আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার : জাতির প্রত্যাশা, অপেক্ষা যেন দীর্ঘায়িত না হয়

zahidmedia@gmail.com

সর্বস্তরের মানুষের মুখে আবারও ধ্বনিত হলো বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচারের দাবি। আটত্রিশ বছর ধরে বাঙালি জাতির বুকে যে ক্ষত জন্মেছে তা মুছে ফেলতে সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে- সবার আশা এটাই। আলাদা করে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার না হলেও যদি যুদ্ধাপরাধের বিচার হয় তাহলেও অন্তত শাস্তি দেয়া যাবে ১৪ ডিসেম্বরের নির্মম সেই হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ীদের। তবে সবার দাবি, অপেক্ষা যেন বেশি দীর্ঘায়িত না হয়। সেদিনের সেই ঘটনা আজো স্তম্ভিত করে মানুষকে।

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় যখন নিশ্চিত তখন ১৪ ডিসেম্বর জাতিকে মেধাশূন্য করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হিসেবে রাজাকারদের সহায়তায় পাক বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের। অন্য শহীদ পরিবারের সদস্যদের মতোই প্রজন্ন ’৭১-এর শাহীন রেজা নুর প্রতীক্ষায় আছেন হত্যাকারীদের বিচারের। আটত্রিশ বছর আগে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বাবা শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেনের লাশ খুঁজতে গিয়েছিলেন তার এই বড় ছেলে শাহীন রেজা নুর। শুনেছিলেন রায়ের বাজারের কোথাও পড়ে আছে জন্মদাতা পিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ। সেই থেকে সেখানে যাচ্ছেন তিনি প্রতিবছর, করছেন সই একই দাবি।

শাহীন রেজা নুর বললেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেই হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বললেন, এদিন পাক হানাদার বাহিনী, আলবদর, আলশামসরা দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। কিন্তু কষ্টদায়ক বিষয়, রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা আজও করতে পারিনি। এই বিচার করতেই হবে। তাদের বিচার করা না গেলে তা হবে জাতির জন্য বড় অপরাধ।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকান্ডে সবার মনেই এবার চুড়ান্ত প্রত্যাশা জন্মেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। আর যেহেতু বুদ্ধিজীবী হত্যা যুদ্ধাপরাধেরই একটি অংশ, মানুষ আশা করে এবার বুদ্ধিজীবীদের হত্যার জন্য শাস্তি পাবেন দায়ী ব্যক্তিরা। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যা কিন্তু যুদ্ধাপরাধের একটা অংশ। সুতরাং যুদ্ধাপরাধের বিচার করলেই যারা বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী তাদেরকেই দায়ী করা হবে এবং তাদেরকেই বিচারের সামনে হাজির করা হবে। বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নয়, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, দেরি হলেও সেই বিচার না করে উপায় নেই বাংলাদেশের। ’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.