আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ মেজর জলিলের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী



আজ সোমবার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলিলের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৯ সালের ১৯ নবেম্বর তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ইন্তিকাল করেন। মেজর জলিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নবম সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনচেতা এই বীরযোদ্ধা খুলনা-বরিশাল অঞ্চলে যুদ্ধ করেছেন। ডিসেম্বরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর তিনি গর্জে ওঠেন ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।

পাকিস্তানীদের সারেন্ডারের পরপরই খুলনা অঞ্চলে ভারতীয় বাহিনী শুরু করে দেয় লুটপাট। তারা খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়। পাকিস্তানী বাহিনীর রেখে যাওয়া অস্ত্রগুলোও ভারতীয়রা ট্রাক ভর্তি করে ভারতে নিয়ে যায়। তাদের লুটপাট থেকে বাথরুমের ফিটিংস পর্যন্তও বাদ ছিলো না। ভারতীয়দের লুটপাট স্বচক্ষে দেখে মেজর জলিল তার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

দেশের সম্পদ বিদেশীরা নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ‘পুরস্কার' হিসেবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার মেজর জলিলকে গ্রেফতার করে। তিনি অসীম সাহসিকতার সাথে দীর্ঘ ৯ মাস স্বাধীনতা যুদ্ধ করলেও তাকে কোনো খেতাব দেয়া হয়নি। এর একটিই মাত্র কারণ তিনি ভারত এবং আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছিলেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে (জাসদ) যোগ দেন। তার নেতৃত্বের জাসদ ছিলো তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আতঙ্ক।

সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি গুলীতে আহত হন এবং আজীবন খুঁড়িয়ে হাঁটেন। মেজর জলিল শেষ পর্যন্ত সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির পথ ছেড়ে ইসলামের পথে আসেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আজ থেকে ২০ বছর আগে এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আধিপত্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদ বিরোধী আন্দোলনের বীর সিপাহসালার মেজর (অবঃ) এমএ জলিলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মরহুমের মাযারে পুস্তবক অর্পণ ও ফাহেতা পাঠ করে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হবে। স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল ইসলাম এক বিবৃতিতে মরহুম নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।