আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জ্ঞানী-গাধা ১

অনুভুতিহীন জীবনের অপেক্ষায়... http://www.raatmojur.com/

"ব" সাহেব জ্ঞানী লোক, সারা জীবন বৈদেশিক চাক্রি আর দুনিয়ার তাবৎ দেশভ্রমন শেষে পন্চাশের কোটায় এসে দেশে স্থিতু হয়েছেন, প্রত্যহ তিনবেলা নিজ দেশকে গালি আর অন্যান্যদেশকে বাহবা দিতে দিতে ডিনার সারেন ইলিশ ফ্রাই দিয়ে। গোল বাঁধালো মাতৃদেবী, আশির কোটায় এসে বসে থাকা বেয়াক্কেল বুড়ি বাধালো কর্কট - অর্ধ মিলিয়ন বঙ্গ-তঙ্কা খরচ হলো অস্ত্রপচারে। "ব সাহেব" অবশ্য বেঁচে গেছেন তার ওপরে ধার্য্য চাঁদার অঙ্ক থেকে, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভাইবোনদের - একটা পয়সা দেবেন না। প্রথম বিবি এখন পুত্র সহকারে ম্যারিখা প্রবাসী, পঞ্চান্ন বছর বয়সের দ্বিতীয় বিবাহ ও ভেঙেছে কারন স্ত্রী নিতান্তই গাঁইয়া - হাতে থোক কিছু তঙ্কা ধরিয়ে বিদেয় করেছেন। অবশেষে নিজে গিয়ে স্থিতু হয়েছেন "ব শহরে"।

দেড়লক্ষাধিক মুদ্রা বিনিময়ে কিনেছেন স্থানীয় "ব-ক্লাবের আজীবন মেম্বারশীপ"। নিজের সমুদয় অর্থ এক বেসরকারী টাকশালের জিম্মা করে মাস গেলে অর্জিত মুনাফা তুলে আনেন - যথেষ্টই লোভনীয় সেই সেই অঙ্ক। সারাদিন এনসাইক্লোপিডিয়া, গার্ডিয়ান ইত্যাদি বৈদেশি পত্রিকা পড়েন, মুদিখানায় এক ছটাক চিনি কিনতে গেলেও জৈষ্ঠের গরমে তিনপ্রস্থ সাহেবি কোট-প্যান্টুল পরেন আর গাল পাড়েন এতোদিনে দেশে চলন্ত রাস্তা এবং গোটা দেশটা সেন্ট্রাল এসি হয় নাই কেন বলিয়া। "ব-ক্লাবে" গিয়ে দেশোদ্ধার করেন বৈকালে, সন্ধেয় মৃদু মদিরা পান, তারপরে ঘরে ফিরে আবার ইলিশ ফ্রাই সহযোগে ডিনার শেষে দেশ ও দশের চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করতে করতে নিদ্রা। বাঁচোয়া, এই "ব শহরে" শরাবের সাথে মন চাইলে কাবাবের, থুক্কু শাবাবের যোগাড় বিস্তর।

আঠেরো থেকে আটচল্লিশ - বিভিন্ন বয়সি প্রজাপতিরা ঘুরে ফেরে তার চারপাশে। "ব-সাহেবের" ডিনারের দাওয়াত পেলে মনুষ্যজনম ধন্য হয় তাদের, কেউ কেউ প্লেটে কারি তুলে দেবার সময়ে দুজনার কাঁটা-চামচে ঠোক্কর খেলে চোখ-মুখ আর দেহ ভঙ্গমিয়া চুড়ান্ত রাগমোচনের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন রহস্যময়ী মুখে। *(চলিবে) ** মডারেশনের নামে লুডো খেলা বন্ধ করুন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।