আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শির্ক সম্পর্কে কিছুটা ধারণা-

শির্ক ঃ শব্দটি আরবী। এটি তাওহীদের সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থ-অংশীদার স্থাপন করা, চাই তা আল্লাহর মূল নামের সাথে হোক কি গুণবাচক নামের সাথে। র্শিক জঘন্যতম পাপ। প্রকারভেদ : ৪ প্রকার ১. আল্লাহর সত্তার সাথে র্শিক।

যেমন ইয়াহূদীরা বলে, ওযাইর (আ.) আল্লাহর পুত্র এবং খ্রিষ্টানরা বলে, ঈসা (আ.) আল্লাহর পুত্র। ২. আল্লাহর গুণাবলীর সাথে র্শিক। যেমন নবী কিংবা অপর কোন সৃষ্টির ‘গায়েবের ইলম’ আছে বলে বিশ্বাস করা। অথবা আল্লাহ ভিন্ন অপর কাউকে সর্বজান্তা মনে করা। ৩. আল্লাহর ক্ষমতায় কাঊকে অংশীদার স্থাপন করা।

যেমন আইন-বিধান দেওয়ার ক্ষমতা, হালাল-হারাম এর সীমা নির্ধারণ করা, ক্ষতি বা বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করা। অথচ এগুলোর একমাত্র ক্ষমতা আল্লাহর। ৪. আল্লাহর অধিকারে কাউকে অংশীদার করা। যেমন, কাউকে সিজদা করা, কারো নামে কিছু মানত করা, কারো নামে পশু কুরবানী করা ইত্যাদি। অথচ এ সবই আল্লাহর হক।

প্রচলিত র্শিক ঃ ক. মানুষের তৈরী মনগড়া আইন স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া। তবে যারা আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করছেন তারা এই পাপ থেকে বাঁচতে পারেন। খ. আল্লাহ ছাড়া অপর কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে রিয্কের মালিক মনে করা। অথচ রিয্কের মালিক মহান আল্লাহ। গ. ওলী আল্লাহর মাযারে গিয়ে কিছু চাওয়া।

অথচ চাইতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহর কাছে। কেননা মহানবী (সা.) বলেছেন : “তোমরা যখন কিছু প্রার্থনা করবে একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইবে এবং সাহায্য প্রার্থনা করলে আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করবে। ” ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।