টানেলটা ১২ মিনিটে পার হওয়া? হলে জলদি পার করে দাও। কারণ, সবাই-ই অন্ধকারকে খুব ভয় পায়! পাজলের উত্তর পাজল# ১ দুই বোন যখন কাজ শেষ করলো, তখন তাদের সামনে কোনো আয়না ছিলনা। তারা পরস্পরের দিকে তাকানোর পর পরিষ্কার মুখের বোনটি দেখলো, তার বোনের চেহারা ধূলিমাখা, ময়লা। এ দেখে সে ধারণা করে নিলো, তার চেহারাও একইরকম ময়লা ও নোংরা হয়েছে। তাই সে হাত, মুখ ধুতে চলে গেল।

একইভাবে অন্য বোনটি বিপরীত কাজটি করেছে। পাজল# ২ পর্যটক বলেছিল, ‘আমি সিংহের পেটে যাবো। ’ এখন মজাটা খেয়াল করোÑ যদি তার কথা সত্যি হয়, তাহলে তাকে পাহাড়ের চূড়া থেকে ফেলে দেওয়ার কথা। কিন্তু পাহাড়ের চূড়া থেকে ফেলে দিলে তো তার কথা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়! আর মিথ্যাই যদি হয়, তাহলে তো তার সিংহের পেটে যাওয়ার কথা। কিন্তু সিংহের পেটেই যদি যায়, তাহলে বক্তব্য আর মিথ্যা হলো কোথায়? কাজেই যুক্তিবাদী গোত্রনেতা এতো যুক্তির গ্যাঁড়াকলে পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন, পর্যটককে ছেড়েই দেওয়া উচিত! পাজল# ৩ প্রথমে একজন মিশনারির সঙ্গে এক দৈত্য ঐ পাড়ে যাবে।

মিশনারি ফিরে আসবে। এবার দুই দৈত্য পার হবে। এক মিশনারি ও এক দৈত্য ফিরে আসবে। দুই মিশনারি যাবে। এক দৈত্য ফিরে এসে অবশিষ্ট দৈত্যকে নিয়ে যাবে।

পাজল# ৪ পূর্বদিকের সেলুনেই যাবেন ট্যুরিস্ট। কেননা, তিনি চিন্তা করে দেখলেন, যেহেতু শহরে মাত্র দুজন নাপিত আছে; তার মানে তাদের চুল কাটানোর দরকার হলে তারা পরস্পরের কাছেই যান চুল কাটাতে। পূর্ব দিকের নাপিতের চুল কেটেছে পশ্চিমের নাপিত (বিচ্ছিরি সে চুলের কাট)। আর পশ্চিমের নাপিতের চুল কেটেছে পূর্বের নাপিত (নায়কের মতো সে কাট)। পশ্চিমের দোকানটা ঝকঝকে থাকে, কারণ খুব বেশি মানুষ যায়না যে ওখানে! পাজল# ৫ সান্তাক্লজরা পরস্পরের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার পর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২৮।

কেননা, সান্তা ‘ক’ বাকি ৭ জনের সঙ্গেই হ্যান্ডশেক করেন। সান্তা ‘খ’ ইতিমধ্যেই সান্তা ‘ক’ এর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন। কাজেই তিনি হ্যান্ডশেক করবেন বাকি ৬ জনের সঙ্গে। এভাবে সান্তা ‘গ’ ৫ জনের সঙ্গে, ‘ঘ’ ৪ জনের সঙ্গে...। তাহলে মোট সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছেÑ ৭+৬+৫+৪+৩+২+১ = ২৮ পাজল# ৬ হমমম... অনেকভাবেই চেষ্টা করেছো, কিন্তু ঠিক মেলাতে পারছো না, তাইনা? দেখে নাও এবার।

প্রথমে যাবেন বাবা আর মা- সময় লাগবে ২ মিনিট। বাবা ফিরে আসবে। মোট সময় গেল ৩ মিনিট। এবার ছেলে আর মেয়ে একসঙ্গে যাবে মায়ের কাছে। ৮ মিনিট গেল।

মা ফিরে আসবে। ১০ মিনিট। সবশেষে বাবা আর মা আবার একসঙ্গে টানেল পার হবে। সর্বমোট সময় ১২ মিনিট!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।