আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধ্য-শীতের জার্নাল

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ

মালিবাগের মোড় থেকে শান্তিনগরের দিকে যেতে কিছু আগে হাতের বাঁয়ে ঠিক রাস্তার পাশেই চোখে পড়বে দু-তিনটি রিক্সাভ্যান । ভ্যানওয়ালারা সব আশেপাশেই থাকে, কেউ-বা বসে ভ্যানের ওপর, কেউ-বা ফুটপাতের ওপর থাকে দাঁড়িয়ে। জন্মাবধি ঐ এলাকায় বসবাস করছি বলেই ভ্যানওয়ালারা সবাই আমার কমবেশি পরিচিত: বরিশালের মকবুল, রংপুরের সোহরাব, জামালপুরের জামাল।

কাছেপিঠেই এক বহুতলে করি বাস; স্থানীয় হওয়ার সুবাদে আমার প্রতি বহুতল ভবনের বাসিন্দাদের প্রতি দিনই বর্ষিত হয় নানান অনুরোধ-উপরোধ। প্রায়শ দর্শন কি ইতিহাসের বই ফেলে আমাকে বেরুতে হয় রংমিস্ত্রীর খোঁজে । (এইসব কাজ আমি মোটেও অগ্রাহ্য করিনা, কারণ, বেহেস্ত-দুজোখ থাকলেও থাকতে পারে!) কারও-বা ফ্ল্যাটবদল কিংবা মালপত্তর টানাহেচঁড়ার সময় ভ্যানওয়ালাদের ডেকে দিই আমিই । ভ্যানওয়ালাদের মধ্যে জামাল দু-মাস পরপরই আমার ফ্ল্যাটে আসে । ১২০ ফুট ওপরের ঘরেও বইপত্তরে ধূলো জমে; বুকসেলফটি ঝেড়ে মুছে দেয় সে।

প্রতিবারই ওকে আমি শ দুয়েক টাকা দিই, যা এক ঘন্টা কাজের জন্য যথেষ্ট এবং একজন ভ্যানওয়ালার জন্য অনেক। তো, বই মোছার ফাঁকে ফাঁকে দু-জনে দুটি চেয়ারে মুখোমুখি বসি, গপসপ করি, চা খাই: মূলত আমি কথায় কথায় জামালের জীবনে ঢোকার চেষ্টা করি। এই কারণে আমি জামালের জীবনে ঢোকার চেষ্টা করি যে দীর্ঘকাল যাবৎ আমি শহর ঢাকার শ্রমজীবি জনমানুষদের নিয়ে একটি উপন্যাস লেখার ইচ্ছে লালন করছি গোপনে -যে কারণে জামালের জীবনে ঢোকার এই কৌশল। জামালের জীবনে ঢোকার এই যে চেষ্টা- জামাল সম্ভবত তা টের পায় না। চা খাওয়া শেষ হলে জামাল আবার বুকসেলফটি মুছতে থাকে।

আমার বইয়ের তাকে অস্তিত্ববাদী দর্শনের ওপর বেশ কটি বই আছে। অস্তিত্ববাদী দর্শন -বিশেষ করে জাঁ পল সার্ত্রের চিন্তাভাবনার ওপর আমি দীর্ঘদিন যাবৎ কৌতূহলী। অস্তিত্ববাদী দর্শনটির সূত্রপাত নিৎসে (১৮৪৪-১৯০০) ও ডেনমার্কের দার্শনিক সোরেন কিয়ের্কেগার্দ (১৮১৩-১৮৫৫) এর হাতেই হয়েছিল। এরপর কুড়ি শতকের প্রথমভাগে জার্মান-অষ্ট্রিয় দার্শনিক এডমন্ড হুর্সাল ( ১৮৫৯-১৯৩৮) এবং জার্মান দার্শনিক মার্টিন হাইডহেগার (১৮৮৯-১৯৭৬) অস্তিত্ববাদী দর্শনের জরুরি কিছু ধারণা (যেমন: ফেনোমেনোলজি) যুক্ত করেন। তবে ফরাসি দার্শনিক জাঁ পল সার্ত্রের রচনায় অস্তিত্ববাদী দর্শনটি সর্বশেষ গ্রহনযোগ্য রুপ লাভ করে।

