আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক কিশোরের চোখে মুক্তিযুদ্ধের অমলিন স্মৃতি < ১০ > একটু একটু করে মানুষ চিনতে শিখছি.....

যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি
গোলাবারুদের তাবুতে একটা কার্টনে তাবিজের মত দেখতে কিন্তু তাবিজের চেয়ে একটু লম্বামত জিনিস ছিল। তার একপাশ থেকে নিল রঙের দুটি চিকন তার বেরিয়ে গেছে প্রায় এক গজ মত। তার যেখানে তাবিজের ভেতর ঢুকেছে সেখানে সীল করা। টানলেও তার বেরিয়ে আসেনা। আমার রেডিওর এ্যান্টেনায় বাঁধার জন্য কিছু তার দরকার হওয়ায় আমি সেই তাবিজ (যা আসলে ডিটেনেটর।

সিরিজ বোমা ফাটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। মেইন তারের লাইনের সাথে এই দুটি তার সংযোগ দেওয়া হয়, আর ছোট্ট তাবিজের মত এ্যালুমিনিয়ামের জিনিসটা মূল বোমায় আটকে দেওয়া হয়। যদিও এর আরও ব্যবহার আছে। সেটা পরে জেনেছিলাম) একমুঠো পকেটে করে নিয়ে এসেছিলাম। এক রাতে ক্যাপ্টেন সাহেবের কাছে পাওয়া ব্যাটারি ভাল আছে কিনা টেস্ট করার জন্য সেই ডিটেনেটরের তারের একমাথা ব্যাটারির নিচে আর একমাথায় টর্চের বাল্ব পেচিয়ে যেই ব্যাটারির উপর ধরেছি অমনি ফট্টাস! এত জোরে শব্দ হলো যে আমি বেহুশের মত কয়েক হাত দূরে ছিটকে পড়লাম! এই অপকর্মটি করছিলাম বারান্দায় বসে, মা-বোনরা ছিল ঘরের ভেতর তাই বড় বাঁচা বেঁচে গেল তারা! বোমা ফাটর মত ফটাস করে শব্দ হওয়ার সাথে সাথে আমি দুহাতে মুখ ঢেকে পিছনে ছিটকে পড়ি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ভর্তি আশপাশের মানুষ! লোকে লোকারণ্য। মা আর আর কেউ কেউ আমাকে টেনে তোলার পর দেখা গেল আমার পা,হাঁটু আর দুই হাত আর বুকে রক্ত ঝরছে। ছোট ছোট এ্যালুমিনিয়ামের টুকরো লেগে কেটে গেছে। যেখানে বসে ছিলাম সেখান থেকে গর্ত হয়ে মাটিও উঠে গেছে! সমবেত দর্শকরা যে যেমন পারেন ধমকটমক দিতে লাগল। যারা একটু আপন হয়ে গেছিল তারা অদ্ভুত ভাবে শাসন করতে লাগল-‘দিদি তোমার ছেলে খুব সেয়ানা হইয়ে উঠছে, এইরম এট্টা ঘটনা ওর দরকার ছিল’! আবার কেউ কেউ মায়া দেখিয়ে বলছিল-‘আহারে ছাওয়ালডা অল্পের জন্যি মরতি মরতি বাইচে গেল, তা যা কও দিদি ভগবানের আর্শীবাদ ছেলো বইলে এ যাত্রা রইক্ষে পেইলে’।

কিন্তু আমাকে যে কিছু একটা করা দরকার সেটা কেউ ভাবছিল বলে মনে হলো না। আমি তখনো থর থর করে কাঁপছি! আমাদের বাড়ি থেকে এবকটু দূরে জগন্নাথ নামে একটি ছেলে ছিল। ওদের বাড়িটা এই পাড়ার সবচেয়ে সুন্দর করে সাজানো-গোছানো। সে সবার সাথে মিশত না। সেই ছেলেটি তাদের বাড়ি থেকে তুলো ডেটল এইসব এনে আমার প্রাথমিক চিকিৎসা করল।

