আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক কিশোরের চোখে মুক্তিযুদ্ধের অমলিন স্মৃতি < ১১ > বৃষ্টি দিনের স্মৃতি আর অন্যরকম দায়িত্ব

যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি

বর্ষা কাল শুরু হয়ে গিয়েছিল। রাত নেই দিন নেই অঝরে বৃষ্টি ঝরে চলেছে। গ্রামের ছোট ছোট কাঁচা রাস্তাগুলো কাদায় থ্যাকথেকে হয়ে গেল। রাতে টিনের চালে ঝম ঝম করে বৃষ্টি পড়েই চলেছে। আমরা এক ঘরে এক বিছানায় সবাই গাদাগাদি হয়ে কখনো বসে বসে দেশের সেই ছোটবেলার স্মৃতি হাতড়ে বেড়াতাম।

রাতে বৃষ্টি শুরু হলে এখানে ওখানে বাটি পেতে দেওয়া লাগত। টপ টপ করে সেই বাটিতে পানি পড়ে চারিদিকে ছিটকে যেত। অন্যান্য বছরের চেয়ে সেবার অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। পথ-ঘাট থৈ থৈ হয়ে গিয়েছিল। খুব ছোট বেলা যখন গ্রামে যেতাম ওমনি বর্ষা কালে থৈ থৈ পানিতে সয়লাব মাঠে হুটোপুটি করার সেই সব দিন মনে করে হঠাৎ হঠাৎই মনটা বিষন্ন হয়ে উঠত।

আমাদের এই আলোচনায় বোনরা কিছুই বলতে পারত না। কেবল মা আর আমি বর্ষা নিয়ে সেই সব মধুর স্মৃতি নিয়ে বিলাপ করে যেতাম। কখনো বাবা তার আরো শৈশবের কথা বলতেন। এই সময়ে এক এক দিন এমন জোরে বাজ পড়ত যেন একসাথে আট-দশটা কামান গর্জে উঠেছে। তার পর যখন কড়কড় করে সেই বাজের শব্দ পেতাম মনে হতো যেন মেশিন গানের গুলি হচ্ছে! অর্থাৎ আমাদের যা কিছুই ঘটত তার সাথে কোন না কোন ভাবে যুদ্ধ, গুলি ব্যাপারগুলি এসে যেত।

যেমন আমরা গ্রেনেডকে বলতাম ‘আনারস’। সেই বর্ষা মাথায় নিয়েও আমি প্রায় নিয়মিত হাজির হতাম সেই জগন্নাথের বাড়িতে। এক একটা ছোট ছোট বই আনতাম আর দুই দিনেই পড়ে ফেলতাম। আমরা যে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি সেই ইতিহাস থেকে শুরু করে চীনের যুদ্ধ, রাশিয়ার যুদ্ধ সবই আমি জগন্নাথের কাছে জেনেছি। তার দেওয়া বই পড়তে পড়তে আমার ভেতর অদ্ভুত একটা পরিবর্তন আসল।

আমার আশে-পাশের অনেকের চেয়ে নিজেকে বেশি জানা মানুষ মনে হতে শুরু করল। জগন্নাথই আমাকে বলেছিল –‘আমি এই সব বই হাতে পেয়েছি ১৬/১৭ বছর বয়সের পর, সেই তুলনায় তুমি অনেক আগে পেলে’। এই আগে পাওয়ায় কিনা জানি না আমার মনে হলো আমাদের এই যুদ্ধ খুব সহজে থামবে না। বছরের পর বছর লেগে যাবে। অবচেতনে যখন আমাদের হাতিয়ার, শক্তি এই সব নিয়ে পাক বাহিনীর বিশাল শক্তির (শুনেছিলাম তাদের হাজার হাজার ট্যাঙ্ক, কামান, যুদ্ধবিমান আছে, সেই তুলনায় আমাদের তো কিছুই নেই!) সাথে তুলনা করতে শিখলাম তখন মনে হলো এই যুদ্ধ অনেক বছর ধরে চলবে।

বাবাও বলতেন-‘ওরা হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তি, ওরা কি সহাজে হার মানবে? আমরা খুব সহজে স্বাধীনতা পাব না’। বাবার এই কথা শুনে কখনো কখনো মন খারাপ হয়ে যেত, তাহলে আমরা কি আর কখনোই দেশে ফিরতে পারব না? আবার কখনো কখনো বেশ ভাল লাগত! মনে হতো-এই তো ভাল আছি, স্কুল নেই, পড়ার চাপ নেই, রেজাল্ট ভাল করার চাপ নেই। শুধু খাও-দাও আর যুদ্ধ করো। যুদ্ধে যে আমাদের শত শত মুক্তিযোদ্ধা মারা যাচ্ছে সেটা মাথায়ই আসত না। দেশে যে কি বিভৎস নিপীড়ন চলেছে সে সম্পর্কে কিছুই বোধে আসত না।