...বলছিলাম: অস্তিত্ববাদী দর্শন বিশেষ করে জাঁ পল সার্ত্রের চিন্তাভাবনার ওপর আমি দীর্ঘদিন যাবৎ কৌতূহলী। এর প্রধানতম কারণ, সার্ত্রে একবার বলেছিলেন: Marxism is the inescapable philosophy of our time. কেন এ কথা বলেছেন সার্ত্রে? কেন মার্কসবাদ থেকে আমাদের পরিত্রাণ নেই? কেন আমাদের কালে মার্কসবাদ এত অবশ্যম্ভাবী? এই প্রশ্নগুলি নিয়ে আমি ভাবিত বলেই সার্ত্রেও সর্বদা আমার উৎসূক্য ও কৌতূহলের কেন্দ্রেই থাকেন- যে সার্ত্রে অস্তিত্ববাদী দর্শনের আধুনিক ও সর্বশেষ পথিকৃৎ। জামাল বইয়ের তাক মুছছে আর সেদিকে তাকিয়ে আমার অস্তিত্ববাদী দর্শনের মূলকথাটি স্মরণ হয়। যে মূলকথাটি বেশ মানবিক। Existence precedes essence কি এর মানে? যা বিশ্বাস করতেন সার্ত্রে? এর মানে অস্তিত্ব (Existence)আগে, নির্যাস (essence ) পরে।

অস্তিত্ব কি? নির্যাসাই-বা কি? সার্ত্রের মতে অস্তিত্ব মানে সচেতন সত্ত্বার অস্তিত্ব; আর এসেন্স হল কোনও কিছুর প্রাথমিক পরিচয়-যা চাপিয়ে দেওয়া হয় বাইরে থেকে। ভ্যানওয়ালা হল এসেন্স; ধারণাটি সমাজ চাপিয়ে দিয়েছে বাইরে থেকে । জামাল হল অস্তিত্ব; যে একজন সচেতন সত্ত্বা বা র‌্যাশনাল কনশাস বিয়িং। নির্যাস হল খোলস বা মুখোশ। সচেতন প্রাণির ওপর থেকে এই মুখোশ বা খোলস সরিয়ে ফেলার নামই অস্তিত্ববাদ।

যে কারণে সার্ত্রে বলেছেন, এক্সিটেন্স প্রিসিডস্ এসেন্স। অস্তিত্ব আগে, নির্যাস পরে। আগে মানুষ, পরে তার সামাজিক পরিচিতি । জামালের কথা ভাবি। চা খেতে খেতে তার পরিবারের কথা বলে জামাল, বলে দেশের বাড়ির কথা।

জামালের পরিবার থাকে ঢাকায়, মা অবশ্য থাকেন জামালপুরে। (অনেকেই হয়তো লিখবে মা অবশ্য ‘থাকে’ জামালপুরে; বাক্য দুটির মধ্যে আকাশপাতাল তফাৎ) ...যা হোক। জামাল ঢাকায় এসেছে কাজের সন্ধানে। ভ্যান চালানোর কাজ নিয়েছে -যা অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য কাজ। তার ওপর শহরের ভদ্রলোক স্যারেরা কথায় কথায় অপমান করে, অবিশ্বাস করে, সন্দেহ করে, তুইতোকারি করে, অপমান করে।

এমন কত কথা বলে যায় জামাল... জামালের কথা শুনতে শুনতে আমার দু-চোখ বুকসেলফে রাখা অস্তিত্ববাদী দর্শনের বইগুলির দিকে চলে যায় । ওখানে কোথাও লেখা রয়েছে: অস্তিত্ব আগে নির্যাস বা খোলস পরে। এসেন্স বা খোলস নির্ধারণ করে দেয় রাষ্ট্র ও সমাজ । যে কারণে এটি বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া একটি ধারণা । বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া ধারণার কি মূল্য থাকতে পারে? প্রতিদিনই আমাদের শুনতে হয় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-অধ্যাপক-কাজের লোক-সুইপার- ড্রাইভার-ছিনতাইকারী- রিক্সাওয়ালা-হকার- মাছওয়ালা ... সার্ত্রের মতে এ সবই হল এসেন্স ; এসব ধারণা গুরুত্বহীন; আসলে এরা সবাই সচেতন সত্ত্বা বা কনশাস বিয়িং...কাজেই বুঝতে পারি সার্ত্রে একাই কী ভাবে বদলে দিয়েছেন কুড়ি শতকের ইউরোপের দৃষ্টিভঙ্গি ...কী ভাবে মানবিক করে তুলেছিলেন ইউরোপের মনন ...এবং সেই সঙ্গে বুঝতে পারি কেন অস্তিত্ববাদ মানেই মানবতাবাদ! যে দর্শনের সর্বশেষ পথিকৃৎ হিসেবে সার্ত্র বলেছেন: মাকর্সইজম ইজ দ্য ইনএক্সেপেবল ফিলসফি অভ আওয়ার টাইম।

