আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রাকচাপায় গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শিউলি আক্তার গুরুতর আহত

...চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায় .... আজ যে বড়লোক কাল সে ভিক্ষা চায়............

ঢাকার সাভারের নবীনগর এলাকায় গতকাল সোমবার ট্রাকচাপায় শিউলি আক্তার নামের একজন ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাড়ি ধামরাই পৌর এলাকার পাঠানটোলায়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সাড়ে তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন এবং কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এতে ওই মহাসড়ক ও নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে স্থানীয় সাংসদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মহাসড়কে চারটি গতিরোধক ও একটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। রাত ১১টার দিকে গতিরোধক নির্মাণকালে ধামরাই থেকে নবীনগরগামী একটি যাত্রীবাহী লেগুনা কর্মরত শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে চার শিক্ষার্থী ও তিন শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে আশপাশের মেসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষার্থী ফের মহাসড়ক অবরোধ করে ২০টির মতো যানবাহন ভাঙচুর করেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি ফেরার জন্য বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিউলি আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

এ সময় মানিকগঞ্জগামী একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ঘটনার পরপরই ট্রাক রেখে এর চালক পালিয়ে যায়। গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি বিভাগের প্রভাষক আবুল কালাম বলেন, ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে শিউলির ডান পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে প্রথমে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিউলিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শিউলি আহত হওয়ার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন এবং মহাসড়কের ওপর টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ওই মহাসড়কসহ নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা পৌনে তিনটার দিকে সাভারের সাংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে চারটি গতিরোধক ও একটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

তখনই গতিরোধক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, মহাসড়কে গতিরোধক নির্মাণকালে রাতে লেগুনার ধাক্কায় আহত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাফেজ মঈন, এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. শাফাত হোসেন, সাইমুম আরাফাত, সাইয়েদুল মঈন। আহত শ্রমিকদের নাম জানা যায়নি। তাঁদের মধ্যে হাফেজ মঈনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।

দুই দফায় অবরোধের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রথম দফায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়ে নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কেও। উভয় সড়কে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.