ছোট্ট ঘর, অচেনা পরিবেশ, ভীন দেশ এই ব্যাপারগুলো তখন আর খরাপ লাগত না। মানিয়ে নিয়েছিলাম মনে হয়। ছোট ছোট ছেলেরা যখন পথের উপর মার্বেল খেলত, ঘুড়ি ওড়াতো, লাটিম ঘোরাত, তখনই মাঝে মাঝে পার্থক্যটা ধরতে পারতাম। বুঝে নিতাম আমি ওই দলে নেই! আমি পথের ধারে সারাদিন মার্বেল খেলতে পারিনা। আমিও ওদের মত গ্রামের শেষ মাথায় গিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে পারিনা।

এই সময় মনটা খারাপ হয়ে যেত। ওদের ওই মার্বেল খেলা দেখতে দেখতেই একটি ছেলের সাথে আমার ভাব হয়ে গেছিল। তার নাম রফিক। বাংলাদেশে তাদের বাড়ি ছিল মাগুরা। ও বলত ‘মাইগরো’।

ওরার শরণার্থী হয়ে এই গ্রামেরই আর পাড়ায় থাকত, কিন্তু কিছুই করত না। সারাদিন খেলেই বেড়াত। লাগাতার বৃষ্টি আর পথঘাট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নিয়মিত গ্রাউন্ডসিট বিছিয়ে ট্রেনিং হচ্ছিল না। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর বাবাও তেমন একটা অপারেশনে যেতেন না। আমাকেও আর পাঠাননি।

কয়েক দিন নিজেই আমাকে বললেন- ‘তুই এত ছোট যে রাইফেল নিয়ে ফ্রন্টে যাওয়াই ঠিক না। তার চেয়ে বরং আর কাজ কর। গেরিলা ট্রুপে মাঝে মাঝে যাওয়া-আসা কর’। আমি তাতেও উৎফুল্ল! পর দিন যথারিতি ক্যাম্পে গিয়ে ট্রেনিং হাবিলদার ওয়াদুদ মুন্সী চাচাকে গিয়ে বললাম-‘চাচু বাবা আপনার সাথে দেখা করতে বলছে’। মুন্সী চাচা কে বাবা আগেই বলে রেখেছিলেন।

তিনি তেমন কিছুই বললেন না। শুধু বললেন-‘কি আর করবা বাজান, আমাগো তো কিছু না কিছু করতেই হইব, তুমি কাইল আসো তুমারে নতুন একটা টিমের সাথে লাগাইয়া দিবনে’। ‘নতুন টিম’ শুনে রাতে উত্তেজনা-উৎকণ্ঠায় ভাল করে ঘুমই এলো না। পরদিন শুরু আমার নতুন ট্রেনিং। কোন রাইফেল বন্দুক নেই।

শুধুই বক বক করে যাচ্ছেন মুন্সী চাচা। এই টিমের প্রায় সবাই হয় কলেজের ছাত্র, নয়ত চাকরি করত বা কৃষি কাজ করত। কেউ কেউ এমনিই বেকার বসে ছিল। এদের মধ্যে প্যান্ট পরা একমাত্র আমি। বাকি সবাই লুঙ্গি পরত।

কোমরে গামছা বাঁধা। সেই গামছার মধ্যে একটা বা দুইটা গ্রেনেড লুকোনো। আমি শিখলাম কি ভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে ভেতরে ঢুকে যেয়ে পাক বাহিনীর কোথায় কোথায় পোস্ট আছে, কোথায় ক্যাম্প, কোথায় ব্যারাক, কোথায় রাজাকাররা মিলিত হয় এই সব খবর সংগ্রহ করতে হবে। কখনো ফেরিঅলা সেজে কখনো কৃষক সেজে, কখনো বা জাল নিয়ে জেলে সেজে এই কাজগুলো করতে হবে। এসব শুনেটুনে প্রথমে আমার যে উৎসাহ ছিল তা কমে গেল।

