আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার হাফ প্যান্ট কাল - ১ ~**~ একটি শৈশব কাল প্রযোজনা ~**~

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

এই আইসক্রিম.... ডিস্কিং। এই আইসক্রিম.... ডিস্কিং। এই আইসক্রিম.... ডিস্কিং। কাঠের বাক্সের ডিস্কিং শব্দটা আজকে মেজার গরম করে দিসে।

ঘুম থেকে ধরফরিয়ে উঠি। বৈকালিক আরামের ঘুমটা নষ্ট করার জন্য আইসক্রিমওয়ালারে চরম একটা ঝাড়ি দিবো ভেবে দৌড়ে বাসা থেকে দোকানের সামনে যাই । গিয়া দেখি রাজ্যের বেবাক পোলাপাইন আইসক্রিম ওয়ালারে ঘিরে আছে। আইসক্রিমওয়ালা ব্যাটা আমারে দেখেই মুখটা চওড়া করে একটা হাসি দিয়া কইলো - কি মেজাজ খারাপ? আমি মুখটা এঙ্গেলে বাঁকিয়ে কইলাম না। ব্যাটা আরো চওড়া হাসি দিয়া কইলো এই নেও তোমার লাইগ্যা একটা এক টাকা দামের আইসক্রিম রাইখা দিসি।

আমি আইসক্রিমটা চাটতে চাটতে মাথায় একটা দুষ্টুবুদ্ধি ফাইনাল কইরা ফালাইলাম আইসক্রিমওয়ালারে কইলাম চাচা আরো একটা চারআনা দামের আইসক্রিম দেন। তখন কার সময়ে তিনধরণের আইসক্রিম পাওয়া যেত। একটাকা দামের আইসক্রিম যা নারকেল দিয়া মোড়ানো। আটআনা দামের আইসক্রিম যার অর্ধেকটা নারকেল দিয়ে মোড়ানো। চারআনা দামের আইসক্রিম যার পুরাটাই বরফ সাথে লাল রং করা।

মাঝে মাঝে চারআনা দামের আইসক্রিম দিয়ে জিহবা লাল করতাম । আইসক্রিমওয়ালার কাছ থেকে চারআনা দামের আইসক্রিম নিয়া বাজারে ঘুরতে থাকলাম। গ্রামের হাটগুলোতে ব্যপক ভীড় থাকে। সেদিনও প্রচন্ড ভীড় ছিলো। হাঁটতে হাঁটতে একসময় একজন বায়োবৃদ্ধ লোকের পান্জাবীর পকেটে আইসক্রিমটা রেখে দিলাম ।

এবার উনার পিছনে পিছনে হাঁটা শুরু করলাম। বরফ গলছেতো গলছেই। একসময় চাচা টের পেলো। সাথে সাথেই লাফ দিয়ে উঠলো । সেই সাথে পান্জাবীটা উচুঁ করে ধরে চিৎকার করতে লাগলো।

লোকজন জমা হয়ে গেলো চারদিকে। আমি পিচ্চি বেচাড়া পরের কাহিনী দেখতে ব্যর্থ হলাম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।