কিন্তু, কেন এ কথা বলেছেন সার্ত্রে? তবে কি অস্তিত্ববাদী দর্শনের কিছু বাকি ছিল-যা মার্কসবাদ পূরণ করতে সক্ষম? সার্ত্রীয় অস্তিত্ববাদী দর্শন জামালকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিল। তারপর? জামালের সঙ্গে মার্কসবাদের কি সম্পর্ক? জামাল প্রায়ই বলে: শহরের ভদ্রলোক স্যারেরা কথায় কথায় অপমান করে, অবিশ্বাস করে, সন্দেহ করে, তুইতোকারি করে, অপমান করে। বুক সেলফটির ঝাড়া মোছার কাজ শেষ, এখুনি চলে যাবে জামাল । তার আগে আমি জামালকে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার মা আসেন নাকি ঢাকায়? আহে মাঝে-মইধ্যে। তয় এইবার আনতে হইব।

কেন? এবার আনতে হবে কেন? আমি সামান্য বিস্মিত। মায়ের বেলাড টেস্ট করাইতে হইব, ডাকতারে কইছে। ওহ্। সম্ভবত ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। ধনীরাই এই বিদঘুটে রোগের চিকিৎসায় (যদি ইনসুলিন ডিপেন্ডডেন্ট টাইপ ওয়ান হয় তো ) ধনীরাই এই বিদঘুটে রোগের চিকিৎসায় বেসামাল, গরীবের তো সর্বনাশের শেষ...আমি সামান্য চিন্তিত হয়ে বললাম, আচ্ছা, তোমার মা এলে আমায় বল, দেখি আমি কি করতে পারি।

আইচ্ছা, কমু। কিছু করতে না পারি অন্তত একশ টাকা তো দিতে পারব। ভাবলাম। একশ টাকা এখন জামালের জন্য অনেক। জামাল টাকা নিয়ে চলে যায়।

আমি শূন্য চেয়ারের দিকে তাকালাম। একটু আগেই ওই চেয়ারে জামাল বসে ছিল। সে তার খোলস ছাড়িয়েই বসে ছিল। কেননা, আমি তার খোলসটিকে বড় মনে করিনি। কেননা, আমি পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম ও দর্শনের মহৎ উপলব্দি গ্রহন করেছি।

ইশ উপনিষদে লেখা রয়েছে: ‘ত্যক্তনং পুঞ্জিভূথাঃ’। কি এর মানে? ইনজয় উইথ স্যাক্রিফাইস। কথাটা আমি মানি। এক্ষেত্রে আমি বৈদিক। কেননা, উপনিষদ হল বেদ এর বয়ান।

যেমন আমি বিশ্বাস করি: এক্সিটেন্স প্রিসিডস্ এসেন্স । কাজেই জামাল তার খোলস ছাড়িয়েই ওই চেয়ারে আমার মুখোমুখি বসে ছিল। ... অনেক অনেক বছর আগে: সেই ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বর মাসের এক পূর্ণিমার সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটির বৌদ্ধমন্দিরে বুদ্ধদেবকে আমি প্রণাম করেছিলাম। আমার এম এ ক্লাসের ক্লাসমেটরা আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে ছিল। ওদের কেউ কেউ হাসছিলও ওদের কারও কারও গায়ে ফোশকা পড়ে যাচ্ছিল।

কেননা, আমার খোলস বলে আমি মুসলিম! অথচ আমি একজন সচেতন সত্ত্বা হিসেবে একজন র‌্যাশনাশ বিয়িং হিসেবে সীমারেখা অতিক্রম করে মহামতি বুদ্ধকে প্রণাম করেছি এই জন্যেই যে বুদ্ধ বলেছেন, “জলের ফোঁটার প্রতিও আমার দয়া হইত!” আর তখন আমার মনে হচ্ছিল যে বুদ্ধদেব ছিলেন জাগ্রত। আমি মহামতি বুদ্ধকে প্রণাম করেছি এই জন্যেই যে তিনি খোলস ও অস্তিত্বের পার্থক্য বুঝতেন। বুদ্ধই তো অস্তিত্ববাদের জনক! জামাল তার খোলস ছাড়িয়েই ওই চেয়ারে আমার মুখোমুখি বসে ছিল ... যেহেতু আমি পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম ও দর্শনের মহৎ উপলব্দি গ্রহন করেছি। করব। নজরুলের একটা গান হয়ে যাক।

