আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবনে যা জানা প্রয়োজন

যেখানে বাঁধ সেখানেই বিপর্যয়। তাই বাঁধ মুক্ত জীবনের জন্য চাই বাঁধ মুক্ত পৃথিবী

. বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবনে যা জানা প্রয়োজন তা হচ্ছে মৎস্য পরিসংখ্যান-২০০৯ (বছরঃ ২০০৭-০৮)। চাষের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ। গত দুই দশকে অহরণকৃত মাৎস্য উৎপাদন বেড়েছে ৬ শতাংশ এবং চাষের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে ২২ শতাংশ। মোট অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের ৬.৬৭ শতাংশ এবং মোট বদ্ধ জলাশয়ের ৫৭.৭৩ শতাংশ পুকুর।

অথচ মোট অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের ৪১.৯২ শতাংশ এবং মোট বদ্ধ জলাশয়ের ৮৬.১২ শতাংশ মৎস্য উৎপাদন হয় পুকুর থেকে। চাষকৃত পুকুরের মোট মৎস্য উৎপাদনের ৮৪.২২ ভাগই আসে রুই জাতীয় মাছ থেকে। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ৩৯ ভাগ (অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের ৪৯%) আসে মাছ চাষের মাধ্যমে। হেক্টরপ্রতি গড় মৎস্য উৎপাদন পুকুরে ২,৮৩৯ কেজি, বাঁওড়ে ৮৭১ কেজি, চিংড়ি খামারে ৬১৮ কেজি। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদন ২৫,৬৩,২৯৬ মেট্রিক টন যা গতবছরের চেয়ে ৫.০৫ ভাগ বেশি।

দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৯.৪১ শতাংশ আসে সমূদ্র থেকে আর বাকী ৮০.৫৯ ভাগ আসে অভ্যন্তরীণ জলাশয় থেকে। অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মৎস্য উৎপাদানের প্রায় ৫১ শতাংশ (মোট উৎপাদনের ৪১%) আসে মুক্ত জলাশয় হতে এবং অবশিষ্ট ৪৯ শতাংশ (মোট উৎপাদনের ৩৯%) আসে বদ্ধ জালাশয় হতে। প্রাণীজ আমিষের ৫৮ ভাগে আসে মাছ থেকে। দেশে মাছের বাৎসারিক চাহিদা জনপ্রতি ১৮ কেজি (বাৎসরিক মোট চাহিদা ২৫.৯০ লক্ষ মেট্রিক টন)। বর্তমানে বাৎসারিক জনপ্রতি মাছ গ্রহণের পরিমাণ ১৭.২৩ কেজি (বাৎসিরিক মোট মাছ গ্রহণ ২৫.৬৩ লক্ষ মেট্রিক টন)।

জনপ্রতি বাৎসরিক ঘাটতি ৭৭০ গ্রাম (বাৎসরিক মোট ঘাটতি ২৭ হাজার মেট্রিক টন)। মৎস্যখাতের অবদানঃ জিডিপি’তে ৩.৭৪%, কৃষিখাতে ২০.৮৭% এবং বৈদোশিক মূদ্রা অর্জনে ৪.০৪%। আরও জানতে অনুগ্রহ করে এখান থেকে ঘুরে আসুন। .

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.