আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩০-৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ বাসদ-এর প্রথম কনভনশেন সফল করুন

মাঝে মাঝে মন নিয়ন্ত্রনহীন হতে চায়; কিন্তু...............

* দ্রব্যমূল্য ও আইন-শৃঙ্খলা পরস্থিতিনিয়িন্ত্রণ, শ্রমকিদরে ৭০০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি, সবার জন্য একই পদ্ধতির শিক্ষা, সকলরে জন্য চিকিৎসা ও র্কমসংস্থান নশ্চিতি, বিচার বহিভুত হত্যাকান্ড- বন্ধ, যুদ্ধাপরাধীদরে বিচার এবং জনজীবনরে সংকট নরিসনরে দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলুন। * পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ-মৌলবাদবিরোধী সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হোন। জাতীয় র্স্বাথবিরোধী সকল চুক্তি বাতলি, তেল-গ্যাস-কয়লাসহ জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে অংশ ননি। * সাম্রাজ্যবাদরে সাথে গাটছড়া বাধাঁ নতজানু র্বুজোয়াশ্রেণীর শোষণ-লুটপাটরে অধঃপততি রাজনীতরি বপিরীতে বাম বকিল্প শক্তি গড়ে তুলুন, বাসদকে শক্তিশালী করুন, শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রকি সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণআন্দোলন তীব্রতর করুন। বন্ধুগণ, র্বুজোয়া শাসনরে গত ৩৮ বছররে অভজ্ঞিতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দয়ে, যত দনি যায় ততই জনজীবনরে র্দুভোগ বহুমাত্রকিভাবে বেড়ে চল মানুষ একবার চুলার আগুনে পোড়ে আর একবার তপ্ত কড়াইতে ভাজা হয়।

তলে, চাল, কখনও ডাল, পিয়াজ, চনিসিহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতদিনিই। শাসক দলরে দয়ো নির্বাচনর্পূব প্রতিশ্রুতরি দয়োল ভেঙ্গে সন্ডিকিটে ব্যবসায়ীরা নতুন সরকাররে সাথে সখ্যতা তৈরী করার সার্মথ্য র্অজন করার ফলে দ্রব্যমূল্যে লাগাম টানা যাচ্ছে না। মন্ত্রীদরে আশ্বাস ফাঁকা বুলিতে পরণিত হচ্ছে। দফায় দফায় বাড়ছে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি, ঔষধসহ নত্যিপ্রয়োজনীয় জনিসিরে দাম। বাড়ছে না সাধারণ মানুষরে আয়, শ্রমকিরে মজুরি।

পে-কমশিন ঘোষতি হয়েছে কিন্তু বেড়েছে বতেন বৈষম্য। এর প্রভাব পড়বে বাজারদর,বাড়ীভাড়াসহ র্সবত্র। ভজোল দ্রব্যে বাজার র্ভতি,কিন্তু ভজোল নয়িন্ত্রণে র্কাযকর পদক্ষপে নেই। ক্ষতকির রাসায়নিকে খাদ্যদ্রব্য বিষাক্ত করা হচ্ছে। জীবন রক্ষাকারী ঔষধেও ভজোল।

বিষাক্ত র্বজ্য পর্দাথ দ্বারা দূষতি খাল-বলি-নদী ও পরবিশে। অশ্লীলতা-অপসংস্কৃতরি বস্তিার ঘটছে আশংকাজনকভাব। নেশোর ছোবলে আক্রান্ত ছাত্র-যুবসমাজ। এ সবই মুক্তবাজার র্অথনীতরি ফল, কারণ পুঁজিপতিরা বুঝে শুধু মুনাফা। মানুষরে জীবন ও পরবিশে কোন কিছুরই মূল্য তাদরে কাছে নেই।

জনগণরে ভোট নিয়ে সরকার গঠতি হলেও তারা দেখে ধনীদরে র্স্বাথ, জনগণরে নয়। ক্ষমতাসীনদরে দখল উৎসব-জনগণরে নাভিশ্বাস ক্ষমতার পট পরর্বিতনরে পর পরই দেশে শুরু হয়ে যায় দখল উৎসব। জোট-মহাজোট কেউ-ই এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই। হাট-ঘাট, নদী, পাহাড়, শিল্পাঞ্চল, বিশ্বিবদ্যালয়, শপিইর্য়াড, র্গামন্টেস এর ঝুট ও কবরস্থান নির্মাণকাজে টন্ডোর এমনকি পাবলকি টয়লটে র্পযন্ত কোনটা নেই দখলরে তালকিায়? এসব নিয়ে সরকার দলীয় বভিনিড়ব সংগঠনরে নজিদেরে মধ্যেই খুন-জখমরে ঘটনা ঘটছে প্রতনিয়িত। র্দুনীতি ও সন্ত্রাস দমনরে নর্বিাচনী প্রতশ্রিুতি এবং জনগণরে প্রত্যাশা কোনটাই পূরণ হচ্ছে না।