(এবং লক্ষ করুন নজরুল কীভাবে তাঁর খোলস ছাড়িয়ে গেছেন। ) মন জপ নাম শ্রী রঘুপতি রাম (অন্যদের কথা আর কী বলব, আমার এম এ ক্লাসের ক্লাসমেটরা নজরুলকে আজও চিনতে পারেনি ...একটা গানের কারণে নজরুলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে দাফন করা হলে এই গানের জন্য নজরুলের অর্ধাংশ বৃন্দাবনে সমাহিত করা উচিত ছিল না কি?) আমি শূন্য চেয়ারের দিকে তাকালাম। একটু আগেই ওখানে বসে ছিল জামাল। অন্যেরা বলবে ঢাকা শহরের একজন গরীব ভ্যানওয়ালা। যাকে অপমান করা যায়, ঠকানো যায়, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা যায়।

আমার হঠাৎই মনে পড়ল কাল একজন গার্মেন্টস ব্যাবসায়ী ওই চেয়ারে বসে ছিল। আসলে ব্যাবসায়ী শব্দটাও এসেন্স। আসলে সে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু মঈন (কাল্পনিক নাম) ; মাঝেমধ্যে বৈবাহিক ভজঘট বাধে মঈনের- আমরা তখন জরুরি বৈঠকে বসি। গতকাল সন্ধ্যায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেই ফেলল মঈন, যত যাই বলিস স্বামী-স্ত্রীর বনে না রে । আমি মনে মনে বললাম, ঠিক কথা।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনবে কেন? বনার তো কথা না। স্বামী-স্ত্রী হল ফিক্সিড ধারনা, এর শর্তাবলী লঙ্ঘিত হলেই ভজঘট লাগবেই। স্বামী-স্ত্রী হল এসেন্স: এদের তো বনিবনা হওয়ার কথা না! খোলস ছাড়িয়ে নিলেই তবে বনবে। কেবলি স্বামী-স্ত্রী না, দুজনই আসে সচেতন মানুষ। দুজন সচেতন সত্ত্বা, দুজনের কামনাবাসনা ও তৃষ্ণা সম্বন্ধে জানার কথা।

মঈন চলে গেলে রক্তাক্ত ফিলিস্তিনের কথা ভাবলাম, ভাবলাম গাজায় নিহত শিশুদের কথা। যতদিন ঐ অঞ্চলে দু-পক্ষের এসেন্স (ইহুদি/মুসলমান) বিদ্যমান থাকবে ততদিন ঐ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। (এর মানে সমাজকর্তৃক আমার আরোপিত এসেন্সটি অটুট থাকলে এবং সেই ভ্রান্ত খোলসটি (মুখোশটি) আমি নিজে থেকেই ভেঙ্গে না ফেললে কখনোই বুদ্ধদেব আমার প্রণাম পেতেন না, অপরদিকে নজরুলও লিখতেন না: মন জপ নাম/ শ্রীরঘুপতি রাম ...তার মানে ইজরাইলের ইহুদিরা ইসলামের নবীকে কেবলি ‘ইসলামের নবী’ (খোলস) না ভেবে এমন একজন প্রজ্ঞাবান (স্বর্গীয়) নীতি নির্ধারক ভাবুক এবং স্বীকার করে নিক ইসলামের নবীর নীতিবাক্যসমূহ তাদের জীবনকেও সুন্দর করে তুলবে ...) ...কাজেই ফিলিস্তিনে দুপক্ষকেই খোলস ছাড়িয়ে যেতে হবে, নইলে ফিলিস্তিনে শান্তি স্থাপন অসম্ভব, গাজায় শিশুমৃত্যু রোধ করা আসম্ভব। এবং আমরা কি এক খোলস ছাড়িয়ে যাওয়ার কাল এ বসবাস করছি না? করছি। এবং যা কিছু সুখ-শান্তি তা খোলস ছাড়িয়ে নিলেই কি প্রতিষ্ঠিত হবে না? হবে।

জামালদের জন্য যে পথটি মহামতি সার্ত্রে দেখিয়ে গেছেন গত শতকেই? (উৎসর্গ: তনুজা ভট্টাচার্য। )


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।