সবচেয়ে অবাক ব্যাপার, প্রায় সবাই কিছু না কিছু বলে সাবধান, শাসন করলেও ওই ছেলেটি কিছুই বলেনি, বরং যাবার সময় বলে গেলো-‘আমার বাড়ি চেনো’? আমি মাথা ঝাঁকাতেই বলল-‘কাল এসো একবার’। এই খবর ক্যাম্পের কেউ জানলে কপালে বকুনি আছে ভেবে একেবারেই চেপে গেলাম। মা খুঁজে সেই সব ডিটেনেটর ফেলে দিতে গেলে আমি মিনতি করে ফেরৎ নিয়ে গোপনে লুকিয়ে রাখলাম। বাবা সাতক্ষীরা বর্ডারে যাওয়ার প্রায় পনের-কুড়ি দিন হয়ে গেছে। কবে আসবে, কি ভাবে আছে কোনও খবর পাইনা।

রোজই তেহট্ট থেকে বা অন্য কোন ক্যাম্প থেকে লোকজন আসলে খবর নেওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু কেউ কোন খবর দিতে পারে না। এরও দুই তিনদিন পর এক বিকেলে শুনলাম কে একজন আমাকে খুঁজছেন। আমি সব তাবুতে তাবুতে ঘুরে ঘুরে তাকে পেলাম। তিনি আমার নাম শুনেই বললেন-‘তোমার বাবা তো হাসপাতালে......’ কথাটা শুনেই বুকের ভেতর ছ্যাৎ করে উঠল! বাবা হাসপাতালে? কি হয়েছে বাবার? আমি কাঁদো কাঁদো গলায় তাকে কেবলই প্রশ্ন করে চলেছি.....তিনি আমার মাথায় হাত রেখে বললেন-‘ভয়ের কিছু নেই, চিন্তা করো না, ইনশাআল্লা তোমার বাবা ভাল হয়ে যাবেন’। কিন্তু বাবা কেন হাসপাতালে সেটা তিনিও বিস্তারিত জানেন না, শুধু বললেন-কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে।

সেই রাতে মা আর আমি প্রায় নির্ঘুম কাটালাম। সকালে ক্যাম্পে যেয়ে বলেই আমি রওনা হয়ে গেলাম কৃষ্ণনগর। এই শহরে আগেও এসেছি বলে হাসপাতাল চিনতে তেমন সমস্যা হলো না। বাবা একটু অবাকই হলেন আমাকে দেখে, তার পরও আমাকে অনেকক্ষণ বুকে জড়িয়ে রাখলেন। বাবার টিমটা এখানে ট্রেনিংয়ের কাজ করাচ্ছিলেন।

এর মধ্যে একদিন অপারেশনে যেয়ে সেখান থেকে ফেরার সময় বিলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে আসার সময় পায়ে কিসের যেন কাঁটা ফোটে। ক্যাম্পে এসে একটু তুলো-ডেটল দিয়েই ভেবেছিলেন মাছের কাঁটা হবে হয়ত, কিন্তু ছয়-সাতদিন পর যায়গাটা পেঁকে ওঠে। সেপ্টিক হয়ে গেছিল। তারপর হাসপাতাল। ডাক্তাররা বলেছিল কাঁটা নয়, পায়ে ফুটেছিল সম্ভবত কোন চিকন লোহা।

বাবা আমাকে সেই দিনই দুপুরের পর বেতাই ফিরে যেতে বললেন, কিন্তু আমি ফিরলাম না। বললাম-কাল যাব। হাসপাতালেও থাকলাম না। সোজা চলে গেলাম দবদবি ক্যাম্পে। বাবার টিমের আর যারা ছিলেন তাদের খুঁজে পেতে একটু সমস্যা হলেও একসময় পেলাম।

সারা সন্ধ্যা ক্যাম্পের ভেতর ঘুরে বেড়ালাম। এই ক্যাম্পটা আমাদের ক্যাম্পের চেয়েও বড়। তবে এখানে ইপিআর বা আর্মির লোকদের চেয়ে বেশি ছিল পাবলিক। চেহারা দেখেই চেনা যায়, প্রায় সকলেই কলেজের ছাত্র বা এমনি সাধারণ মানুষ। চুলও বাটি ছাঁট দেওয়া নয়।

এই চুলের ছাঁট দেখেই আমি ফোর্স আর সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা করতে পারতাম। আমাদের ক্যাম্পে ব্যাপারটা দেখে ভাবতাম অন্য ক্যাম্পে মনে হয় এমন না। কিন্তু এখানেও সেটা দেখলাম। পর দিন সকালেই আমি বেতাই ফিরে এলাম। নিশ্চিন্ত হলেন মা।