ধুর এটা কি যুদ্ধ হলো? মনটাই খারাপ হয়ে গেল। পুরো কাজটাকে আমার কাছে মনে হলো একটা চোর চোর ব্যাপার! কিন্তু যশোর থেকে আসা এই টিমের নেতা যে তিনি আমাকে অনেকক্ষণ ধরে বোঝালেন যুদ্ধের মাঠে এটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ! বিপদে পড়লে কেউ তোমার সাহায্যে এগুবে না! যাহোক আমি হ্যাঁ-না একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে গেলাম। একবার ভাবলাম যা করছি সেটাই ভাল। ইয়াসিন কাকার সাথে হাসপাতালের কাজই বরং ভাল। আসলে তখন আমার সমস্ত মনোযোগ চলে গেছে জগন্নাথের বইগুলোর মধ্যে।

হুনান, লেনিনগ্রাদ,তেলেঙ্গানা নামগুলো আরও বেশি আকর্ষণ করছিল। দোনো মনো করেও ঠিকই একদিন অপারেশনে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গেলাম। প্রথম প্রথম যে কয়বার ফ্রন্টে গেছি তার কয়েকবার মা’কে বলে যাইনি, এক-দু বার বলে গেছি। মা খুব মুশড়ে পড়তেন। না করতেন।

কিন্তু যত দিন গড়াচ্ছে মা আর না-করেন না। একদিন সকাল থেকেই বৃস্টি হচ্ছিল। টানা বৃষ্টি। দুপুরের একটু আগে আমাদের টিম রেডি হয়ে গেল। লিডারের হাতে ঝাকি জাল।

আমার হাতে বর্ষা(অনেক ফলাঅলা কোচ, যা দিয়ে পানিতে মাছ গেঁথে ফেলা হয়)। আর একজনের হাতে খালুই। এই তিনজনের টিম মাথায় কৃষকের টোপর পরে বেরিয়ে গেলাম। আমার সাইজের টোপর পাওয়া যায়নি বলে আমার মাথা খালি। বলা হলো ‘অপারেশন আমঝুপি’।

হাঁটু পর্যন্ত কাদা মাড়িয়ে হাঁটছি তো হাঁটছিই। বিকেল নাগাদ সীমান্ত ক্রস করে আরো মাইল দুয়েক হেঁটে একটা গ্রামে উঠলাম। একেবারে কুড়েঘর মত একটা বাড়ির উঠোনে যেয়ে লিডার তাদের সাথে কথা বলার পর সেখানেই থাকার ব্যবস্থা হলো। ওই বাড়ির লোকটা আর তার বউয়ের একমাত্র আগ্রহ আমি! এইটুকু ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ওরা যেন সেটা মেনে নিতে পারছিল না। অনেক রাতে কুপি বাতি নিয়ে আরও চার-পাঁচজন মহিলা আমাকে দেখতে এলো।

আমি কি করব বুঝতে না পেরে মাথা নিচু করেই বসে থাকলাম। ওদের একটি প্রশ্নেরও উত্তর দিলাম না। যা বলার বললেন লিডার। খুব ভোরে উঠে আমরা সোজা চলে গেলাম বিলে। লিডার জাল ফেলা শুরু করল।

সাত-আটবার খেও দেওয়ার পর পুঁটি, টাকি, চ্যালা মিলিয়ে আধা কিলো মাছ ধরা হতেই আবার হাঁটা শুরু। লিডারের নাম বলা আছে শাজাহান। আর একজন তার চাচাতো ভাই সেজেছে, তার নাম কুদ্দুস, আর আমি লিডারের ছোট ভাই কবির! হাঁটছি তো হাঁটছিই.....আরো কয়েক মাইল যাওয়ার পর আমঝুপি। দূর থেকে দেখলাম মাটির দেওয়াল দিয়ে ঘেরা একটা বিওপি, যেটা আগে ইপিআররা ব্যবহার করত। সেটাতেই পাক বাহিনী।

লিডার কুদ্দুস আর আমাকে একটু দূরে বসিয়ে বিওপির কাছে ডোবায় জাল ফেলছে আর তুলছে। ফেলছে আর তুলছে। এভাবে এক সময় তাকে আর দেখতে পাচ্ছিলাম না। বিওপির ওপাশে চলে গেছে। বিওপির সামনের গেট যেটা আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম না, সেখান দিয়ে এক পাক সেনা বের হয়ে এপাশে এসে দেওয়াল বেয়ে উপরে উঠে খানিকক্ষণ বসে থাকল, তারপর আবার নেমে আমাদের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পেচ্ছাপ করল।

