আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সি এন জি চালিত অটোরিক্সার ভাড়া

নীরবতার নীল যন্ত্রনা শেষে অকস্মাৎ মুখর একজন

সি এন জি চালিত অটোরিক্সার ভাড়া সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মিটারে ভাড়া নেয়ার বিধান থাকলেও কোন অটোরিক্সা চালক তা মানছে না। ভাঙ্গা রেকর্ডর মতো অটোরিক্সা চালকদের কথা একটাই। সিএনজির মালিকরা নাকি নির্ধারিত হারের চাইতে অনেক বেশী 'জমার টাকা' নিয়ে নিচ্ছেন। তাই মিটারে ঊঠা ভাড়া গ্রহণ তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

অদ্ভুত যুক্তি। তাদের মালিক নিয়ম ভেঙ্গে জোর করে বেশী টাকা নিচ্ছেন বলে তারা মালিকের বিরুদ্ধে কিছু না বলে নিরীহ যাত্রীদের কাছ থেকে বেশী ভাড়া আদায় করবেন। কী আশ্চর্য্য! কী বিচিত্র এই ব্যাখ্যা। পেছনের আসল ব্যাপারটি হলো গত ঈদের সময় রাস্তা জ্যাম থাকায় সিএনজিগুলো কাছাকাছি দূরত্বেও ৮০/৯০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০/২০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া দাবী করতে থাকে। ব্যস, এরপর ঈদ গেল।

কিন্তু অভ্যাস আর লোভ গেল না। এখনও তাদের ভাড়া চাওয়া শুরু হয় ৮০ টাকা থেকেই। আমি একদিন ভাড়া দেবার সময় এক চালকের এই ধরনের বিচিত্র যুক্তি খন্ডন করে বললাম - ভাই, আমি যেখানটায় চাকরী করি, সেই মালিকও খুব খারাপ। গত তিনমাস ধরে আমাকে অর্ধেকের চেয়েও কম বেতন দিচ্ছে। তাই এই বিশ টাকা ভাড়া লন।

এর বেশী ভাড়া দেওয়ার ক্ষমতা আমার নাই। .... লোকটি বোকার মতো হা হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো । কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না। আমি তাকে বুঝিয়ে বল্লাম- " ভাই, আপনার মালিক আপনার কাছ থেকে জোর করে 'জমার টাকা' বেশী নেয় বলে আপনি আমার কাছ থেকে চল্লিশ টাকার জায়গায় আশি টাকা ভাড়া নিতে চাইছেন, সেইটা যদি দোষের না হয়, তা হইলে আমার মালিক আমাকে কম বেতন দিতাছে বইল্যা আমি যদি আপনেরে চল্লিশ টাকার জায়গায় বিশ টাকা ভাড়া দিতে চাই, সেইটা কেন দোষের হইবো? দুই ক্ষেত্রেই তো একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো হইতেছে, অথাৎ 'উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে' চাপানো হইতেছে, তাইলে অসুবিধাটা কোথায়? বিশ্বাস করেন আর না করেন, সেইদিন এই কথা বলার পর সেই চালক আর অতিরিক্ত ভাড়া নেয়নি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।