ওখান থেকে ফিরে এসে এই কে সাধারণ মানুষ আর কে ফোর্সের লোক সেই ভাবনাটা মাঝে মাঝেই আসত। আমাদের ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধা ছিল আনুমানিক সোয়াশ’ থেকে দেড়শ মত। এদের প্রায় অর্ধেকই ছিল সাধারণ মানুষ। এরা কোন ভাতা পেত না। যাদের পরিবার আছে তারাই কেবল ভাতা পেত।

খাওয়ার সময় দেখতাম তারা এক জায়গায় বসে আর ইপিআর-আর্মির লোকরা আর এক জায়গায় বসে। তাবুও ভাগ করা ছিল। ইপিআর-আর্মির লোকরা মুক্তিযোদ্ধা বলত না, বলত "সিভিলিয়ান ফোর্স"। অপারেশনে যাওয়া, যুদ্ধ করা, এক ক্যাম্পে থাকা সবই ঠিক ছিল, কিন্তু তার পরও কেমন যেন একটা ভাগও ছিল। কোথাও গোলাগুলি হলে সবার আগে যে টিমটা রওনা হতো সেটা ওই সিভিলিয়ানদের।

তার পরের দলে যেত ইইপআররা, আর সবার শেষে যেত আর্মিরা যে কয়জন ছিল তারা। ইপিআররা আর্মিদের বলত-‘আর্মিওয়ালা’। আর আর্মিরা বলত ‘সবুজ টুপি’ বা ‘কালো বেল্ট’। বেতাই বাজারের একটু বাইরে একটা মাঠে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটা ছোট ক্যাম্প ছিল, কিন্তু তারা কখনো গোলাগুলি ছুঁড়ত না। আর একটা ক্যাম্প ছিল আর্মিদের পাশেই, ওদের বলা হতো ‘সিআরপি’।

ওরা নাকি নকশাল ধরার জন্য ক্যাম্প করেছে। মাঝে মাঝে ওরা প্রত্যেকটা গাড়িতে উঠে গাড়ি চেক করত। বাজারের যাকে পেত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করত। ওখানকার মানুষ আর্মির চেয়েও এই সিআরপি কে বেশি ভয় পেত। একদিন সকালের দিকে বলা নেই কওয়া নেই পাক সেনাদের ছোঁড়া মর্টার শেল এসে পড়তে লাগল ভারতীয় সীমানার এপারে।

সবই পড়েছিল ফাঁকা জায়গায়, তাতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, কিন্তু সারা গ্রাম আর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প সহ লালবাজার বিএসএফ ক্যাম্পে তোলপাড় শুরু হলো। সন্ধ্যের দিকে ক্যাম্প খালি করে সবাই ফ্রন্টে চলে গেল। আমাকে বলা হলো সেন্ট্রি দিতে। ফাঁকা ক্যাম্পে মাত্র তিন-চার জন মানুষ বসে আছি। একফাঁকে বাড়ি গিয়ে মা’কে বলে আসলাম।

আমরা যারা ছিলাম তারা সবাই একজায়গায় বসে থাকলাম। কেমন যেন মনে হচ্ছিল আজ কিছু একটা ঘটবে! এদিনও দেখলাম, সবার আগে বেরিয়ে গেল সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের টিম। আর সবার শেষে ক্যাপ্টেনের সাথে আর্মি আর ইপিআর। এই ক্যাম্পে মাত্র জনা দশেক আর্মি ছিল। একটু একটু করে সময় পার হয়ে যাচ্ছে, কিছুই ঘটছে না।

রাত দশ-এগারটার দিকে হঠাৎ কামানের গোলা উড়ে গেল পাক বাহিনী লক্ষ্য করে। বেতাই যে আর্মি ক্যাম্প আছে সেখান থেকেই কামান দাগা হচ্ছে! সে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা! আর্মি ক্যাম্প আমাদের পেছনে প্রায় এক বা সোয়া মাইল দূরে। সেখান থেকে কামানের গোলা উড়ে যাচ্ছে ঠিক আমাদের মাথার উপর দিয়ে! আমরা প্রতিটা শব্দ আলাদা আলাদা শুনতে পাচ্ছি! যখন গোলা ছোঁড়া হচ্ছে তখন ঘটাং করে একটা শব্দ হচ্ছে আর সাথে সাথে বিঙ বিঙ সাঁই সাঁই করে আমাদের ক্যাম্পের আর গ্রামের উপর দিয়ে সেই গোলা উড়ে যাচ্ছে! একটু পরেই পাক সীমানায় গিয়ে যখন ফাটছে তখনকার শব্দটা হচ্ছে গম্ভির আর ভারী- দুমমমমম করে। আমরা মাঝখানে দাঁড়িয়ে কামানের কাছের আগুন আর পড়ে ফাটার শব্দ শুনছি। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে লাগাতার গোলা বর্ষনের পর এক সময় সব কিছু খুব নিরব মনে হলো।

