আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলকাতার রনি'দের কাঁঠালীয় ফ্যান্টাসী



রনি কলকাতা। যার নামের মধ্যেই তাদের সংশয়ী অস্তিত্বের প্রমাণ মিশে আছে। তার নিকনেম 'রনি কলকাতা' হবে কেন? তার নিক 'রনি ভারত' হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সংর্কীর্ণ মানসিকতার কলকাতাবাসীর পক্ষে সে চিন্তা করা সম্ভব না। যাদের কাছে কলকাতা-ই ভারত।

প্রদেশে প্রদেশে তাদের বিভাজন এতোই প্রবল, কোনো প্রদেশের মানুষ অন্য প্রদেশের মানুষকে ভালো চোখে দেখেনা। মুম্বাইতে গিয়ে টের পেয়েছি। কলকাতা, বাঙাল মানেই তাদের কাছে ভ্রু কুচকানো বিষয়। অগ্রগামী মুম্বাই, তামিলের কাছে যেমন তাদের ভাত নেই। তেমনি তাদের পক্ষে মাথা উচু করে দাঁড়ানোও সম্ভব হয়না অর্থোনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ পাঞ্জাব বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অঞ্চল কাশ্মীরের সঙ্গেও।

তখন তারা বাধ্য হয়ে নিজ কলকাতাকেই ভারত জ্ঞান করে বড় হয়। কিন্তু কলকাতাতেও তাদের সমস্যা অনেক। সেখানে তাদের নিঃশ্বাস বন্ধ করে বাঁচতে হয়। বাঙ্গালীবাবু কলকাতাবাসীদের ভাষা 'বাঙলা' নিয়েও সেখানে তাদের অবস্থা নাজুক। সতেরো আঠারোটি ভাষার চাপে সেখানে বাঙলা চেপ্টা হয়ে আছে।

এমন চেপ্টা অবস্থা যে, বাঙলা ভাষার কোনো সাইনবোর্ড নেই কলকাতা জুড়ে। পুরো পশ্চিমবঙ্গ ঘুরলে হয়তো দুয়েকটা সাইনবোর্ড পাওয়া যেতে পারে। তাদের বিচরণক্ষেত্র খুবই সীমিত। তাই যারা চাপে থাকে, বাটে থাকে তাদের আসলে বেঁচে থাকতে হয় ফ্যান্টাসীর মধ্যে। তখন তাদের মধ্যে নানাধরণের ফ্যান্টাসী ভর করে।

তারা তাদের চেয়েও ছোট কিছু খোঁজে। তাদের উপর ক্ষমতাশালীদের যে আচরণ তারাও সেটা ছোটদের সঙ্গে করতে চায় এবং হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হেয় আজগুবি কথা বলে ফেলে। আর আমাদের যেহেতু একটু মেরুদন্ডগত দূর্বলতা আছে, আমরা যেহেতু তাদের দাদা জ্ঞান করি। তাকিয়ে থাকি সার্টিফিকেটের জন্য। তাদের ফ্যান্টাসী আর আমদের মাথা নিচু করে থাকার রেজাল্ট রনি ছাগলদের এই জাতীয় কমেন্ট।

যে তার নিজের পরিচয় নিয়েই বিভ্রান্ত, যে নিজেকে মৌলিক ভারতীয়ই মনে করতেই পারেনা তাকে নিয়ে কথাবার্তাও অনর্থক। তাই এখানে সময় নষ্ট না করে, কোনো কাঠাল গাছে কাছে যাই, গিয়ে দুয়েকটা পাতা ছিড়ে আনি। নতুন এবং সংকরায়িত এই ছাগুদের দেই, নে খা। আর ম্যা..ম্যা বন্ধ কর। পুনশ্চ: যদিও রনিকে আমি উন্নত বলে মানি।

সে ছাগল হতেই পার না। তার উন্নতি হয়েছে। মিনিমাম রামছগল বলে তাকে সন্মাণিত করতে সকলকে বিণীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।