আবার বিওপিতে ঢুকে গেল। লিডারকে দেখা যাচ্ছেনা তাও অনেকক্ষণ হবে! আমরা দুজন খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম। কুদ্দুস (তার আসল নাম কি জানিনা) মনে করিয়ে দিল আরো ঘন্টাখানেক পরেও না আসলে আমরা চলে যাব। মনে থাকবে তো, কেউ কাউকে বাঁচাতে যাব না। মেনে নিতে পারছিলাম না, তবুও বললাম-‘হ্যাঁ মনে থাকবে’।

আমরা অধীর হয়ে অপেক্ষা করছি তো করছিই....... একসময় দেখলাম আবার জাল ফেলতে ফেলতে লিডার ফিরছে। তিন জন একসাথে হওয়ার পর যে পথে গেছিলাম সেই পথে না এসে অন্য পথ ধরলাম। এবার আমরা কেউ জানিনা কত দূরে বর্ডার! হাঁটতে হাঁটতে লিডারের কাছে শুনলাম-‘অপারেশন সাকসেসফুল’। কি দিয়ে কি হলো কিছুই বুঝলাম না। ঘোরা পথে আসার কারণে বর্ডারে আসতেই প্রায় সন্ধ্যে।

শেষে মাইলের পর মাইল হেঁটে ক্যাম্পে পৌঁছুলাম অনেক রাতে। সকালে লিডার আমাদের জানাল না, কিন্তু রিপোর্ট করল নিয়ম মত। এই বিষয়ে আমি কিছুই আর জানলাম না। অপারেশন থেকে ফেরার পর আর আমার ক্যাম্পে যাওয়া হলো না। তার পর দিন থেকেই জ্বর।

ভীষণ জ্বর। ডাক্তার কাকার কাছ থেকে বাবা ওষুধ এনে দিলেন। তাতেও কাজ হলো না। টানা সাত-আট দিন জ্বরে ভুগলাম। আমার বোন মাথায় পানি দেওয়ার সময় আমি নাকি প্রলাপ বকছিলাম! আর সেই সব কথাও ছিল আনারস, ক্লিপ, থ্রো এই সব নিয়ে! একদিন শুনলাম আমঝুপি বিওপিতে মুক্তিযোদ্ধারা একদিক দিয়ে গুলি করতে করতে এগিয়েছে, আর ঠিক উল্টো দিক দিয়ে গ্রেনেড হামলা করে চার-পাঁচ জন পাক সেনাকে খতম করেছে, সেদিন লিডার বললেন-‘ভাডি, ইডা হলো আমাগেরে কাজের ফল’! আবার নতুন এক শিহরণ! আমরা কিছু একটা করতে পেরেছি এটাই বড় কথা মনে হতে লাগল।

আবার বেশ অনেক দিন কোন দায়িত্ব আসল না। অলস সময় কাটাচ্ছি। আমার সময় অলস কাটলে কি হবে, বাবার পালা এলো আবার ফ্রন্টের বাঙ্কারে। পানি বেড়ে যাওয়ার পর আমাদের বাঙ্কারের লোকদের জন্য খাবার পাঠানো হতো না। ওখানেই খাবারের ব্যবস্থা করে দিত গ্রামবাসীরা।

যদিও অনেক দূরে, তবুও তারা রান্না করে খাবার দিয়ে যেত। পাক বাহিনী পানি বাড়ার পর আর ফায়ারও করেনি বা বর্ডার অঞ্চলে টহলও দিত না। সে কারণে আমাদের টিমগুলো আগের চেয়ে আরো ভেতরে চলে যেত। আর যারা পুরোনো গেরিলা টিম তাদের কোন কোন টিম একেবারে মেহেরপুর শহরেও চলে যেত। আমাদের নতুন টিমকে সে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

জ্বর-টর ভাল হওয়ার পর একদিন এলো সেই দায়িত্ব। একেবারে মেহেরপুর শহরে গিয়ে কিছু খবর আনতে হবে, এবং এবার কোন হাতিয়ার তো নেওয়া যাবেই না এমনকি আনারসও নেওয়া যাবে না। সম্পূর্ণ খালি হাতে যেতে হবে। দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করে চলেছি.......... চলবে............. প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব।

তৃতীয় পর্ব। চতুর্থ পর্ব। পঞ্চম পর্ব। ষষ্ঠ পর্ব। সপ্তম পর্ব।

অষ্টম পর্ব নবম পর্ব। দশম পর্ব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।