আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনারা পালাবেন না । জাতীয়তাবাদীরা প্রতিশোধে বিশ্বাসী নয় ।

fb.com/naminrng

সরকারি দলের অনেক নেতাদেশ ছাড়ছেন প্রতিদিনই ঢাকাস্থ কয়েকটি দেশের দূতাবাসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা। উদ্দেশ্য ভিসা প্রাপ্তি। এই তালিকায় আইনজীবী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী এমনকি বিচার বিভাগের লোকজনও রয়েছে। ক্ষমতার পালাবদলের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই তারা দেশ ছাড়বেন। মহাজোট সরকারের সময় হালুয়া-রুটির ভাগ বাটোয়ারাই শুধু নয়; নানাভাবে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

প্রশাসনকে ব্যবহার করে এবং ক্ষমতার দাপটে প্রতিপক্ষের ওপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছেন। ক্ষমতার পালাবদল ঘটলে বিএনপি এবং নির্যাতিত মানুষ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে আক্রমণ করতে পারে সে ভয়েই তারা দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভিসা করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাস গত এক বছরে ৫ হাজার ভিসা ইস্যু করেছে বলে জানা গেছে। ক্ষমতার দাপটে যারা এতোদিন নানা পন্থায় রাষ্ট্রের সম্পদ লুট করেছেন এবং বিরোধী দলকে জুলুম নির্যাতন করতে প্রশাসনকে ব্যবহার করেছেনতাদের ‘দলকে বিপদে ফেলে’ বিদেশে ‘পালিয়ে যাওয়ার’ দৌড়ঝাঁপ দেখে দলের ভিতরেই প্রশ্ন উঠেছে।

আওয়ামী লীগের এক সাবেক নেতা ক্ষোভপ্রকাশ করে বললেন, প্রধানমন্ত্রীকে যারা এতোদিন ভুল বুঝিয়েছেন তারা দলকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলে বিদেশ পালানোর চেষ্টা করছেন। পাল্টে যাচ্ছে রাজনীতির দৃশ্যপট। ক্ষমতাসীন দলের দাপুটে নেতাদের অনেকেই দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ক্ষমতার দাপট, দলের প্রভাব এবং বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বদলি বাণিজ্যসহ নানা পন্থায় সাড়ে চার বছরে যারা বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন তাদের বিরাট অংশ বিদেশে চলে যাওয়ার এই প্রক্রিয়া করছেন। এছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য এবং উপদেষ্টাদের যারা প্রধানমন্ত্রীর চারপাশে সিন্ডিকেট তৈরি করে তোষামোদী করেছেন তাদের অনেকেই বিভিন্ন দেশের ভিসা করে রেখেছেন।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝেইতারা উড়াল দেবেন। কেউ কেউ ইতোমধ্যে বিদেশ যাতায়াত শুরু করেছেন। স্ত্রী-বাচ্চাদের বিদেশে পাঠিয়েছেন এমন নেতার সংখ্যাও কম নয়। ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা এবং অঙ্গও সহযোগী সংগঠনের ২০ থেকে ৩০ হাজার নেতা দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে বিএনপির যেসব বিতর্কিত নেতা জুলুম-নির্যাতনের ভয়ে দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন তাদের অনেকেই স্বদেশমুখী হচ্ছেন।

তাদেরবিশ্বাস ভোট হলেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এবং তারা আগের মতো লুটপাটে নেমে পড়বেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মতে সরকারের মেয়াদ শেষ হলেই রাজনীতির বাতাস ঘুরে যাবে। সিন্ডিকেট করে এতোদিন যারা প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন তারা তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) দুর্দিনেপাশে থাকবেন না। এরাই দেশের প্রকৃত চিত্র বুঝতে না দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ হরিলুট করেছেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময়ও এই সুবিধাবাদীচক্র বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকেননি।

যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে মায়াকান্না করছেন তাদের কেউ সে সময় ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচাতে’ গর্তে লুকিয়েছিলেন; আবার কেউ মোশতাকের মন্ত্রী হয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের মু-ুপাত করেছেন। উন্নয়নমূলক কিছু কর্মকা- করলেও সন্ত্রাস, দুর্নীতি,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব, প্রতিপক্ষের ওপর জুলুম-নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইসলাম বিদ্বেষী আচরণসহ নানা কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। বিভিন্œ জরিপ ও জনমত যাচাইয়ে দেখা গেছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট হলে নৌকার ভরাডুবি ঘটবে। পরিস্থিতি বুঝেই ‘সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বো না’ অবস্থান নিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রভাবশালীদেশ ও দাতাসংস্থাগুলোর দাবি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে হবে।

ভোটের পরে বিএনপি প্রতিশোধপরায়ণহয়ে পাল্টা আক্রমণ করতে পারে সে আশঙ্কা থেকেই বিদেশ চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আওয়ামীলীগের আলোচিত নেতারা। (মানবজমিন)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.