দনি বদলরে শ্লোগান এখন জনগণরে দনি যাপনরে কষ্টে পরণিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর ৩৮ বছর এভাবেই জনগণ শাসক র্বুজােয়াশ্রণেীর দুর্ষ্কমরে দায় বহন করে আসছ। দেশী-বেদেশী লুটপাট চলছেই-এবার নদীর পানি ও সাগররে গ্যাস লুটরে পাঁয়তারা ভারত থকেে আসা ৫৪ নদীর মধ্যে ফারাক্কা বাঁধ, তস্তিায় বাঁধসহ ৪৮টি নদীতে বাঁধ দয়োর ফলে স্বাভাবকি পানি প্রবাহ থেকে বাংলাদশে ইতমিধ্যে বঞ্চতি। এখন টিপাই মুখে বাঁধ নির্মাণরে ভারতরে সিদ্ধান্ত দশেকে এক নতুন সংকটরে মুখে দাঁড় করিয়েছে। স্থলভাগরে পর এবার দশেরে সমুদ্র এলাকাকে ২৮টি ব্লকে ভাগ করে তলে-গ্যাস ক্ষত্রে সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতকি কোম্পানিকে ইজারা দান ও লুণ্ঠন প্রতিযোগীতা চলছে।

ইতমিধ্যে র্মাকনি কোম্পানি কনোকো ফলিপিস ও ব্রটিশি-আইরশি কোম্পানি তাল্লোকে ৩টি ব্লক ইজারা দান প্রায় চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। ৮০% রপ্তানরি সুযোগসহ এ চুক্তরি ফলে র্কাযত গ্যাসরে পুরো মালিকানা বিদেশী কোম্পানরি হাতে চলে যাবে। তলে-গ্যাসসহ প্রাকৃতকি সম্পদ থাকা সত্ত্বেও নাইজেরিয়াসহ পৃথিবীর বহু দশেকে আমরা নঃস্ব হয়ে যেতে দেখছি। শাসকশ্রেণীর অশুভ চক্রান্তে বাংলাদশেও কি সেই পরণিতি ভোগ করবে? ট্রানজটি-করিডোর, সমুদ্রসীমা দখল, টিফা-হানা-সোফা চুক্তি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনরে কবলে বাংলাদশে এশয়ান হাইওয়রে নামে ভারতকে ট্রানজটি-করডোর দয়োর ভারতীয় প্রস্তাব র্কাযকর হওয়ার অপক্ষোয়। এটা হলে বাংলাদশেরে র্সাবভৌমত্ব হুমকরি মুখে পড়বে।

ভারত এবং র্বামা বাংলাদশেরে ২৫ হাজার র্বগকিলোমিটার সমুদ্রসীমা দখলরে পাঁয়তারা করছে। র্মাকনি সাম্রাজ্যবাদ হানা চুক্তরি পর এবার টিফা-সোফা চুক্তরি জন্য উর্পযুপরি চাপ দিচ্ছে। এসব চুক্তি বাস্তবায়তি হলে বাংলাদশে বাস্তবে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনরে মৃগয়া ক্ষেত্রে পরণিত হবে। র্মাকনি-ভারত যুদ্ধ চক্রান্তে বাংলাদশেকে জড়ানোর এক অশুভ চক্রান্ত চলছ। এর কবল থেকে মুক্তি পেতে বাম প্রগতিশীল দশেপ্রমেকি গণতান্ত্রকি শক্তরি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার বকিল্প নেই।

বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদরে বিচারসহ সকল রাজনতৈকি হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে বিচার বহির্ভু্ত হত্যাকান্ড- বন্ধ করা হবে এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহাজোট ক্ষমতায় এসে ক্রসফায়ারকে রুটনি ওর্য়াকে পরণিত করেছে। ফলে এটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, সরকারি হত্যাকান্ডে রূপ নিয়েছে। রাষ্ট্ররে জবাবদহিতিা, স্বচ্ছতা ও আইনরে প্রতি শ্রদ্ধা বলতে কিছু নেই। ক্রসফায়াররে নামে রাষ্ট্রীয় হত্যাকা- যভোবে চলছে এই ভীতকির পরিবেশে রাষ্ট্র ও সরকাররে ফ্যাসস্টি হয়ে উঠার পথ সুগম হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড চলছে।

একদিকে বাড়ছে ক্রসফায়ার অন্যদিকে সরকার দলীয় সন্ত্রাস। পত্রিকার পাতায় প্রতদিনি আসছে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী র্বুজোয়া দলরে কোন্দল ও সংর্ঘষরে খবর। রাষ্ট্ররে প্রধানদরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করা হলেও জনগণ দনি দনি নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে। তাতে এ কথাই প্রমাণতি হচ্ছে র্বুজোয়া দলগুলো ক্ষমতার বাইরে থাকলে গণতন্ত্ররে বুলি আওড়ায় আর ক্ষমতায় গেলে হয়ে উঠে স্বৈরাচারী। সম্প্রতি র্সবোচ্চ আদালত স্বাধীনতা সংগ্রামরে প্রধান নেত বাংলাদশেরে স্থপতি শখে মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারর্বগের হত্যাকান্ডের বিচাররে রায় দিয়েছে।

