আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুখবর! উপকারী ড্রাগন ফল এখন দেশেই জন্মাবে

বড়াইগ্রাম(নাটোর) উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা করা হবে। বেশী করে নিমগাছ লাগান, আপনার পরিবেশ ভাল থাকবে।
দক্ষিণ আমেরিকার অরণ্যে ড্রাগন ফলের জন্ম। প্রায় এক’শ বছর আগে জনৈক এক ব্যক্তি এই ড্রাগন ফলের বীজ ভিয়েতনামে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে ধীরে ধীরে শুরু হয় ড্রাগন ফলের চাষ।

বর্তমানে এই ফল সেখানে অন্যতম প্রধান ফল হিসাবে পরিচিতি পায়। পরে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মায়ানমার প্রভৃতি দেশে এই ফলের চাষ সম্প্রসারিত হতে থাকে। এই ফল কাঁচা-পাকা উভয়তেই খাওয়া যায়। খাদ্য ও ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল খেতেও সুস্বাদু। সারা বছর এই ফলের গাছ রোপন করা যায়।

অধিক তাপ সহ্যকারী গাছ তাই গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এর চাষ ভালো হয়। শীতের চার-পাঁচ মাস ছাড়া বছরের অবশিষ্ট সাত-আট মাস ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। আগামী দুই দশকের মধ্যেই ড্রাগন ফল পৃথিবীর সেরা ফল হিসাবে গণ্য হবে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন। এই বিষয়টি অবগত হয়ে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বাংলাদেশে ড্রাগন ফল চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে নাটোরের বড়াইগ্রামে দশজন কৃষক ড্রাগন ফল চাষের জন্য প্রদর্শনী খামার তৈরি করছেন।

বড়াইগ্রামে ড্রাগন চাষ ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুর রহিম ও কৃষিবিদ কামরুজ্জামানকে ড্রাগন ফল চাষ বা এই বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ভিয়েতনামে পাঠানো হয়েছিল। ড্রাগন ফল চার প্রকারের হয়ে থাকে। তবে হাইলোসেরাস অনডাইটাস অর্থাৎ সাদা ফলটি বেশি পাওয়া যায়। প্রতি বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ দুইশ’টি ড্রাগন ফলের গাছ রোপন করা যায়। গাছ হতে ফল পাওয়া যায় দুই থেকে তিন বছর পর।

প্রতিটি গাছে ৫০ থেকে একশ’টি মত ফল ধরে। প্রতিটি ফলের ওজন হয় পাচঁশ’ থেকে আটশ’ গ্রাম । ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার, কীটনাশক এর প্রয়োজন হয় না। গাছগুলো প্রায় ৫০ শতাংশ খাবার বাতাস থেকেই সংগ্রহ করতে পারে। বাকীঁ খাবার গুলো গাছটি কম্পোস্ট বা জৈব সার হতে সংগ্রহ করে থাকে।

রোগ-বালাইয়ের উপদ্রপ নাই বলে কীট নাশক ব্যবহার করতে হয় না। ড্রাগন ফুল সাধারণতঃ রাতে ফোটে থাকে। ড্রাগন গাছে পরাগায়নের জন্য বিশেষ কোন পদ্ধতির প্রয়োজন হয় না। নিজের ফুলে নিজেই ফল তৈরি করে বিশেষজ্ঞগণ জানান। বর্তমানে ঢাকার কিছু অভিজাত দোকানে ড্রাগন ফল পাওয়া যায়।

এই ড্রাগন ফল প্রতি কেজি তিন থেকে চারশত টাকা দরে অভিজাত দোকানে বিক্রি হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞগণ জানান, ড্রাগন ফল একটি পরিপূর্ণ খাবার উপযোগী। অন্যান্য সাধারন খাবারের মত খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এই ফলটিতে চিনির পরিমাণ খুব কম তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অতি উত্তম খাবার। ফলটি পিচ্ছিল জাতীয় তাই এসিডিটি কমায় এবং ক্যান্সার আর হৃদ রোগের জন্য উপকারী।

নাটোর সহ দেশের অন্যান্য স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগন ফলের চাষ করা হলে মূল্য কম হবে বলে চাষীরা আশা করে। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ফলের চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে কৃষিবিদরা জানান। আশা করা হচ্ছে দু’দশকের মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকায় ড্রাগন ফল প্রধান ফল হিসাবে গণ্য হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশেও প্রসিদ্ধ লাভ করবে বলে কৃষিবিদরা ধারনা করছেন। ড্রাগন গাছ ড্রাগন গাছ ড্রাগন সাদা ফুল ড্রাগন গাছ (কচি ফল) ১টি বাদে সবগুলো ছবি নেট থেকে নেওয়া।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.