পর দিন দোকানগুলোর সামনে সব জটলাতেই এই একই আলোচনা-কুকুরদের মুগুর দেওয়া হইছে! এটা ছিল কাউন্টার এ্যাটাক। আমাদের যেসব টিম ফ্রন্টে গেছিল তারা সকালে নিরাপদেই ফিরে আসে। কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সেই যে জগন্নাথ আমাকে ডেটল দিয়ে চিকিৎসা করেছিল, একদিন দুপুরের পর তাদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হলাম। জগন্নাথ বাড়িতে ছিলনা।

ওর মা আমাকে বসার জন্য একটা ছোট্ট জলচৌকি এনে দিল। আমি বসেই আছি। বিকেলের দিকে ফিরল জগন্নাথ। ওর উপরের পাটির একটা দাঁত একটু উঁচু ছিল, হাসলেই সেটা বেরিয়ে পড়ত, তাতে কিংবা অন্য কোন কারণে তাকে ভীষণ ভাল লাগত। আস্তে আস্তে খুব সুন্দর করে কথা বলত।

বাড়ি এসেই আমাকে দেখে তার ঘরে নিয়ে বসাল। ঘর ঠিক না, বারান্দার একপাশ বেড়া দিয়ে আলাদা একটা কামরা করা। ঘরে ঢুকে তো আমি অবাক! সারা ঘর ভর্তি বই! বইয়ের দোকান ছাড়া এত বই আমি কখনো একসাথে দেখিনি। আমি হা করে ঘুরে ঘুরে বই দেখছি, একপাশের কাঠের বেড়ায় একটা ছবি আঠা দিয়ে লাগানো। লোকটার অনেক বড় কপাল, চোখ দেখা যায়না, একটু ফোলা ফোলা।

আমি এই কয় মাসে অনেক ছবি দেখেছি, প্রায় বাড়িতেই কৃষ্ণ, শিব, দূর্গা, কালী, রাম-লক্ষণের ছবি দেখে প্রায় মুখস্ত হয়ে গেছে, কিন্তু এই বাড়িতে তাদের ছবি নেই। আমাকে ছবির দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে জগন্নাথ জিজ্ঞেস করল-‘ছবিটা কার চেনো’? ‘না চিনি না’ বলার পর সে বলল- ‘এটা চেয়ারম্যান মাও সে তুং, আগে কখনো নাম শুনেছ’? আমি আবারও বললাম-না। আমি বাঁশের বুকশেল্ফ থেকে এক একটা বই নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছি, ও বলল- তুমি চা খাও তো? আমি খাই বলার পর ঘর থেকেই মা’কে চায়ের কথা বলল। কতক্ষণ ছিলাম খেয়াল নেই, এক সময় সে বলল-আমি তোমার অনেক কথাই শুনেছি মায়ের কাছে, তুমি তো খুব সাহসী ছেলে! একথা শুনে আমি কি বলব ভেবে পেলাম না। আসার সময় আমাকে একটা বই ধরিয়ে দিয়ে বলল- সময় পেলে প'ড়ো, অনেক কিছু জানতে পারবে।

আমি ক্লাসের বই ছাড়া রূপকথার ব্যাঙ্গোমা-ব্যাঙ্গোমির বই পড়েছি আগে। বাবা একটা বিদেশী বই এনে দিয়েছিলেন- এন্ডারসনের রূপকথা না কি যেন নাম। এ ছাড়া আর কোন বই আমার পড়া হয়নি। কিন্তু আমি দেশে থাকতে বছর খানেক আগে স্কুল ম্যাগাজিনে ছড়া লিখেছিলাম, সেটা ওকে বলার পর ও বলল-গুড। আমি বইটা নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম।

বইটার নাম- ‘যে গল্পের শেষ নেই’। এর পর মাত্র তিন-চার দিন পরই আমার সামনে খুলে গেল আর এক নতুন দরোজা................... চলবে......... প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব। তৃতীয় পর্ব। চতুর্থ পর্ব।

পঞ্চম পর্ব। ষষ্ঠ পর্ব। সপ্তম পর্ব। অষ্টম পর্ব। নবম পর্ব।


 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।