অচিরেই এই রায়রে বাস্তবায়ন আমরা আশা করি। একই সাথে গণতন্ত্র ও আইনরে শাসনরে র্স্বাথে গত ৩৮ বছরে দেশে সংঘটতি সকল রাজনতৈকি হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাই। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধরে সময় সংঘটতি সবচেয়ে বড় হত্যাকান্ডের বিচারও আজ র্পযন্ত হয়নি। শাসকদরে আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যুদ্ধাপরাধীরা সামাজকি ও রাজনতৈকিভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ’৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদরে বিচার রাজনতৈকি ফায়দা লাভরে জন্য ঝুলিয়ে রাখা কিংবা লোক দখোনো বিচার তামাশা না করে বশিষে ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বচিার র্কায শুরু করতে হবে।

র্বুজোয়াদরে শাসনে জনগণরে অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না স্বাধীনতার পর ধনকি শ্রেণীর দলগুলোই বার বার ক্ষমতায় এসেছে। শোষণমূলক পুঁজিবাদী ব্যবস্থা শক্তিশালী হচ্ছে। স্বাধীনতার পর কোটিপতির সংখ্যা ২ জন থেকে বেড়ে আজ ৩০ হাজার হয়েছে। এরা ক্ষমতার মোহে সংবিধানকে অগণতান্ত্রকি ও সাম্প্রদায়কি করেছে। মুক্তিযুদ্ধরে প্রকৃত চতেনাকে ভূলুণ্ঠতি করেছে।

দেশীয় শোষক ও বিদেশী লুণ্ঠনকারীরা মিলে কৃষি, শিক্ষা, শিল্প ও খনজি সম্পদকে লুটপাটরে অবাধ ক্ষেত্রে পরণিত করেছে। কখনো নির্বাচিত কখনও সামরকি সরকার, যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারা কেউ সাধারণ মানুষরে র্স্বাথ রক্ষা করেনি। বসেরকারকিরণ ও বাণিজ্যিকীকরণরে ফলে শিক্ষা-চিকিৎসা আজ সাধারণ মানুষরে নাগালরে বাইরে। সরকারি হাসপাতালে নতুন করে ইউজার ফি বাড়িয়ে সাধারণ মানুষরে চিকিৎসাকে ব্যয়বহুল করা হচ্ছে। বকোর সমস্যা ভয়াবহ, র্দুনীতি সীমাহীন।

ফতোয়াবাজী-নারী নির্যাতন বেড়েই চলছে। এ অবস্থা চলতেই থাকবে যদি লুটরো অধঃপততি র্বুজোয়া শাসনরে অবসান ঘটানো না যায়। গণআন্দোলন তীব্র করুন, শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রকি সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হোন । প্রতদিনিরে সমস্যা মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে কিন্তু আন্দোলন ছাড়া সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আমাদরে যা কিছু অর্জন তা আন্দোলনসংগ্রামের ফল।

র্দীঘ অভজ্ঞিতায় এটা স্পষ্ট যে, শোষণমূলক পুঁজিবাদী এই সমাজ বহাল রেখে জনগণরে মুক্তি সম্ভব নয়। তাই আসুন, পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ-মৌলবাদবিরোধী সংগ্রামকে বেগবান করি। সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এগিয়ে নেই। ৩০-৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ বাসদ এর প্রথম কেন্দ্রীয় কনভনেশন সফল করার মাধ্যমে সমাজ পরর্বিতনরে আন্দোলনকে শক্তিশালী করি। এ কনভনেশনে আমরা আপনাদরে অংশগ্রহণ, নৈতিক সর্মথন ও আর্থিক সহযোগিতাসহ র্সাবকি সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।

প্রথম কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রকাশ্য অধিবেশন : ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯, বুধবার উদ্বোধন ও শোভাযাত্রা : সকাল ১১.৩০ মি., আলোচনা সভা : বেলা ৪টা, স্থান : মহানগর নাট্যমঞ্চ সভাপতি : কমরেড খালেকুজ্জামান আলোচক : কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী : কমরেড আবদুলস্নাহ সরকার : কমরেড শুভ্রাংশু চ?বর্ত্তী প্রতিনিধি অধিবেশন : ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টা, মহানগর নাট্যমঞ্চ (শুধুমাত্র প্রতিনিধি ও পর্যবেড়্গকদের জন্য) যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, উত্তর কোরিয়াসহ বিভিনড়ব দেশের ভ্রাতৃপ্রতিম পার্টির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন সন্ধ্যায় চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।